হাওয়াইতে নতুন টেলিস্কোপ স্থাপনে স্থানীয়দের বাধা
***********************************************************************
কে না চায় মহাবিশ্বের নতুন নতুন রহস্য সম্পর্ক জানতে। পৃথিবীর নানা প্রান্তে বসানো বিভিন্ন টেলিস্কোপ আমাদের মহাকাশের নানা অজানা তথ্য জানতে সহায়তা করছে। সম্প্রতি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে নতুন সাতটি টেলিস্কোপ বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস স্পেস ফোর্স সাতটি টেলিস্কোপ স্থাপনের পরিকল্পনা করলে স্থানীয় অধিবাসীরা তা মেনে নিতে পারছেন না। নতুন টেলিস্কোপের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের ওপর নজর রাখা হবে। মার্কিন বিমানবাহিনী হাওয়াইয়ের দ্বীপ মাউইয়ের হালেকালার চূড়ায় সাতটি নতুন টেলিস্কোপ ও একটি অপটিকস ল্যাব নির্মাণের প্রস্তাব করেছে।
মার্কিন বিমানবাহিনী জানিয়েছে, কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে নানাভাবে কাজ করছে। অনেক কৃত্রিম উপগ্রহ এখন বাতিল অবস্থায় কক্ষপথে অবস্থান করছে। এসব অকেজো কৃত্রিম উপগ্রহ নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। নতুন টেলিস্কোপ স্থাপনের মাধ্যমে এসব স্যাটেলাইটের ওপরে নজর রাখা হবে। কক্ষপথ নিরাপদ রাখতে কাজ করবে এসব টেলিস্কোপ।
এমস স্টার নামের এই কর্মসূচিতে সাতটি বড় টেলিস্কোপ স্থাপন করা হবে। এয়ার ফোর্স মাউই অপটিক্যাল অ্যান্ড সুপারকম্পিউটিং সাইট স্মল টেলিস্কোপ অ্যাডভান্সড রিসার্চ নামের এ কর্মসূচিকে সংক্ষেপে এমস স্টার বলা হচ্ছে। পুরো প্রকল্পটি হালেকালা অবজারভেটরির কাছে প্রায় এক একর জমির ওপরে তৈরি করা হবে। টেলিস্কোপ স্থাপনের প্রকল্পটি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পরিবেশগত প্রভাবের কারণে দ্বীপের বাসিন্দারা বিরোধিতা করছেন। গত বছর দ্বীপের মহাকাশ পর্যবেক্ষণ সেন্টারের ত্রুটিপূর্ণ জেনারেটর থেকে ৭০০ গ্যালন ডিজেল জ্বালানি নির্গত হলে পরিবেশ বিপর্যয় তৈরি হয়।
বিভিন্ন দ্বীপকে হাওয়াইয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা পবিত্র স্থান মনে করে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর স্থাপনা নির্মাণ এসব পবিত্র স্থানকে ‘অপবিত্র’ করছে বলে অভিযোগ করছেন। এর আগেও হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে বিভিন্ন টেলিস্কোপ প্রকল্প স্থাপনে স্থানীয় লোকজন বাধা দিলেও মার্কিন সামরিক বাহিনী তেমন পাত্তা দেয়নি।
সূত্র: স্পেস ডটকম
source : প্রথম আলো