ডেটা সেন্টারের তাপ নিয়ে পুরো শহরকে গরম করবে গুগল
***********************************************************************
পৃথিবীর নানা প্রান্তে গুগলের ডেটা সেন্টার রয়েছে। এসব ডেটা সেন্টার থেকে প্রচুর পরিমাণে তাপ নির্গত হয়। এই তাপ পুনরায় ব্যবহার করার নতুন একটি পরিকল্পনা করেছে গুগল। নিজেদের ডেটা সেন্টারের তাপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কর্মসূচিতে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে গুগল। এআই প্রযুক্তির বিকাশে অনেক শক্তির প্রয়োজন হচ্ছে। সেই শক্তি ডেটা সেন্টারের তাপ থেকে সংগ্রহ করতে চায় গুগল। এ জন্য ফিনল্যান্ডে একটি নতুন প্রকল্প শুরু করেছে গুগল। ফিনল্যান্ডে ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণের জন্য প্রায় ১১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে তারা। ডেটা সেন্টারের তাপ দিয়ে আশপাশের বাড়ি, স্কুল ও সরকারি ভবন উষ্ণ রাখার কাজও করবে গুগল।
গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ডেটা সেন্টারের ব্যবহার বেড়েছে অনেকভাবে। হালের চমক এআইয়ের কারণে ডেটা সেন্টারে কাজের পরিমাণ বেড়েছে। আর কাজ বাড়া মানেই তাপশক্তি বেশি নিঃসরণ হওয়া। ডেটা সেন্টারের বিভিন্ন সার্ভার থেকে উৎপন্ন তাপ পুনর্ব্যবহার করে পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব তৈরির কাজ শুরু করেছে গুগল।
গুগল এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংক্রান্ত প্রযুক্তি ও সেবায় বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। এআইকে প্রশিক্ষণ ও চালানোর জন্য নতুন ও আরও শক্তিশালী ডেটা সেন্টারের প্রয়োজন হচ্ছে। এসব ডেটা সেন্টারে নতুন করে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেই আপাতত চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। গুগল সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস খুঁজছে।
গুগল ফিনল্যান্ডের হামিনার পৌরসভা ও শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী হ্যামিনান এনার্জিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে হ্যামিনান এনার্জিয়ার গুগলের ডেটা সেন্টারের সার্ভার থেকে তাপ সংগ্রহ শুরু করবে। সেই তাপ আশপাশে বিভিন্ন এলাকার বাড়ি ও সরকারি ভবন উষ্ণ করতে ব্যবহার করা হবে। এমন কাজ প্রথমবারের মতো গুগল করছে।
গুগল প্রায় এক দশক ধরে ডেটা সেন্টারে তাপের পুনর্ব্যবহার করছে। ডেটা সেন্টারের প্রসারের কারণে গুগল নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে। গুগল ডেটা সেন্টারের তাপ দিয়ে পুরো এলাকার ৮০ শতাংশ উষ্ণতা মেটাতে পারবে বলে জানিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে গুগল শূন্য কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমনের লক্ষ্যে কাজ করছে। সেখানে এআই নিয়ে প্রতিযোগিতা গুগলকে কতটা সফলভাবে লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের প্রশ্ন আছে।
সূত্র: দ্য ভার্জ
source : প্রথম আলো