রেকর্ড গড়েছে ‘তুফান’
***********************************************************************
‘ছবিটি বাংলা সিনেমার অবস্থানকে কয়েক ধাপ ওপরে নিয়ে যাবে। এত দিন মানুষ বাংলা ছবি বলতে যা বুঝত, তুফান সেই ভাবনাকে পাল্টে দেবে।’ পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত তুফান দেখে ফেসবুকে লিখেছেন অলক মহিয়ান নামের এক দর্শক।
ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, লায়ন সিনেমাস, মধুমিতাসহ দেশজুড়ে ১২০ টির বেশি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি চলছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ছায়াবাণী সিনেমা হলে ছবিটি দেখতে দর্শকেরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। দর্শকের চাপে বাধ্য হয়ে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে (রাত ১২টা থেকে ৩ টা) সিনেমাটির একটি বিশেষ প্রদর্শনী করেছে সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ।
এ প্রেক্ষাগৃহের বুকিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন প্রথম আলোকে জানান, গত দুই দশকে ছায়াবাণী সিনেমা হলে এমন ঘটনার দেখা মেলেনি।
ঢাকার সিনেমার রমরমা সময়ে হামেশাই মধ্যরাতে শোর খবর মিলত। তবে মাঝের সময়ে দর্শকেরা হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পর মধ্যরাতে শোর খবরে উচ্ছ্বসিত বুকিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তাঁর মাধ্যমে এবার ঈদে ছায়াবাণীসহ আরও ১০টি প্রেক্ষাগৃহে তুফান সিনেমার বুকিং হয়েছে।
কামাল হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টার শোতেও দর্শকের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এই দুই শোতে অনেক দর্শক ছবিটি দেখতে না পেরে ফিরে গেছেন। আবার অনেকে অপেক্ষা করছিলেন, ছবিটি তাঁরা দেখবেনই। পুলিশ এনেও লোকজন সরাতে পারিনি। সারা দিন দর্শকের ভিড় সামাল দিতে আমাদের কর্মচারীরাও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই আমরা প্রথমে রাত ১২ থেকে ৩টার শো চালাতে চাইনি। দর্শক ও প্রশাসনের অনুরোধে বাধ্য হই রাত ১২ থেকে ৩টার শো চালু করতে।’
ছায়াবাণী সিনেমা হলের দর্শক ধারণক্ষমতা ৯০০। তবে ঈদে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রতিদিন হাজারের বেশি দর্শক ছবিটি উপভোগ করতে পারছেন।
তুফান সিনেমার এত চাহিদা কেন—জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, ‘অনেক দিন পর মাসালা টাইপের সিনেমা শাকিব খানের। এমন অ্যাকশন সিনেমায় শাকিবকে আগে দেখা যায়নি। ছবিটিও ভালো। মুক্তির আগে থেকেই দর্শকের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। প্রচারণাও ভালো ছিল। ছবির নির্মাণও ভালো হয়েছে। “লাগে উরাধুরা” গানটা বেশি ভাইরাল হয়ে গেছে। সবকিছু বাদ দিলেও শাকিব খানের তো একটা বিশাল ভক্তকুল আছেই।’
source : প্রথম আলো