ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
***********************************************************************
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তিনি এর জন্য সব প্রতিবেশী দেশকে অগ্রাধিকার দেন।

কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা শুক্রবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, ‘আপনারা (ভারতীয় ব্যবসায়ীরা) বাংলাদেশে এসে বিনিয়োগ করেন।’

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আমরা আপনাদের স্বাগত জানাই।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলতেন ‘প্রতিবেশী সবার আগে’ এবং তিনি বাংলাদেশের সব প্রতিবেশী দেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য অগ্রাধিকার দেন।

বাংলাদেশ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সিইওদের বলেন, তাঁরা এটা ব্যবহার করতে পারেন এবং সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া সিইওরাও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে চান।

সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে যাঁরা ব্যবসা করছেন, তাঁরা তাঁদের ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী। সিআইআইয়ের পক্ষের সিইওরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তাঁরা এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে কাজ করতে চান। এ ক্ষেত্রে তাঁরা বিশেষ করে কৃষি, আইটি ও লজিস্টিক খাতে যৌথভাবে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

সিআইআইয়ের সিইওরা ভারতের বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে আইটি খাতে তাঁদের সাফল্য তুলে ধরেন এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে বাংলাদেশে সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে চান। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নিজ দেশে বিরাজমান সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেন।

সিইওরা নন-ট্যারিফ বাধা সম্পর্কেও কিছু বিষয় উত্থাপন করেন জানিয়ে এই বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, তাদের (সিআইআই) এই প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য তাদের (ভারত) সরকারকে বলতে বলা হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া আইটিসি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জীব পুরী, সিআইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ ব্যানার্জি, অ্যাপোলো হসপিটালস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারপারসন শোবানা কামিনেনি, ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত মাধব বৈদ্য, ডাবর ইন্ডিয়া লিমিটেডের সিইও মোহিত মালহোত্রা, অমৃত সিমেন্ট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রদীপ কুমার বাগলা, আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সিইও (এনার্জি) দীপক অমিতাভ, সাংখ্য ল্যাবসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং সিওও বিশ্ব কুমার কয়ারগাড্ডে, সিটিও এবং তেজস নেটওয়ার্কস লিমিটেডের (টাটা গ্রুপ কোম্পানি) প্রতিষ্ঠাতা কুমার শিবরাজন, সিআইআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল মারুত সেনগুপ্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম, নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরীসহ কয়েকজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী অংশ নেন।

source : প্রথম আলো

image