আর্জেন্টিনায় প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ১০২ মিলিয়ন বছর আগের টাইটানোসরের একটি নতুন প্রজাতির খোঁজ পেয়েছেন, যেটি ৩৭ মিটার লম্বা ছিল।
প্রথম যে হাড়টি পাওয়া যায়, সেটি ছিল ২.৪ মিটার লম্বা একটি ফিমার বা উরুর হাড়, যা এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে বড় ফিমার। খননকাজ শেষে একই স্থান থেকে ২২০টির বেশি হাড় এবং ৮০টি দাঁত উদ্ধার করা হয়।
হাড়গুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই বিশাল টাইটানোসরগুলো প্রাপ্তবয়স্ক হলেও তখনো বেড়ে উঠছিল। তাই, ধারণা করা হয় যে পূর্ণাঙ্গ প্রাপ্তবয়স্ক টাইটানোসর আরও বড় হতো। দৈত্যাকার টাইটানোসর এমনিতেই বিশাল হয়, কিন্তু এতগুলো হাড় এত চমৎকার অবস্থায় খুঁজে পাওয়া ছিল একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।
ধারণা করা হয়, এই নিরামিষভোজী টাইটানোসরটিই ছিল পৃথিবীর বুকে হেঁটে বেড়ানো সবচেয়ে বড় প্রাণী। এর ওজন ছিল ৭০ মেট্রিক টন, যা প্রায় ১৪টি আফ্রিকান হাতির ওজনের সমান।
সবচেয়ে পরিচিত ডাইনোসরদের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ডিপ্লোডোকাস, যার চেয়ে নতুন আবিষ্কৃত টাইটানোসরটি প্রায় ১১ মিটার বেশি লম্বা।
সহজভাবে বললে, এই বিশাল প্রাণীটি চারটি দোতলা বাসের সমান লম্বা ছিল।
এমইএফ-এর খননকাজের প্রধান বিজ্ঞানী ডক্টর দিয়েগো পোল বলেন, 'এটি ছিল একটি প্রত্নতাত্ত্বিক খনন, যা পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। টাইটানোসর সম্পর্কে সব ধরনের নতুন তথ্য আবিষ্কার করার সম্ভাবনা এর মধ্যে রয়েছে।'