আমাদের গুরুত্বটা যার কাছে যেমন,ঠিক ততটুকুই গুরুত্ব আমরা পাবো।গুরুত্ব,সন্মান,ভালবাসা,এগুলো আসলে জোর করে কখনই কারো কাছ থেকে পাওয়া যায়না,কেউ পায়নি আজ পর্যন্ত।আমাদের জীবনে জড়িয়ে থাকা অসংখ্য মানুষের ভিড়ে নির্দিষ্ট কয়েকটা মানুষের কাছ থেকে আমরা খুব বেশি সন্মান পেয়ে থাকি।তারপরও যাদের থেকে আমরা সন্মান,ভালবাসা পাইনা,তাদেরকেও জীবনে জড়িয়ে রাখি, রাখতে বাধ্য আমরা।সাথে রাখতে হয় বলেই তাদের সাথে রাখা,সমাজ নিয়ে বসবাস করতে হয় বলেই সেইসব মানুষদেরকে নিয়ে আমাদের বেচে থাকা।
একসাথে একই ছাদের নিচে পুরোটা জীবন কাটিয়ে দিয়েও একে অপরের মন বুঝতে পারেনা।মনের না বলা কথাগুলো কখনই চোখের ভাষাতে পড়ে নিতে চায়না।মতামতের ভিন্নতা,চাহিদাগুলো সম্পূর্ন ভিন্ন রুপে ভিন্ন আঙ্গিকে চলে আসে দিনের পর দিন।চলাফেরা,খাওয়া,সবকিছুই একসাথে হলেই যে মানুষদুটো একে অপরের পরিপূরক হবে,তা ভাবা একেবারেই ভুল।বাচতে হয় বলেই অনেকেই বেচে থাকে।মানতে হয় বলেই অনেকেই মেনে নেয়া সম্ভব না হওয়াটাকেও মেনে নিতে বাধ্য হয়।রুচি না থাকা সত্বেও অনেক সময় অনেক ক্ষেএে অরুচিটাকে রুচির আওতায় আনতে হয়,বুকের মাঝে হাহাকার রেখে মুখে হাসি দিয়ে অনেক সময় অপছন্দের মানুষটাকেও পছন্দের বলে স্বীকার করে নিতে হয়।
ভালবাসাটা সবার প্রতি আসেনা,যার প্রতি মনের লুকায়িত সবটুকু ভালবাসা আসে,সে আসলে ভাগ্যেই থাকেনা।জীবনের সবটুকুতে প্রকাশিতভাবে মিশে থাকেনা।সে থাকে দীর্ঘশ্বাসে,মনের বিরাট অংশ জুড়ে।চাইলেই তাকে চোখের সামনে পাওয়া যায়না,যখন তখন ছুঁয়ে দেয়া যায়না।জীবনের এই নির্মম সত্যিটাকে মেনে নিয়ে অনেকেই নিজের সাথে, নিজের ভাগ্যের সাথে প্রচন্ড বিরোধীতা করে কাটিয়ে দেয় জীবন নামক ক্ষনিকের এই পথচলাকে।হাসিটা অনেক কারনে,অনেকের জন্যই অবলিলায় আসতেই পারে,কিন্তু চোখ থেকে কান্নাটা সহজেই সবার জন্য আসবেনা।যার জন্য কান্নাটা আসবে,সে হয়তো বুঝবেনা,নয়তো ভাগ্যেই থাকবেনা।
~এম.এস.এ.সাগর।