মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছেন: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
ঢাকা অফিস : ‘খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা ও তারেক রহমান শিশু মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন’, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, আমাদের দেশে আমি শুধু মুক্তিযোদ্ধা শুনেছি, কিন্তু শিশু মুক্তিযোদ্ধা আছে এটা প্রথমবার শুনলাম। এটা কাল্পনিক। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এমন বক্তব্য দিয়ে মির্জা ফখরুল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছেন। এমন অবমাননার তীব্র নিন্দা জানাই।’ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তারাই, যারা নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু যিনি পাক বাহিনীর সঙ্গে ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশে স্বেচ্ছায় আতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন, তিনি কী করে মুক্তিযোদ্ধা হন। এমন কথা দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে আশা করি না।’ তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে চাই, খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। তিনি স্বেচ্ছায় পাক হানাদার বাহিনীর কাছে আরাম আয়েশে কাটিয়েছেন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই। স্বাধীনতার মাত্র ৩ বছরে মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ সংবিধান প্রণয়ন করেছেন। এই সংবিধানে এমন কোনও ধারা নেই—যা যুক্ত করা হয়নি। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র এক বছরের মাথায় দেশে নির্বাচন দিয়েছেন। এই নজির বিশ্বের আর কোথাও নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন দক্ষ একজন নেতা। তিনি শিক্ষানীতি, শিল্পনীতিসহ সব বিষয়ে নীতি প্রণয়ন করে গেছেন। এখন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছেন। কিন্তু তার শাসনে নতুনত্ব কিছু নেই, সবকিছুই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা ও পরিকল্পনা। তার দেখানো পথেই শেখ হাসিনা দেশকে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করেছেন।’ আলোচনা সভায় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী প্রমুখ।

This page has been loaded 30655 times.