ফেসবুকে প্রেম....
টেকনোলজি নিয়ে আমার আগ্রহ বরাবরই কম। প্রয়োজনে যেটুকু চিনতে জানতে হয় ততটুকুই আছে আমার। প্রায় ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি ফেসবুক ব্যবহার করিনি। শুরুটা করেছিলাম ২০০৮ এ। ২০১৮ এর পর অফ। ২০২১ এ ফের চালু করি। হুট করেই ফেসবুকের সকল ইন্টারফেস বুঝতে ও জানতে একটু বেগ পেতে হল। যাইহোক, আমার অবাক মন আকাংক্ষিত অপশান খুজে নিতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম ফেসবুকের বর্তমান ইন্টারফেস খুব যত্ন করেই এমন একটা পার্সোনাল আইডিন্টিটি বা প্রত্যেকের আত্ন জীবনী টাইপ ই-বুক তৈরি করছে। যদি একটা মানুষ ফেসবুক সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে জানে। একই সাথে যেমন ব্যক্তির ইমেজ তৈরি করছে তেমনি ব্যক্তিগত তথ্যও চলে যাচ্ছে ইন্টারনেট সার্ভারে। আপনাকে পড়তে বা ইম্প্রেস করে ব্ল্যাকমেইল করার জন্যও হয়তো ডার্কওয়েভের মেধাবী কেউ অপেক্ষা করছে তার মজাটুকু নিতে।
যাইহোক আমার গল্প সেখানে না। ফেসবুকে প্রেম কথাটা শুনলে মনে হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক যে, একটি ছেলে বা মেয়ে দুজনে ফেসবুক পরিচয় কিংবা ড্রামাটিক গল্প।
আসলে তা বলতে চাইনি। প্রেমটা হতে পারে এমন, কয়েকদিন ধরেই প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক খুবই খারাপ যাচ্ছে। প্রচন্ড ইগোর কারণে, দূরত্ব বাড়ছে।
চাইলেই আপনি কাজটা ফেসবুকে সেরে নিতে পারেন। হয়তো স্ট্যাটাস দিলেন,
দুপুরের যানযটে গাড়িগুলো যেমন কাঁপে,
পকেটে টাকা না থাকলে ক্ষিদায় পেট তেমনি কাঁপে।
ঠিক তার পরপরই প্রতিপক্ষের স্ট্যাটাস এমন হতেও পারে-
কড়াই গোসতের স্পেশাল খিচুড়ির। চেকিং।
আপনি জানেন যে প্রতিপক্ষের তিনি খিচুড়ি পছন্দ করেন না, কড়াই গোসতের খিচুড়ি কেবলই আপনার পছন্দ। আর তাই দেরি না করে আপনি জনতার একজন হয়ে কমেন্ট করতে পারেন এমন -
ট্রিট চাই।
তারপর অনেক ফরমাল কথার আবরণে প্রেমটা চালিয়ে যেতে পারেন। এবং দিনের শেষে একটু হেসে ডেটে বের হতে পারেন।
প্রতিদিনের ঝগড়ায় দূরত্ব বাড়িয়ে অচেনা রাখুন সম্পর্ক। দেখবেন প্রতিদিনই প্রেমটা নতুন লাগবে।
#সৃষ্টি
#premdevota
#perspective