আজকাল ভোটের যুগ। বিনোদন শিল্পকেও ভোট দেন মানুষ। যে যত ভোট পাবে, তত রেটিং বাড়বে, ততই বিপণনের সম্ভাবনা বাড়বে। যখন টিভিতে বেসরকারি চ্যানেলকে নিয়ে আসা বা বিনোদন ব্যবসায় বেসরকারিকরণের কথা বলা হয়েছিল, তখন অনেকের বাড়িতে টিভি ছিল না। এখন আয় বৃদ্ধির কারণে, বিশেষ করে বিগত দুই দশকে দেশীয়ও জাতীয় আয় বৃদ্ধির হারে বেশ খানিকটা উন্নতি হওয়ায় অনেক নিম্নবিত্ত মানুষও টিভি কিনছেন। মনে রাখতে হবে, অনেক ক্ষেত্রেই আয় যতটা বেড়েছে, শিক্ষার মান ততটা বাড়েনি। প্রশ্ন হল, এর ফলে বিনোদনের চাহিদার চেহারা-চরিত্রটা কেমন দাঁড়িয়েছে? সোজা কথায় বললে, বিনোদনের বাজারে গুণের কদর কি অনেক কমে গেছে? শৈল্পিক গুণমান, চেতনার কিঞ্চিৎ উন্নয়ন, ভাল-মন্দের খানিকটা সূক্ষ্ম বিচার যে শুধু কেতাবি শিক্ষার ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, তা নয়। কিন্তু এ কথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে, শিক্ষা এবং চিন্তা করার ক্ষমতা মানুষের চাহিদার গুণমানকে উন্নত করে। এখন অনেক মানুষ বিনোদন ব্যবসাকে জিইয়ে রেখেছেন, তার উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে, কিন্তু গুণমানের কথা বলতে গেলে হতাশায় নিমজ্জিত হওয়ার কারণ আছে বইকী।