সুর তালে কাঁদো 
 
ম.ম.রবি ডাকুয়া 
----------------------- 
একি সভ্যতা শোষনে, 
এ দূর্মূ্ল্যের বাজারে অমূল্য দেহ বিনামূল্যে বেচে 
মনের আকাশের রং নিয়ে হলি খেলে। 
দেহ পোড়া ছাই তোর কাছে রক্ত ফিরে চাই, 
আজ আমি পাগল  
মানুষ না হয়ে তোমরা ঈশ্বর খোঁজো অনর্গল।  
পৌষের রোদ গায়ে মেখে তোমরা করো কানাকানি, 
শীতে কাঁপা উলঙ্গ দেহের খবর হলো জানাজানি। 
অসুস্থ স্বাস্থ্য বিভাগ 
অশিক্ষিত শিক্ষা দফতর। 
মোটা বই পড়ে পরীক্ষায় পাশ করলে শিক্ষিত হয়না। 
তোমরা শুধু নারীর দেহ রূপ উপভোগ করতে  
শিল্পী-কবি আর রাজনীতি হবার ভান করো। 
ধর্মের পসরা সাজাও হাটে বাজারে।  
আমিও নিজে চোখের জলে ভিজে  
এ শ্মশান নেভাতে চাই, চাই হোক সব অবসান। 
তোমাদের জন্য কবিতা আজ পাগলের প্রলাপ, 
তোমাদের চোখে যেন দেহ থেকে ঝরে পড়ে রূপের সংলাপ। 
একখানা ধবধবে স্বস্থ্যবান শরীর মানে তোমরা কবি ভাবো, 
দেশ মাতা দেহ থেকে ত্যাগ করে আজ বুভুক্ষু সন্তান, 
স্তব্ধ স্টুপিটের দল দিন রাত চুপ থাকে আর চুরি করে, 
চিৎকার কর আমার মত, ওই যে কাঁদে শত শত 
শুনতে পাস ? 
আলু বাজার তরকারি সব দরকারি পন্যের দাম বাড়ছে 
স্বর্ণের দাম কমছে শুনতে পাস  
সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অবিশ্বাস। 
প্রভু তুমি আছো জানো ওরা ভাবে তুমি চোখে কম দেখো, 
সমাজের উল্লাসের গৃহকর্মীর শরীর স্পর্শ করে  
এ আশির্বাদ করার দিন শেষে 
হে ধর্মগুরু যাযক মৌলবি 
আমি ক্ষেপে ওঠা বারুদ  
তোমরা যারা কেঁপে ওঠা নমরুদ। 
করতালের সুর তালে কাঁদো, 
যে কাঁদতে জানোনা সে হৃদয় নতুন করে সুর সধো। 
ছিন্ন বস্ত্রে নিরস্ত্রে কাঁদে  
কত প্রাণ ঝরে যায় অস্ত্রের আঘাতে।
		
 
											 
			 
			 
			 
			 
			