নারী 
নারী  তুমি বড় সৃষ্টিশীল। 
যে নারী তেলাপোকা দেখে 
 ভয়ে কেঁদেও ফেলে কখনও 
 সে নারী সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে, 
 পৃথিবীর সবথেকে বেশি কষ্ট সহ্য করে নেয়। 
 
সেই নারী , 
যে দুমুঠো ভাত থাকলে ,  
স্বামী ,সন্তানকে দিয়ে 
 নিজে না খেয়ে থাকে আর বলে, 
ওরা খেলে ওতেই আমার হবে।। 
 
নারী সেই, 
যে স্বামীর কষ্ট হবে ভেবে,  
মুখ ফুটে কিছু চায়না। 
 
নারী সেই, 
যার আদর্শে বড় হয়ে, 
সন্তান সবার মুখ উজ্জ্বল করে। 
 
নারী সেই, 
যে তোমার মতো  ১০-৫ টা অফিস শেষে 
 বাড়িতে এসে বলেনা, 
কইগো আমার মাথাটা একটু টিপে দাওতো। 
নারী তুমি বড় মানবিক। 
 তুমি না থাকলে, 
পৃথিবীটা এত সুন্দর হতো না। 
 
নারী তোমার কত পরিচয়। 
কারো কাছে তুমি জন্মদায়িনী মা, 
যিনি সবার অস্তিত্বের স্বরূপ। 
 কারো কাছে তুমি বোন, 
যে অগ্রজের স্নেহের কারণ । 
 কারো কাছে তুমি দিদি,  
যাকে অনুজের আবদার রাখতে হয়। 
কারো কাছে তুমি জীবনসঙ্গী, 
যাকে নিয়ে পাড়ি দিতে হয় হাজার বাধা। 
কারো কাছে তুমি সুখের দিশারী। 
যাকে ছাড়া চলেনা তোমার এক মুহুর্ত । 
কারো কাছে তুমি জীবন নদীর 
ঝরে যাওয়া সেই ফুল।। 
 
নারী তুমি সেই, 
যে সারাদিন হাড়-খাটুনি খেটেও,  
কাওকে বুঝতে দেয় না। 
 বরং স্বামীর সুখ চিন্তা করে তাকে সঙ্গ দেয়। 
 
নারী তুমি ছাড়া , 
 জগতের অস্তিত্ব কই 
নারী তুমি আসলেই মহত্ত্বের ভান্ডার। 
 
নারী তুমি সেই, 
যাকে বারবার সতীত্বের পরীক্ষায়  
জয়ী হতে হয়। 
 
নারী তুমি সেই নারী 
যাকে ছাড়া ওজনহীন স্তরও  
মনে হয় যেন অটল ভারী। 
 
নারী তুমি সেই, 
যার মিষ্টি হাসির পরশ  
দোলা দেয় মনকেই। 
নারী তুমি সেই 
যার কোনো তুলনা নেই। 
 
নারী তুমি ধন্য  
যে তুমি নারী।। 
                         ( নারায়ন)
		
 
											 
			 
			 
			 
			 
			