জুমার দিনে দুআ কবুলের বিশেষ মুহূর্ত.

জুমার দিনটা একটু বেশিই স্পেশাল।

জুমার দিনটা একটু বেশিই স্পেশাল। কারণ, এই দিনে এমন একটি সময়ে আছে, যখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং দুআ কবুল হয়

• সময়টা অনেকটা লাইলাতুল কদরের মতো লুকায়িত। তবে সম্ভাবনা আছে, এটা মাগরীবের আগ মুহূর্ত, যখন আসরের শেষ সময় চলে।

• আবার এটাও হতে পারে, জুমার নামাজের ইকামত থেকে নিয়ে মুসল্লিদের মসজিদ থেকে যাওয়ার মধ্যবর্তী কোনো সময়।

• এটা ৬০ মিনিটের মতো ধরাবাঁধা ঘণ্টা না। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই সুযোগ দেয়া হয়; হতে পারে সেটা এক ঘণ্টারও কম।

• এই সময়ে দুআর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে চাইতে হয়। সুনির্দিষ্ট কোনো নামাজ নেই।

• দুআর সময় ওযু, পবিত্র অবস্থায় থাকা উত্তম। তবে আবশ্যক নয়।

• দুআয় হালাল যা খুশী, যে ভাষায় ইচ্ছা চাইতে পারবেন, ধরাবাঁধা কোনো দুআ নেই।

• দুআকে শক্তিশালী করতে কিবলামুখী হয়ে বসুন এবং দুআর মধ্যে পূর্ণ মনোযোগ রাখুন। শুরুতে আল্লাহর প্রশংসাসূচক কিছু বলুন, এরপর নবীজি (ﷺ)-এর ওপর দুরুদ পাঠ করুন। তারপর মূল দুআ শুরু করুন। আপনার আখিরাতের অংশ, দুনিয়াবি প্রয়োজন, পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব এবং গোটা উম্মাহ, মোট কথা সবাইকে দুআয় শামিল করুন। কাউকে বাদ দেবেন না। শেষে আবার দুরুদ পড়ে নিন এবং এভাবে দুআ শেষ করুন।

• রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, তখন কোনো মুসলিম যদি আল্লাহর কাছে কল্যাণকর কিছু কামনা করে, তাকে অবশ্যই দেয়া হবে।’ (বুখারী ৪/৮৫২, মুসলিম)

• রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘জুমার দিনে এমন বারটি মুহূর্ত রয়েছে, কোনো মুসলিম বান্দা যদি ঐ মুহূর্তগুলোতে আল্লাহর কাছে কিছু চায়, তাকে অবশ্যই দেয়া হবে। অতএব, তোমরা ঐ মুহূর্তগুলোকে আসরের পর শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো।’ (নাসাঈ, ইফা হাঃ ১৩৯২)

• রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘তোমরা জুমাবার আসরের পর থেকে নিয়ে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত ঐ সময়টাকে তালাস করো, যখন সম্ভাবনা আছে যে দুআই করবে, কবুল হয়ে যাবে।’ (মুনযিরি)

• রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘প্রতি জুমাবার (দুআর) জবাব দেবার একটি সময় আছে। আর এটা আসরের পর।’ (মুসনাদে আহমাদ)

• সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কখন?’ তিনি (ﷺ) বলেন, ‘ইকামত দেবার পর থেকে নিয়ে মুসল্লিরা মসজিদ ছেড়ে যাবার মধ্যবর্তী সময়।’ (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)

• উপসংহার: জুমার নামাজের পর থেকে নিয়ে আসরের ওয়াক্তের শেষ পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে তালাশ করুন।

• বুখারীর বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার ইমাম হাজার (রহ.) ইবনু মুনীরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘সময়টা যদি গোপন না থাকত এবং আমরা যদি জেনে যেতাম ঠিক কখন এটা হয়, তাহলে কেউই অন্য সময় দুআ করত না। শুধু ঐ সময়েই করত। এজন্য এটা লাইলাতুল কদরের মতোই গোপন রাখা হয়েছে এবং প্রতি জুমায় এটা পরিবর্তন হতে পারে।

• সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন সালাম বলতেন, ‘এটা আসর ও মাগরীবের মধ্যবর্তী কোনো সময়।

— ড. সাদী আল-ইলমাসরী

অনুবাদ: ওয়াফিলাইফ


Rahmat Ullah

3 Blog posts

Comments