দুটো মানুষ একসঙ্গে থাকলে ঝগড়াঝাঁটি হবে-এটাই স্বাভাবিক। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মুলমন্ত্র হলো মানিয়ে নেওয়া। প্রেম হোক, বিবাহিত দাম্পত্যজীবন হোক, কমবেশি সবাই মানিয়ে নিতে শিখে যান।
তবে মানিয়ে নেওয়ার পরেও সুখী সম্পর্ক ধরে রাখতে কিছু ব্যাপার মেনে চলা জরুরি। যেমন-
দায়বদ্ধতা : সম্পর্কের প্রথমদিনগুলোতেই পরস্পরের কাছ থেকে দায়বদ্ধতা বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার আশা করাটা বাড়াবাড়ি। কিন্তু সেই সদিচ্ছাটা থাকা জরুরি, যাতে অন্তত এটুকু বোঝা যায় যে আপনারা জীবনের বাকি পথটা একসঙ্গে হাঁটার জন্য চেষ্টা করতে রাজি।
স্নেহ-ভালোবাসা : ভালোবাসা শুধু শারীরিকই নয়, মানসিকও। যে কোনও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে দুটিরই ভূমিকা অনস্বীকার্য। হাতে হাত রাখা, ছোট্ট মেসেজ, এ সবই কিন্তু ভীষণ জরুরি।
নিজেকে প্রকাশ করা : সব সময় হয়তো কথা বলতে ভালো লাগে না। বিশেষ করে প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকলে এ সমস্যা আরও বেশি হয়। কিন্তু নিজেকে সঙ্গীর কাছ থেকে একেবারে গুটিয়ে রাখবেন না। আপনার অসুবিধের জায়গাটা অন্তত তাকে বুঝতে দিন।
সততা : যে কোনও সম্পর্কেই সততার মূল্য অপরিসীম, প্রেমের সম্পর্কে তো বটেই! সততা আর পারস্পরিক বিশ্বাসই সম্পর্ককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
অগ্রাধিকার : সবার জীবনেই কিছু না কিছু অগ্রাধিকার থাকে যা আমরা অন্য সব কিছুর থেকে এগিয়ে রাখি। আপনাদের সম্পর্কটা দু’জনের কাছেই যদি সেই রকম অগ্রাধিকারের বিষয় না হয়, তা হলে সমস্যা হবেই।
খোলা মন : একটা সম্পর্ক নানান চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে এগোয়। সব পরিস্থিতি সব সময় সমান যায় না। যে কোনও পরিস্থিতি, ঘটনা খোলা মনে নিতে শেখা জরুরি। তাতে সম্পর্ক ভালো থাকবে, অনেক নতুন অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পারবেন।
সহমর্মিতা : সহমর্মিতা আর সংবেদনশীলতা, এই দুটি বিষয়ই সুস্থ সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যে সব দম্পতি পরস্পরের প্রতি সহমর্মী, তাদের দাম্পত্যজীবন অনেক সুখের হয়।
সম্মানবোধ : পরস্পরের চিন্তাভাবনা, আদর্শ, বিশ্বাসের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ না থাকলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
আস্থা : সঙ্গীর প্রতি আস্থা রাখতেই হবে। মাঝেমধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতে পারে কিন্তু মনে রাখবেন এটাই যেন নিয়মে পরিণত না হয়।
Linkeei Official
192 Blog posts