পুষ্টিগুণের কারণে মাশরুম গোটা বিশ্বেই জনপ্রিয়। তবে অনেকেই কীভাবে এটি খেতে হয় বুঝতে পারেন না। এতে মাশরুমের পুষ্টিগুণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অন্যান্য খাবারের তুলনায় একটু অন্য রকম ভাবে পরিষ্কার করতে হয় মাশরুম। প্রথমে ধুতে হয় ঠান্ডা পানিতে। তার পর ধুতে হয় গরম পানিতে। ধোওয়ার পরেও ছোট ছোট করে কেটে দেখে নিতে হবে মাশরুমে আর ময়লা আছে কি না। রান্নার আগে মাশরুম ধোঁয়া ওঠা আঁচে অন্তত দশ মিনিট ভাপিয়ে নিতে হবে। তার পরে রান্না করতে হয়।
মাশরুমের উপকারিতা-
১. মাশরুমে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে। বিশেষ করে মাশরুমে বিটা গ্লুকান নামক এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়, যা কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে বিটা গ্লুকান। এই উপাদান টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
৩. মাশরুমে একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। এই উপাদান, ‘ফ্রি র্যাডিক্যালের’ ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ‘ফ্রি র্যাডিক্যাল’ হৃৎরোগ এবং ক্যানসারের মতো রোগের কারণ হতে পারে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
৪. মাশরুমে রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। রাইবোফ্লাভিন লোহিত রক্তকণিকার স্বাস্থ্য রক্ষা করে, নিয়াসিন পরিপাকতন্ত্র ভাল রাখে আর প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড যত্ন নেয় স্নায়ুতন্ত্রের।
Linkeei Official
192 Blog posts