যেকোন বিচ্ছেদই কষ্টের। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কষ্ট কমে যায়। যদি এই সময় নিজেকে শক্ত রাখতে পারেন তাহলে সময়টা আরও কমে আসবে। সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে ‘ব্রেকআপ’বা বিচ্ছেদের বিষন্নতা থেকে বেরিয়ে আসার কিছু উপায়।
এই সময় নিজের মন শান্ত করতে যা করতে পারেন-
গান শোনা: গান শুনতে পারেন। কারণ জীবনের সকল পরিস্থিতির জন্যই উপযুক্ত গান রয়েছে। তবে প্রাক্তন সঙ্গীর কথা মনে করিয়ে দিতে পারে এমন গান শোনা থেকে বিরত থাকুন। বরং মন ভালো হয় এমন কিছু গান শুনুন।
একা বেড়িয়ে আসা: কারও সঙ্গে নয়। একা একা দূরে কোথাও বেরিয়ে আসুন। সেক্ষেত্রে রোমাঞ্চকর কোনো জায়গা বেছে নিতে পারেন। বেড়াতে গিয়ে নতুন মুখের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ মিলবে। তারা অন্তত অতীত নিয়ে আনাকে কোনো উপদেশ দেবে না।
সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে রাখা: বিচ্ছেদের কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো সামাজিক মাধ্যম থেকে বেরিয়ে আসা। কিছুদিনের জন্য সেখান থেকে বিরতি নিন। এতে করে প্রাক্তন সঙ্গীর ছবি দেখা এবংতার দৈনন্দিন খবরগুলো জানার থেকে অন্তত মুক্তি মিলবে।
অনুসরণকারী হওয়া যাবে না: প্রাক্তনসঙ্গীর একটি হাসিখুশি ছবিই আপনাকে আরও ষিাদগ্রস্ত করে তুলবে। তাই কোনো অবস্থাতেই প্রাক্তনসঙ্গীর দৈনন্দিন কার্যাবলী জানার উদ্দেশ্যে তাকে অনুসরণ করা যাবে না। প্রাক্তন সঙ্গী কী করছে তার চাইতে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করা বেশি জরুরি।
রোমান্টিক সিনেমা না দেখা: সিনেমা দেখে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া বা অনুমান করাও উচিত নয়।সকল হাসিখুশি দম্পতির প্রেমজীবন ঝামেলা মুক্ত নাও হতে পারে। বরং রোমাঞ্চকর, প্রামাণ্যচিত্র,এমনকি ভয়ের সিনেমাও দেখা যেতে পারে। এগুলো আপনার মনকে ব্যস্ত রেখে মন খারাপ করার চিন্তগুলো দূরে রাখবে।
বিচ্ছেদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। একমাত্র সময়ই পারে এই ক্ষত পূরণ করতে। তবে এ সময় নিজেকে অনেক বেশি ব্যস্ত রাখতে হবে। সেজন্য বাগান করা, বই পড়া, ছবি আঁকা, গান বাজনাকরা কিংবা যার যা ভালো লাগে সেই কাজে ব্যস্ত থাকুন। এছাড়া প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গেও সময় কাটাতে পারেন।
Linkeei Official
192 Blog posts