ঘটনা ১:- কুয়াকাটায় আমরা একটি ফটোগ্রাফার ভাড়া করি, কথা হয় যে আমার পছন্দ করা ছবি গুলা নিব, যতই ছবি তুলুক না কেন। পরবর্তীতে আমাদের ২৫০ টা ছবি তুলে। আমাদের ২ জনের ১০০ টি ছবি পছন্দ করি, কিন্তু তারা জোর করে ২০০+ ছবি দিয়ে দেয়। আসলে তাদের যে ছবিগুলো বাদ দিতে বলা হয়,সে ছবিগুলোও দিয়ে দেয়। টাকা না দিলে যেতে দিবে না , আর খারাপ ব্যবহার শুরু করে। পরবর্তীতে আমি tourist পুলিশকে বিষয় টি জানালে তারা সাথে সাথে ক্যামেরাম্যান আর তার মালিক কে ধরে আনে। তাদেরকে সাবধান করে দেয়, এমন কাজ যেন আর না করে। এখানে বলে রাখি tourist পুলিশ খুব ভাল কাজ করে tourists দের নিয়ে। আপনাদের যে কোন সমস্যা তাদেরকে জানাবেন। সমাধান পাবেন। যারা ছবি তুলবেন তাদের এই বিষয়টি খুব ভালভাবে বুঝে নিবেন।
ঘটনা ২: - আপনারা যখন বাইক ভাড়া করবেন, তাদেরকে বলে নিবেন এত সময় ধরে ঘুরবেন। কারণ তারা খুব তারাহুরো করে। সাগর পার দিয়ে বাইক যাবার সময় কিছু ছবি তুলার সুযোগ পাবেন না। আর যদি সুযোগ দেয়ও খুব তারাহুরো করে। প্রতিটি যাইগায় এমন করে। তাই তাদের সাথে কথা বলে নিবেন।
ঘটনা ৩: - এখন সন্ধার পরে লেবুর বন এ যাওয়া নিষেধ। বিষয় টি আমরা জানতাম না। আমরা সন্ধার পর বাইক ভাড়া করি লেবুর বন এ ঘুরার জন্য আর ফিশ ফ্রাই খাবার এর জন্য। যাবার আগে বাইকার কে সব বলি। উনি বলে উঠেন। লেবুর বন এ ডুকার আগে ২ জন পুলিশ এর মানুষ আমাদের আটকায়। তারা বলে এখন পুরাপুরি অফ। তারাও এই যাইগা থেকে চলে যাইতেছে, এখন কেন আমরা যাইতাছি। tourists দের নিরাপত্তা তাদের কাছে প্রথম। পরে বাইকারকে একটা ধমক দিয়ে আমাদের চলে যেতে বলে,তারাও চলে আসে। কিন্তু বাইকার ভাইটি আমাদের এখবারও বিষয়টি জানাই নি যে এখন যাওয়া নিষেধ। তাকে আস্ক করলে বলে সে নাকি জানেই না তারা বাইক চালায় সবসময় এইসব যাইগার তাও নাকি জানে না। পরে তাকে ভালমতো ধরলে সে কিছু না বলে চুপ থাকে। আর পুলিশ ভাই বলে যে তারা ভাড়া পাবে তাই তারা বলে নাই। জেনে শুনে রাতের বেলা বিপদের দিকে নিয়ে গেছে আমাদের। বিষয়টা খুবই জটিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে সে ভাড়া একটাকাও কম নিবে না। এমনিতেই জেনে শুনে নিয়ে গেছে, আবার যাইগামতো যাইতেও পারি নাই, ঘুরতেও পারি নাই তাও আমাদের কাছে পুরো টাকাই দাবি করে, কেমন মানুষরে ভাই
ঘটনা ৪: - কুয়াকাটায় প্রায় ৫০% খাবার হোটেলেই যে সব মাছ রান্না করে রাইখা দেয় কবেকার মাছ একমাত্র তারাই জানে। যে সব মাছ দেখবেন কালো হয়ে গেছে ওইসব মাছ খাবেন না। খাবার হোটেল এ আগে খাবার দেখবেন, তারপর খাইতে যাবেন। প্রতিটি খাবার হোটেল এর খাবার বাইরেই থাকে। তাই দেখতে পারবেন। দেখে শুনে খাবেন। এখনকার খাবার কক্সবাজারে খাবার এর মতো মানসম্মতো না, তবে খাবার এর দাম কক্সবাজার এর চাইতে অনেকটা কম। কিন্তু খাবার মানের দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। তাই আপনারা চেস্টা করবেন যে সব থাকার হোটেল এর নিজস্ব রেস্তোরাঁ আছে, সেগুলোতে খাওয়ার জন্য।
আরো দেখুনঃ সেরা ১০ টি ইসলামিক বই
Nafiz Imtiaz Tanvir
Collected from face-book.