বহু শতাব্দী ধরে নিম উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ওষুধের একটি অংশ। এটি অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্যযুক্ত যা ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে। এটি রক্ত থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
প্রবল দাবদাহের পর বর্ষার জলধারা যেমন স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দেয়, তেমনি নানা রোগও নিয়ে আসে। ঠান্ডা, ফ্লু, পেটের সংক্রমণের মতো সমস্যা এই মৌসুমে বেশি হয়। এ সময় শরীর সুস্থ রাখতে মৌসুমি ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমেও শরীর সুস্থ রাখা যায়।
বর্ষাকালে অনেক রকমের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে নিম পাতা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক : নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এসব উপাদান শরীরের র্যাডিকেল ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে : নিম ফাইবারের একটি সমৃদ্ধ উৎস। নিয়মিত নিম পাতা খেলে হজম ভালো হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে। নিমপাতা অন্ত্রকে আরও পরিষ্কার করে এবং অন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে : নিম চায়ে ভালো পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ থাকে, যা গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়। নিম ইনসুলিন-নির্ভর সুগারের রোগীদের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে নিম পাতার চা।
হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সহায়ক : গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত নিম পাতা খেলে শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এই উপাদানটি রক্তচাপ হ্রাস করতেও দারুণ সহায়ক।
লিভারকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে : নিম চা লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করতে পারে। নিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
Linkeei Official
192 Blog posts