বিয়ের আগে সঙ্গীর সঙ্গে যেসব আলোচনা জরুরি

প্রেমের সম্পর্ক থাকলে ঝগড়াঝাঁটি হবেই। তবে এটাও ঠিক, ঝগড়াঝাঁটির মাত্রাটা যদি কোনও কারণে বেড়ে যায়, তা হলে স

প্রেমের সম্পর্ক থাকলে ঝগড়াঝাঁটি হবেই। তবে এটাও ঠিক, ঝগড়াঝাঁটির মাত্রাটা যদি কোনও কারণে বেড়ে যায়, তা হলে সম্পর্কটাই একসময় ভেঙে যেতে পারে। অনেক বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ হবে এটাই স্বাভাবিক। এ কারণে পরস্পরকে ভালোভাবে বুঝতে এবং পরস্পরের কাছে নিজেকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে আলোচনা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সামনে বিয়ে থাকে তা হলে হবু স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে কিছু বিষয় খোলাখুলি আলোচনা করা উচিত। তা না হলে পরবর্তীতে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন-

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
 : সারাক্ষণ সঙ্গী নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টাইমলাইনে আপনাদের সম্পর্কের কথা, ছবি পোস্ট করতে থাকেন? সেটা যদি আপনার পছন্দ না হয়, তা হলে নিজের অপছন্দের কথা জানান। তেমনি সঙ্গীরও যদি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনও আচরণ অপছন্দ হয়, তিনিও সেটা আপনাকে জানাবেন। মোট কথা দু’জনে মিলে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরস্পরের কাছে পরিষ্কার করে তুলে ধরুন।

সন্তানের জন্ম
 : বিয়ের রেজিস্ট্রিতে সই করার আগেই এ নিয়ে আলোচনা করা দরকার। বিয়ের কতবছর পর আপনি সন্তান চান, পরিষ্কার আলোচনা করে নিন। মতপার্থক্য থাকলে তা বিয়ের আগেই মিটিয়ে ফেলতে হবে।

ক্যারিয়ার : চাকরিজীবনে এমন অনেক পরিবর্তন আসতে পারে যার সঙ্গে বিয়ের পরে মানিয়ে নেওয়া বেশ কষ্টকর। কোনও একজনকে অন্য শহরে চলে যেতে হতে পারে, কেউ চাকরি ছেড়ে স্বাধীন ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এ সব ব্যাপারে আগে থেকে কিছু আলোচনা সেরে নিলে পরে অনেক বড়ো ঝামেলা এড়াতে পারবেন।

সাংসারিক দায়দায়িত্ব
 : সংসারের দায়িত্বগুলো কীভাবে ভাগ হবে, সে নিয়ে বিয়ের আগেই আলোচনা সেরে ফেলা দরকার। স্বামী-স্ত্রী কে কোন কাজটা করবেন, তা নিয়ে আগেই দু’জনে মিলে খোলাখুলি কথা বলে নিন। এতে বিয়ের পরে অনেক অবাঞ্ছিত সমস্যা এড়াতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন
 : সাধারণত আমাদের দেশে বিয়ের পর মেয়েরা স্বামীর বাড়িতে থাকে। সেখানে কেউ হয়তো বাবা, মা, ভাইবোনসহ থাকেন, কেউ আবার আরও বড় পরিসরে। এখানেই তৈরি হয় সংকট। মেয়েটি হয়তো ছোট পরিবারে বড় হয়েছে। এত বড় পরিবারে থেকে সে অভ্যস্ত নয়। আবার স্বামী-স্ত্রী কর্মজীবী হলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠবে আবাস থেকে কতটা দূরে হবে কর্মস্থল। সব মিলিয়ে দুজনেরই উচিত পারিবারিক পরিবেশ প্রসঙ্গে পরস্পরের কাছে অবস্থান পরিষ্কার করা।


আর্থিক অবস্থা : শুধু প্রেম দিয়ে দাম্পত্য টিকিয়ে রাখা যায় না।  তাই বিয়ের আগেই বুঝে নিন আর্থিক বিষয়ে সঙ্গীর প্রত্যাশা কী। পাশাপাশি আর্থিক সঙ্গতি নিয়ে নিজের অবস্থানও সঙ্গীর কাছে পরিষ্কার করে নিন।


Linkeei Official

192 Blog posts

Comments