অতিরিক্ত চুল ঝরছে? কী করবেন

বর্ষায় অনেকেই চুল ঝরা সমস্যায় ভোগেন। এছাড়া আজকাল অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে প্রায় সকলেই

বর্ষায় অনেকেই চুল ঝরা সমস্যায় ভোগেন। এছাড়া আজকাল অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে প্রায় সকলেই চুল নিয়ে কোনও না কোনও সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে পরিবেশ দূষণ, ধুলা-ময়লা, পানিতে আয়রনের আধিক্য, হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার এবং নানা প্রকার রাসায়নিকের কারণেও চুলের নানা সমস্যা বাড়ছে। অনেকের হয়তো জানা নেই চুলের যাবতীয় সমস্যায় ম্যাজিকের মতো কাজ করে কারিপাতা।

চুলের যত্নে যেভাবে লাগাবেন কারি পাতা-

হেয়ার টনিক
 : পরিমাণমতো নারকেল তেল নিন, তাতে এক মুঠো কারি পাতা দিয়ে ফোটাতে থাকুন। যতক্ষণ পর্যন্ত তেল ফুটে ফুটে কালো না হবে ততক্ষণ ফোটান। তার পর আঁচ বন্ধ করে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। তেল ছেঁকে নিয়ে পুরো চুলে ও স্ক্যাল্পে ভাল করে মালিশ করুন। মালিশ হয়ে গেলে আরও একঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ২-৩ বার এই মিশ্রণ মাথায় লাগান। এই তেল চুলে পুষ্টি জোগায়, ময়েশ্চারাইজ করে, চুলের শিকড় শক্ত করে, চুল পড়া রোধ করে এবং চুল তাড়াতাড়ি বাড়ে।

হেয়ার মাস্ক: এক মুঠো কারি পাতা বেটে নিন। তাতে ৩-৪ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি চুলে ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। তার পর ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক দিন কারিপাতার হেয়ার মাস্ক লাগালে মাথার তালু ভাল থাকবে এবং চুল নরম ও ঝলমলে হয়ে উঠবে। এই হেয়ার মাস্ক খুশকি দূর করে, মাথার ত্বক ও চুল ভালো রাখে। তাছাড়া, পুষ্টিতে ভরপুর কারি অকালপক্বতার হাত থেকে চুল রক্ষা করে।

অন্যান্য ব্যবহার : ভাত বা তরকারিতে কারি পাতা গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। দুধ বা বাটার মিল্কের সঙ্গে মিহি করে কারি পাতা কুচিয়েও দিতে পারেন। এছাড়া, কারিপাতার চা-ও খুব উপকারী। পানিতে কয়েকটি কারিপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ ফোটান। তারপর তাতে লেবুর রস ও সামান্য মধু দিন। এই চা হজম ক্ষমতা বাড়ায়, চুল ভাল রাখে, চুল পাকার হাত থেকেও রক্ষা করে।


Linkeei Official

191 Blog Mensajes

Comentarios