লেখাটি দুইবার পড়ুন, তিনবার ভাবুন
_____
.
আপনি যে হাত দিয়ে আরেকজনকে অন্যায়ভাবে থাপ্পর দিচ্ছেন সেই হাতটি নেই বলে কেউ হয়তো তার সন্তানকে আদর করে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারছে না।
আপনি যে পা দিয়ে আরেকজনকে অন্যায়ভাবে লাথি দিলেন সেই পাটি না থাকার কারণে হয়তো কেউ স্কুলে যেতে পারছে না।
আপনি যে চোখ দিয়ে হারাম জিনিস দেখে যাচ্ছেন হরহামেশা সেই চোখটি নেই বলে কেউ হয়তো তার প্রিয় মাকে একনজর দেখতে পারছে না।
আপনি যে কান দিয়ে সারাদিন হারাম গান শুনছেন সেই কানটি না থাকবার কারণে হয়তো আপনার পরিচিত কেউ আপনার কথা শুনতে পায় না।
আপনি যে ব্রেন-বুদ্ধি দিয়ে অন্যকে ঠকাবার বা কষ্ট দেবার পরিকল্পনা করছেন সেই ব্রেন-বুদ্ধির অভাবে কেউ হয়তো পাগলাগারদে আছে কিংবা রাস্তায় উলঙ্গ হয়ে হাটছে।
আপনি যে মুখ দিয়ে গীবত করছেন, গালি দিচ্ছেন সেই মুখটি না থাকবার কারণে কেউ হয়তো তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে ভালোবাসার ডাকে ডাকতে পারছে না।
আপনি যে নাক দিয়ে হারাম ঘ্রাণ নেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন সেই নাকটি না থাকবার কারণে কেউ হয়তো সন্তানের দেয়া আতরের সুবাস অনুভব করতে পারছে না।
আপনি যে চেহারা বা শারীরিক কাঠামোর জন্য অহংকার করছেন তার চেয়েও বেশি সুন্দর চেহারা আর সুঠাম দেহ নিয়ে কেউ হয়তো কবরে গিয়ে হাড্ডিসার কংকাল হয়ে পড়ে আছে।
একটিবারও কি ভেবে দেখেছেন যে আপনি যে নিয়ামতগুলো ভোগ করছেন সেই একই নিয়ামত না পেয়ে অন্য কেউ চোখের পানি আর নাকের পানি একাকার করছে। যে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দেয়া নিয়ামতগুলো ঐসব মানুষগুলোকে দেননি সেই সৃষ্টিকর্তা কি এখনো পারেন না আপনাকে দেয়া নিয়ামতগুলো চোখের পলকে নিয়ে নিতে? পারেন। কিন্তু সাধারণত করেন না। এর মানে এই নয় যে, কখনো করবেন না। করতেও পারেন। অতীতেও করেছেন, এখনো করেন, ভবিষ্যতেও করবেন। জাস্ট সময়ের ব্যাপার।
মনে রাখবেন, আপনাকে দেয়া নিয়ামতগুলো কোনো স্থায়ী বিষয় নয় যে, এর কোনো ক্ষয়-লয় নাই। এগুলো পরীক্ষা। আপনার চোখের সামনেই তো দেখেছেন কত ক্ষমতাধর মানুষ মুহুর্তে লাশ হয়ে গেছে। কত সুন্দর চেহারার মানুষের হাড় কবরে পড়ে রয়েছে। কত টাকাপয়সাওয়ালা ধনকুবের খালি হাতে হাসপাতালের বেডে ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ প্রাণবায়ু ত্যাগ করেছে।
একটু ভাবুন...প্লিজ...
_____
.
- শাহাদাৎ হুসাইন খান ফয়সাল (রাহিমাহুল্লাহ!)
(আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন, আমীন!)
~Abdur Rauf
Saiful Islam
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?