Linkeei Linkeei
    #news #best #online #webdevelopment #appdevelopmentcompany
    Расширенный поиск
  • Вход
  • Регистрация

  • Дневной режим
  • © 2025 Linkeei
    О нас • Каталог • Контакты • Разработчикам • Политика • Условия • Возврат денег • Linkeei App install

    Выбрать Язык

  • Arabic
  • Bengali
  • Chinese
  • Croatian
  • Danish
  • Dutch
  • English
  • Filipino
  • French
  • German
  • Hebrew
  • Hindi
  • Indonesian
  • Italian
  • Japanese
  • Korean
  • Persian
  • Portuguese
  • Russian
  • Spanish
  • Swedish
  • Turkish
  • Urdu
  • Vietnamese

Смотреть

Смотреть Катушки Кино

Мероприятия

Просмотр событий Мои мероприятия

Блог

Просмотр статей

рынок

Последние поступления

Страницы

Мои Страницы Понравившиеся страницы

еще

Форум Исследовать популярные посты Игры работы Предложения
Катушки Смотреть Мероприятия рынок Блог Мои Страницы Увидеть все
Baki Billah Tanjel
User Image
Перетащите, чтобы изменить положение крышки
Baki Billah Tanjel

Baki Billah Tanjel

@BakiBillah
  • График
  • Группы
  • Нравится
  • Друзья 62
  • Фото
  • Видео
  • Катушки
  • Продукты
62 Друзья
44 сообщений
Мужской
Страна Бангладеш
image
image
image
image
image
Baki Billah Tanjel
Baki Billah Tanjel  Добавлены новые фотографии в Ki Ghal
33 ш

image
Мне нравится
Комментарий
Перепост
Baki Billah Tanjel
Baki Billah Tanjel
1 y

('আলু'
ইংরেজি শব্দ potato এসেছে স্পেনীয় patata (স্পেনে ব্যবহৃত নাম) থেকে। রয়্যাল স্পেনীয় একাডেমি বলে যে স্পেনীয় শব্দটি Taíno batata ('মিষ্টি আলু' এবং কেচুয়া শব্দ papa ('আলু' এর একটি সংকর। [১১] [১২] নামটি দিয়ে মূলত মিষ্টি আলুকে বোঝানো হয়েছে যদিও দুটি উদ্ভিদ ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত নয়। ১৬শ শতকের ইংরেজ ভেষজবিদ জন জেরার্ড মিষ্টি আলুকে সাধারণ আলু হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন এবং আমরা যে প্রজাতিকে এখন আলু বলি তার জন্য জারজ আলু এবং ভার্জিনিয়া আলু শব্দগুলি ব্যবহার করেছিলেন। [১৩] কৃষি এবং গাছপালা বিশদ বিবরণী অনেক ইতিহাস, উভয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য করা করে না। [১৪] মিষ্টি আলু থেকে আলাদা করার জন্য আলুকে মাঝে মাঝে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইরিশ আলু বা সাদা আলু হিসাবে উল্লেখ করা হয়। [১৩]

আলু রোপণের আগে মাটি খনন (বা গর্ত) থেকে আলুর স্পুড নামটি এসেছে। শব্দটির একটি অজানা উত্স রয়েছে এবং এটি মূলত ছিল ( আনু. ১৪৪০ ) একটি ছোট ছুরি বা ছোরার জন্য একটি শব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যা সম্ভবত ল্যাটিন spad-এর সাথে সম্পর্কিত একটি শব্দ যার মূল অর্থ "তলোয়ার"; স্পেনীয় espada এর সাথে তুলনা করে, ইংরেজি "স্পেড", এবং স্প্যাড্রুন । এটি পরবর্তীকালে বিভিন্ন খনন সরঞ্জামগুলিতে স্থানান্তরিত হয়। ১৮৪৫ সালের দিকে, নামটি নিজেই কন্দে স্থানান্তরিত হয়, এই ব্যবহারের প্রথম রেকর্ডটি নিউজিল্যান্ডীয় ইংরেজিতে পাওয়া যায় । [১৫] স্পুড শব্দের উৎপত্তির জন্য ভুলভাবে ১৮শ শতকের ব্রিটেনের বাইরে আলু রাখার জন্য নিবেদিত একটি কর্মী গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়, যারা নিজেদের অস্বাস্থ্যকর ডায়েট প্রতিরোধের জন্য সোসাইটিটি বলে। মারিও পেই-এর ১৯৭৯ সালের দ্য স্টোরি অফ ল্যাঙ্গুয়েজ কে শব্দের মিথ্যা উৎপত্তির জন্য দায়ী করা যেতে পারে। পেই লিখেছেন "আলু তার ক্রিয়াকলাপের জন্য, কয়েক শতাব্দী আগে অসম্মানিত ছিল। কিছু ইংরেজ যারা আলু পছন্দ করত না তারা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস প্রতিরোধের জন্য একটি সোসাইটি গঠন করেছিল। এই শিরোনামের মূল শব্দের আদ্যক্ষরগুলি স্পুডের জন্ম দিয়েছে।" বিংশ শতাব্দীর পূর্ববর্তী অন্যান্য অনেকগুলোর মতো এটিও মিথ্যা, এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস প্রতিরোধের জন্য সোসাইটি যে কখনও বিদ্যমান ছিল তার কোনো প্রমাণ নেই। [১৬] [১২]

কমপক্ষে ছয়টি ভাষা (আফ্রিকান, ওলন্দাজ, ফরাসি, হিব্রু, ফার্সি এবং জার্মানের কিছু রূপ) "আলু" এর জন্য একটি শব্দ ব্যবহার করার জন্য পরিচিত যা মোটামুটিভাবে (বা আক্ষরিক অর্থে) ইংরেজিতে "আর্থ অ্যাপেল" বা "গ্রাউন্ড অ্যাপল" হিসাবে অনুবাদ করা যায়।

image
Мне нравится
Комментарий
Перепост
Baki Billah Tanjel
Baki Billah Tanjel
2 лет

শুঁটকি ভর্তা

শুঁটকি ভর্তা একধরনের ভর্তা জাতীয় খাবার যার প্রধান উপাদান শুঁটকি মাছ। বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বাঙালিদের মধ্যে শুঁটকি ভর্তা খুবই জনপ্রিয়। প্রাথমিকভাবে সমুদ্র উপকূলবর্তী মানুষের মধ্যে শুটকি মাছ খাওয়া প্রচলিত হলেও এটা এখন সমগ্র অঞ্চলেই ব্যপ্তি পেয়েছে।

উপকরণ
শুঁটকি মাছ, তেল, পেঁয়াজ, শুকনো অথবা কাঁচা মরিচ, লবণ। যদিও ব্যক্তি পছন্দ ভেদে এর সংগে অন্যান্য উপকরণ যেমন ধনিয়া পাতা, বিট লবণ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

প্রক্রিয়া
অঞ্চল বা বাড়ি ভেদে শুটকি ভর্তার স্বাদ আলাদা হয়। এটা উপকরণ সমূহের তারতম্য কিংবা বাবুর্চির দক্ষতা ও নিপুনতার উপর নির্ভর করে। সব ধরনের শুটকি দিয়ে ভর্তা করা যায় তবে তুলনামূলক ভাবে নরম এবং ছোট মাছের শুটকি দিয়ে সহজে ভর্তা তৈরী করা যায়। প্রথমে মাছগুলো পানিতে ধুয়ে তেলে ভেজে নেওয়া হয়। অতঃপর পাটায় বেটে শুকনো মাছের গুড়ো বা পেস্ট তৈরী করা হয়। এর সংগে পরিমান মত লবণ, পেঁয়াজ, ভাজা শুকনো মরিচ অথবা কাঁচা মরিচ সরিষার তেল দিয়ে মাখানো হয়[১]।

শুটকি ভর্তা গরম ভাতের সংগে খাওয়া হয়।

ঐতিহ্যে
বাংলাদেশে শুঁটকি ভর্তা খাওয়ার সুদীর্ঘকালের ইতিহাস রয়েছে। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে পহেলা বৈশাখকে উৎযাপন করতে ঘটা করে পান্তা ভাত ও ইলিশ মাছ ভাজা খাওয়া হয় এবং এর সাথে অনুষঙ্গ হিসেবে থাকে শুঁটকি মাছ ভর্তা।

image
Мне нравится
Комментарий
Перепост
Baki Billah Tanjel
Baki Billah Tanjel
2 лет

শালগম (ইংরেজি :- turnip)

শালগম (ইংরেজি :- turnip) একপ্রকারের মূল জাতীয় সবজি যা সাধারণত সারাবিশ্বের উষ্ণমণ্ডলীয় জলবায়ু অঞ্চলগুলিতে ভাল জন্মে।এই উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম Brassica rapa। এর ছোট ও ভাল জাতটি মানুষ গ্রহণ করে; বড় আকারের শালগম পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বর্ণনা

ক্ষুদ্রাকৃতি শালগম
সবচেয়ে পরিচিত জাতের শালগম সাদা রংয়ের হয় যা মাটি থেকে ১-৬ সেমি ওপরে জন্মে। মাটির ওপরে উঠে আসতে আসতে এর রঙ গোলাপী, লাল বা সবুজাভ ধারণ করে সূর্যের আলোতে। শালগমের ভেতরের অংশ সাদা রংয়ের হয়ে থাকে। এর শিকড় সাধারণত কৌণিক আকারের হয়, তবে মাঝে মাঝে তা টমেটোর মতো হয়ে যায় আকারে যার ব্যাস দাঁড়ায় ৫-২০ সেমি ও পার্শ্ব শিকড় থাকে না। দক্ষিণ-পূর্ব আমেরিকাতে শালগমের পাতা খাওয়া হয় সহকারী খাবার হিসেবে। সচরাচর ছোট পাতাগুলোই খাওয়ার জন্য পছন্দ করা হয় কারণ বড় পাতাগুলোয় কোন কটু স্বাদ থাকতে পারে। তবে বড় পাতা পানিতে সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে পুনরায় নতুন পানিতে ভিজিয়ে কটূ স্বাদ দূর করা যায়। বি. রাপা জাতের শালগম চাষ করা হয় শুধু পাতা খাওয়ার জন্য যা চীনা বাঁধাকপি নামে পরিচিত। কাঁচা বাঁধাকপি বা মূলার মতো এতে ঝাঁঝালো স্বাদ থাকে যা সেদ্ধ করার পর কমে আসে। ওজনে শালগমের মূল প্রায় ১ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে, তবে সাধারণত অত বড় হওয়ার আগেই তা জমি থেকে তুলে ফেলা হয়। ছোট শালগমকে পুরোপুরি খাওয়া যায় পাতাসহ। এদের স্বাদ অতটা কটু থাকে না, তাই মূলার মতো সালাদ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। শালগম অতি প্রাচীন সবজি। প্রাচীন রোমান যুগেও এটা খাওয়া হত। এর প্রাচীন রূপ দেখতে পাওয়া যায় পশ্চিম এশিয়া ও ইউরোপে। যাইহোক, জোহারী ও হপফ বলেন যে শালগমের উৎস বিবেচনা করা হয়েছে প্রয়োজনীয়ভাবে ভাষাগত দিক বিবেচনা করে।[১]

পুষ্টিগুণ
শালগম মূলত শীতকালীন সবজি। প্রতি ১০০ গ্রাম শালগমে আছে ০.৫ গ্রাম আমিষ, ৬.২ গ্রাম শর্করা, ০.৯ গ্রাম আশ, ০.২ গ্রাম চর্বি, ২৯ কিলোক্যালরি শক্তি, ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৪০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৪৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’। শালগম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি। সাধারণত শীতকালের এই সবজিতে প্রচুর ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং প্রচুর পরিমাণে আঁশ আছে। এর পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায় যা অত্যন্ত পুষ্টিকর।

Turnip greens
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)-এ পুষ্টিমান
শক্তি ৮৪ কিজু (২০ kcal)
শর্করা
৪.৪ g
খাদ্য আঁশ ৩.৫ g
স্নেহ পদার্থ
০.২ g
প্রোটিন
১.১ g
ভিটামিন পরিমাণদৈপ%†
ভিটামিন এ সমতুল্য ৪৮%৩৮১ μg
ফোলেট (বি৯) ৩০%১১৮ μg
ভিটামিন সি ৩৩%২৭ মিগ্রা
ভিটামিন কে ৩৫০%৩৬৮ μg
খনিজ পরিমাণদৈপ%†
ক্যালসিয়াম ১৪%১৩৭ মিগ্রা
কপার ১৩%০.২৫ মিগ্রা
cooked, boiled, drained, without salt
একক
μg = মাইক্রোগ্রাম • মিগ্রা = মিলিগ্রাম
IU = আন্তর্জাতিক একক
†প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মার্কিন সুপারিশ ব্যবহার করে শতাংশ অনুমান করা হয়েছে।
উৎস: ইউএসডিএ ফুডডাটা সেন্ট্রাল
শালগমের শেকড় উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি-এর উৎস। এছাড়া শালগম পাতা ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম ও ফলেটের ভালো উৎস। শালগম পাতাতে উচ্চমাত্রার লুটেইনও থাকে।

উপকারিতা
শরীরে অগ্ন্যাশয় যদি যথার্থ ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীরে ইনসুলিনের সঠিক কাজ ব্যাহত হয় তাহলে সেটাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়; অধিক তৃষ্ণার্ত অনুভব করে এবং বার বার মুখ শুকিয়ে যায়।আক্রান্তরা অতিশয় দুর্বলতা, সার্বক্ষণিক ক্ষুধা, স্বল্প সময়ে দেহের ওজন হ্রাস, চোখে ঝাপসা দেখাসহ নানান সমস্যায় ভোগে। তারা ঔষধের পাশাপাশী সবুজ শাক-সবজি খাবেন। বিশেষ করে শালগম খাবেন। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।শালগম দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন-সি দেহের কোষ ক্ষয় রোধ করে। শালগমের পাতায় গ্লুকোসিনোলেট নামক উপকারী উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। শালগমে প্রচুর আঁশ থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। শালগম কফ, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমা নিরাময়ে সাহায্য করে শালগম রক্ত পরিশোধিত করে এবং রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এটি দেহে রোগসংক্রমণে বাধা দেয় শালগম ক্ষুধামন্দা দূর করে শালগমের রস রক্তে ই।রিক এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এটি ব্রণসহ ত্বকের অন্যান্য সমস্যা নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।শালগম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি। সাধারণত শীতকালের এই সবজিতে প্রচুর ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং প্রচুর পরিমাণে আঁশ আছে। এর পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায় যা অত্যন্ত পুষ্টিকর। আসুন জেনে নেই শালগম খাওয়ার উপকারিতা গুলো।শালগম দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।এর লিউটিন নামক উপাদান হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।এতে থাকা ভিটামিন-সি দেহের কোষ ক্ষয় রোধ করে।শালগমের পাতায় গ্লুকোসিনোলেট নামক উপকারী উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।শালগমে প্রচুর আঁশ থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে।ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।শালগম কফ, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমা নিরাময়ে সাহায্য করে।শালগম রক্ত পরিশোধিত করে এবং রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।এটি দেহে রোগসংক্রমণে বাধা দেয়।শালগম ক্ষুধামন্দা দূর করেশালগমের রস রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করেএটি ব্রণসহ ত্বকের অন্যান্য সমস্যা নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

image
Мне нравится
Комментарий
Перепост
Baki Billah Tanjel
Baki Billah Tanjel
2 лет

গাজর (ইংরেজি: Carrot)

গাজর (ইংরেজি: Carrot) (বৈজ্ঞানিক নাম Daucus carota) একপ্রকার মূল জাতীয় সবজি। গাজর গাছ Apiaceae পরিবারভুক্ত। এর আদি নিবাস দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপ। পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক গাজরই চীন দেশে উৎপাদিত হয়। নানা প্রকার খাদ্য তৈরিতে গাজর ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে সালাদে এর ব্যবহার ব্যাপক। একে সাধারণত গৃহের বাগানের সবজি উৎপাদিত করা হয়।[১][২]

উপকারিতা
গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড।[৩] বিশেষ করে শীতকালীন এই সকল সাধারণ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সব চাইতে ভালো সবজি হচ্ছে এই গাজর। গাজরের ভিটামিন ও মিনারেলস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যার ফলে সর্দি-ঠাণ্ডা ও কাশি থেকে মুক্তির জন্য আমাদের দেহই কাজ করে থাকে। এছাড়াও নিম্নে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকার সম্পর্কে আলোচনা করা হল

ভিটামিনের যোগানঃ
গাজরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে। গাজরের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের অন্যান্য সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ইত্যাদির মতো সমস্যায় বাধা দেয়। এতো বিজ্ঞানের বইতেও আমরা পড়েছি। তাই বাড়ির লোক কিন্তু ভুল বলতেন না।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহায়কঃ
গাজরের মধ্যে ক্যারটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং রক্ত শুদ্ধিকরণের সাহায্য করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও মুখের থেকে দাগ ছোপ দূর করে, বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে গাজরের জুস।

ক্যানসার প্রতিরোধেঃ
হজমের পর খাদ্যের কিছু উচ্ছিষ্ট আমাদের শরীরে থেকে যায়। যাকে ফ্রি র‍্যাডিকেলস বা মৌল বলে, এই ফ্রি র‍্যাডিকেলস শরীরের কিছু কোষ নষ্ট করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার এই ধরনের মৌলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। শরীরে ক্যানসারের কোষ উৎপাদন কম হয়।

হৃদয়ের সুরক্ষায়ঃ
শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং চাপ মুক্ত থাকলে হার্ট সুস্থ থাকে। গাজর ডায়েটরি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ থাকে। এই উপাদানগুলো ধমনির ওপর কোনো কিছুর আস্তরণ জমতে না দিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, হার্টকে সুস্থ রাখে।

উজ্জ্বল ত্বকঃ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজের উপস্থিতি আছে গাজরে। এই উপাদানগুলো ত্বককে রাখে সুস্থ এবং সতেজ, এসব পুষ্টি উপাদান ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, স্কিন টোনকে উন্নত করা এবং ত্বকে দাগ পড়া থেকে রক্ষা করে।

কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণঃ
কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গাজর ভীষণভাবে সাহায্য করে। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়ামই এর মূল কারণ। গাজরে ক্যালরি এবং সুগারের উপাদান খুবই কম। এ ছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে, ফলে ওজন কমে।

আরও উপকারিতা
১. আগে গাজর না খেয়ে থাকলে এবার শুরু করে দিন। কারণ গাজর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এতে আছে বিটা ক্যারোটিন যা আমাদের লিভারে গিয়ে ভিটামিন এ তে বদলে যায়। পরে সেটি চোখের রেটিনায় গিয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, সেই সাথে রাতের বেলায় অন্ধকারেও চোখে ভাল দেখার জন্য দরকারি এমন এক ধরনের বেগুনি পিগমেন্টের সংখ্যা বাড়িয়ে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে।

২. গাজর খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে। গাজরে আছে ফ্যালকেরিনল এবং ফ্যালকেরিনডায়ল যা আমাদের শরীরে অ্যান্টিক্যান্সার উপাদানগুলোকে পূর্ণ করে। তাই গাজর খেলে ব্রেস্ট, কোলন, ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

৩. গাজর শুধু শরীরের জন্য ভাল তাই নয় এটি আমাদের জন্য অ্যান্টি এজিং উপাদান হিসেবেও কাজ করে। এতে যে বিটা ক্যারোটিন আছে তা আমাদের শরীরের ভেতরে গিয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে আমাদের শরীরের ক্ষয়প্রাপ্ত কোষগুলোকে ঠিকঠাক করে।

৪. সুন্দর ত্বকের জন্যও গাজর খেতে পারেন। এটি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে। এর ভিটামিন এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করবে। সেই সাথে ভিটামিন এ ত্বকের অযাচিত ভাঁজ পড়া, কালো দাগ, ব্রন, ত্বকের রঙের অসামঞ্জস্যতা ইত্যাদি দূর করে আপনাকে সুন্দর হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

৫. এছাড়াও গাজর ভাল অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবেও কাজ করে। এটি শরীরে কোনো ক্ষত হলে তা ইনফেকশন হওয়া থেকে রক্ষা করে। কোথাও কেটে বা পুড়ে গেলে সেখানে লাগিয়ে নিন কুচি করা গাজর বা সিদ্ধ করা গাজরের পেস্ট। আপনার ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

৬. এছাড়া গাজর বাইরে থেকেও ত্বকের অনেক উপকার করে। ফেশিয়ালের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

৭. হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখে এটি খুব ভাল কাজ করে। এর ক্যারোটিনয়েডগুলো হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখের ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

৮. গাজরে উপস্থিত ভিটামিন এ লিভারে গিয়ে তাকে শরীর থেকে নানা ধরনের টক্সিন জাতীয় খারাপ উপাদান পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এছাড়াও গাজরের এই উপাদান লিভার থেকে অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গাজরের ফাইবার কোলন পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করে।

৯. সুন্দর ও সুস্থ্য সবল দাঁতের জন্য গাজরের জুড়ি মেলা ভার। গাজর আপনার দাঁত ও মুখের ভেতর পরিষ্কার রাখে। গাজরের মিনারেলগুলো দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে।

১০. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে ছয়টির বেশি গাজর খান বা খাচ্ছেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি যারা এর থেকে কম পরিমানে কম বা একটি গাজর খাচ্ছেন তাদের তুলনায় অনেক কম হয়। তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে হলে এখনি নিজের খাবারের তালিকায় যুক্ত করুন গাজর। সালাদ হিসেবেও খেতে পারেন বা তরকারিতেও দিতে পারেন।

গুনাগুন, গুরুত্ব ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। এই বিটা ক্যারোটিন শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার চোখের পুষ্টি জোগায়, চোখের স্নায়ুকে করে শক্তিশালী। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কচি গাজর খায়, তাদের চোখের অসুখ হয় তুলনা মূলক কম। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে গাজরের গুরুত্ব অনেক।

নতুন দাঁত বের হয়েছে বা সবজি দিয়ে খিচুড়ি খেতে পারে, এমন শিশুদের জন্য গাজর দিয়ে তৈরি খিচুড়ি যথেষ্ট উপকারী। গাজর খেলে দাঁতের মাড়ির দুর্বলতা কমে, খাবার হজম হয় ভালোভাবে। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় উপাদান। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

মায়ের দুধের পরিবর্তে কৌটার দুধ খায়, এমন শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় বেশি। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দেবে গাজরের খিচুড়ি। শিশু গাজরের খিচুড়ি না খেলে দিতে পারেন গাজরের হালুয়া। গাজরের হালুয়া শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে। কারণ, চিনি থাকে হালুয়ায়। চিনি মানে গ্লুকোজ, যা মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে।

গাজরের রস দেহে চর্বির মাত্রা কমায়। তাই ওজন কমাতে চান এমন ব্যক্তিরা কচি গাজর, কাঁচা পেপে, কচি বাঁধাকপির টুকরা খেতে পারেন ভাত, আলু, রুটির পরিবর্তে। গাজর রক্তের প্রধান উপাদান আরবিসিকে দীর্ঘজীবী করে। এতে রক্তে বেড়ে যায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। রক্ত বাড়াতে হলে তাই প্রতিদিন অন্তত একটি কচি গাজর খান।

শরীরের যেসব কোলেস্টেরল রক্তের মধ্যে মিশে রক্তে জমাট বেঁধে যায়, হূৎপিণ্ড থেকে রক্ত সারা শরীরে পৌঁছাতে বাধা তৈরি করে, সেসব কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় গাজর। আর কিছু কোলেস্টেরল বা চর্বি রয়েছে, যা ত্বকে কোলেস্টেরলের বা লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

যেকোনো বড় অস্ত্রোপচারের পর রক্তের ঘাটতি হয়। এই ঘাটতি পূরণ করবে গাজর। মানুষের মেধাশক্তি বাড়ানোর জন্য কাজ করে গাজর। মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোকে করে দ্বিগুণ কর্মক্ষম। তাই গাজর হোক আপনার বন্ধু।

ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ গাজরে অনেক বেশি, যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে খনিজ লবণও রয়েছে পর্যাপ্ত হারে, যা মানুষের হাড়, দাঁত, নখ, চুলের জন্য বয়ে আনে সুফল। শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটও এর উপাদান। তাই গাজর বেশি মিষ্টি হলে কিডনি রোগে আক্রান্ত, অতিরিক্ত মোটা ব্যক্তি ও ডায়াবেটিসের রোগীরা গাজর খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। মাটির নিচে জন্মানোর জন্য এতে শর্করার পরিমাণ থাকে বেশি, ডায়াবেটিসের রোগীরা গাজরের পরিমাণ কমিয়ে সালাদে বাড়িয়ে দিন শসার পরিমাণ।

গাজর অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং খাদ্যআঁশসমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি, যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। তরকারি ও সালাদ হিসেবে গাজর খাওয়া যায়। এ ছাড়া গাজর দিয়ে অনেক সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। তবে রান্না করে খাওয়ার চেয়ে গাজর কাঁচা খাওয়া বেশি ভালো। কারণ এতে পুষ্টির অপচয় কম হয়।

image
Мне нравится
Комментарий
Перепост
Загрузка заметок

Unfriend

Вы уверены, что хотите недобросовестно?

Сообщить об этом пользователе

Изменить предложение

Add Tier.








Выберите изображение
Удалить свой уровень
Вы уверены, что хотите удалить этот уровень?

Отзывы

Чтобы продавать свой контент и публикации, начните с создания нескольких пакетов. Монетизация

Оплатить с помощью кошелька

Оплата

Вы собираетесь приобрести предметы, вы хотите продолжить?

Запросить возврат