এক শকুনের বাচ্চা তার বাপের কাছে বায়না ধরলো, "বাবা, আমি মানুষের মাংস খাব, এনে দাও না প্লিজ!!!"
শকুন বললো, "ঠিক আছে বেটা, সন্ধ্যার সময় এনে দেব ৷"
শকুন উড়ে গেল আর আসার সময় ছেলের জন্য শুকরের মাংস নিয়ে এলো । বাচ্চা বললো, "বাবা, এটা তো শুকরের মাংস, আমি মানুষের মাংস খেতে চাই ।"
বাপ বললো, "ঠিক আছে বেটা, এনে দেব ।"
শকুনটা উড়ে গেল আর আসার সময় এক মরা গরুর মাংস নিয়ে এলো । বাচ্চা বললো, "আরে এটা তো গরুর মাংস নিয়ে এসেছো, মানুষের মাংস কোথায়?" তখন শকুনটা উড়ে গিয়ে, শুকরের মাংস একটা মসজিদের পাশে আর গরুর মাংস একটা মন্দিরের পাশে ফেলে দিয়ে চলে এলো!!
কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কয়েকশ মানুষের লাশ পড়ে গেল, আর বাপ-বেটায় মিলে খুব তৃপ্তিতে মানুষের মাংস খেলো ।
বাচ্চাটা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করছে, "বাবা, এত মানুষের মাংস এখানে কি করে এলো?"
শকুন বললো, "এই মানুষ জাতটাই এরকম । সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে বানিয়েছেন, কিন্তু ধর্মের নামে এদেরকে জানোয়ার থেকেও হিংস্র বানানো যেতে পারে ৷"
বাচ্চা বললো, "তোমার অনেক বুদ্ধি, বাবা ৷"
শকুন, "আরেহ, ধুর!!! এটা তো আমি মানুষের কাছ থেকেই শিখছি, এদের একটা অংশ যখনই কোন অনিষ্ঠ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয় তখনই সহজ রাস্তা হিসেবে ধর্মকে ব্যবহার করে ৷"
উপরের গল্পটি কাল্পনিক হলেও, বাস্তবতা এর চেয়েও কঠিন। একজন ধার্মিক ব্যক্তি! হোক সে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান বা বৌদ্ধ, কখনোই সে তার নিজের ধর্মকেতো নয়ই বরং অন্য কারো ধর্মকেও অবমাননা করবেনা। হিন্দুদের মধ্যে একটা বহুল প্রচলিত রীতি হচ্ছে, তাদের পূজার ঘর, খাবার স্থান এমনকি তাদের ঘরে যদি অন্য ধর্মের কারো স্পর্শ লাগে তাহলে তারা সেই স্থানটাকে আবারও ধৌত করে।, কারন তাদের বিশ্বাস মতে অন্য ধর্মের কারো স্পর্শেল মাধ্যমে ঐ জায়গাটি নাপাক হয়ে যাই। সুতরাং কোন ধার্মিক হিন্দু অর্থ্যাৎ, প্রকৃতপক্ষেই হিন্দু এমন কোন ব্যক্তি মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র আল-কুরআনকে তাদের পূজামন্ডপে রাখবে না।
এবার আসা যাক মুসলিমদের কথায়। কোন ধার্মিক অর্থ্যাৎ, প্রকৃত মুসলিম কখনোই তার পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআনকে হিন্দুদের পূজামন্ডপে রাখবে না। কারন এটা স্পষ্টতই কুরআনের অবমাননা। আর একজন ধার্মিক মুসলিম কখনোই কুরআনের অবমাননা করবে তো নয়ই বরং তার জীবন দিয়ে হলেও কুরআনের সম্মান রক্ষা করবে।
অতএব, কুমিল্লায় যে বা যারা পূজামন্ডমে পবিত্র কুরআন শরীফ রেখে মুসলিম-হিন্দু দাঙ্গা বাদাতে চেযেছে তারা না মুসলিম আর না হিন্দু। সুতরাং তারা অবশ্যই ধর্মদ্রোহী নাস্তিক অথবা ধর্মের লেবাস পরে থাকা দাঙ্গাবাজ। যারা মুসলিম-হিন্দু দাঙ্গা বাধিয়ে ফায়দা লুটতে চাই। প্রাণের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাতে চাই। তারা বিদেশী কালো শক্তিকে বাংলাদেশে ঢুকাতে চাই। এরা ধর্মদ্রোহীর পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহীও। অতিদ্রুত এসব ধর্মদ্রোহী, দেশদ্রোহী কুলাঙ্গার দেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। খতিয়ে দেখা হোক এরা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র”, ইসরাঈলী গোয়েন্দা সংস্থা “মোসাদ”, আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা “সিআইএ”, ভারতীয় সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএস, ইসকন অথবা আইএস বা এধরনের কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে জড়িত কিনা। অতিদ্রুত এদের আইনের আওতায় এন বিচার করা না হলে, এরা ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের দাঙ্গা বাধাবে। অতএব এদেরকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
Fatin Al Shadab Ratul
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?
Sumon Kumar Sarkar
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?