Linkeei Linkeei
    #news #best #seo #business #online
    Advanced Search
  • Login
  • Create a new account or Register

  • Night mode
  • © 2025 Linkeei
    About • Directory • Contact Us • Developers • Privacy Policy • Terms of Use • Refund • Linkeei App install

    Select Language

  • Arabic
  • Bengali
  • Chinese
  • Croatian
  • Danish
  • Dutch
  • English
  • Filipino
  • French
  • German
  • Hebrew
  • Hindi
  • Indonesian
  • Italian
  • Japanese
  • Korean
  • Persian
  • Portuguese
  • Russian
  • Spanish
  • Swedish
  • Turkish
  • Urdu
  • Vietnamese

Watch

Watch Reels Movies

Events

Browse Events My events

Blog

Browse articles

Market

Latest Products

Pages

My Pages Liked Pages

More

Forum Explore Popular Posts Games Jobs Offers
Reels Watch Events Market Blog My Pages See all
Omar Faruk
User Image
Drag to reposition cover
Omar Faruk

Omar Faruk

@PabnaOmar
     
  • Timeline
  • Groups
  • Likes
  • Friends 5
  • Photos
  • Videos
  • Reels
  • Products
আমি পাবনা আজাদ প্রেস গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে 20 বছর যাবৎ কর্মরত আছি।
5 Friends
28 posts
Male
43 years old
Studying at রাধানগর মজুমদার একাডেমী, পাবনা
Living in Bangladesh
Located in Rupkatha Road, Pabna
image
Omar Faruk
Omar Faruk
3 yrs

আজানের শব্দে ভাংগলো ঘুম যার

আমেরিকায় আপনি এককাপ চা খেতে কোথাও যেতে হলেও গাড়ি ছাড়া উপায় নেই। আর সে কারনে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের ঘরে খাবার না থাকলে গ্যারেজে একটি গাড়ি থাকেই থাকে। খুব বেশীদিন হয়নি এদেশে এসেছি, গাড়ি কিনবো কিনবো করে কেনা হয়ে উঠেনি। তাই বাধ্য হয়েই উবারে চলাফেরা করতে হয়।

ছোট্ট আমায়াহ আর তার মাকে সাপ্তাহিক বাজার করতে গ্রোসারী শপে (মুদিবাজার) যাবো "উবারে" করে। একজন প্রায় ৭০ বছর বয়েসী আমেরিকান শ্বেতাংগ রমনী আমাদের উবার ড্রাইভার। গাড়িতে উঠে কেমন আছেন, দিন কেমন গেলো টাইপের প্রশ্ন করা স্বাভাবিক আমেরিকান ভদ্রতা। আমিও সেমতে জিজ্ঞাসা করলাম কেমন আছেন? উত্তরের জন্য কোনভাবেই প্রস্তুত ছিলাম না। শুদ্ধ উচ্চারনে বলে উঠলেন আলহামদুলিল্লাহ্‌।

আমি কি ভুল শুনলাম? তাই প্রশ্ন করলাম তুমি কি মুসলিম? কোথায় তোমার আসল বাড়ি। সে আবার বললো, আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমি মুসলিম। এই আমেরিকাতেই আমার বাপ দাদা চৌদ্দ পুরুষের ভিটে মাটি। আমি একেবারেই আমেরিকান।

মনের বাসনা থেকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি ইসলামে আসলে কি করে? উত্তর এলো আমি ইসলাম বেছে নেইনি, ইসলামই আমাকে বেছে নিয়েছে।
তাঁকে বললাম তোমার গল্প কি আমাকে শোনাবে। ভদ্র মহিলা মুচকি হেসে শুনাতে শুরু করলো ঘুম ভাঙ্গার গল্প। আসুন তার মুখেই সে গল্প শুনি...

আমেরিকার মন্টানা অংগরাজ্যে এক খ্রিষ্টান পরিবারে আমার জন্ম। জন্মের পর যখন বুঝজ্ঞান হতে শুরু করলো, আমি পরিবারের অন্যান্য ভাইবোনদের সাথে কেন যেন মিশতে পারতাম না ভালোভাবে। তুমি তো জানো পাহাড় আর নদী ঘেরা এক প্রাকৃতিক লীলাভূমি মন্টানা। আমি একা একা প্রায় দূর দুপুরে দূর পাহাড়ে চলে যেতাম, ভাবতাম আমি কেন দুনিয়ায় এসেছি, আমার কি কারনে আসা। আমি যেন কেমন হাহাকার বোধ করতাম মনের ভেতর। একটু তরুনী হবার পর থেকে আমার বন্ধুরা ভাইবোনেরা বন্ধুরা বিভিন্ন ক্লাবে গিয়ে মদ খেতো, আনন্দ করতো। আমি তাঁদের সাথে যেতাম না, যদিও আমি খ্রিষ্টান কিন্ত কোনদিন আমি একটি বারের জন্যও মদ পান করিনি, আধুনিক খ্রিষ্টধর্মে মদপান নিষিদ্ধও নয়।

আমার বন্ধুরা ছোট ছোট জামা পরে সমুদ্রে ঘুরে বেড়াত, সুইমিং কষ্টিউম পরে সাঁতার কাটতো, কিন্ত আমি কোনদিন ওসব পরতে পারতাম না। আমার বিবেক আমাকে বাঁধা দিতো। আমি জানিনা কেন পারতাম না।

আমি আবিষ্কার করলাম আমি আসলে একা ভীষন একা। আমার কোন ভালো বন্ধু নেই, ভাইবোনেরা আমাকে সময় দিতোনা। একসময় আমার বিয়ে হলো, সন্তান দুনিয়ায় আসলো। আমার ছেলে বড় হলো।

কিন্তু বিপত্তি ঘটলো গত পনেরো আগে। একদিন গভীর রাতে স্বপ্নে আমি এক অজানা কন্ঠে কিছু গান মধুর সুরের অজানা ভাষার গান শুনতে পেলাম। বাক্যগুলো ছিলো এমন আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আশশাহদু আল্লাইলাহা ইল্লা আল্লাহ্‌...

পরদিন সকালে সে স্বপ্নের কথা ভুলে গেলাম। কিন্তু না প্রতি রাতেই আমি স্বপ্নে দেখি সে মধুর সুরের গান। আমি অস্থির হয়ে গেলাম। চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে ঘুমের ঔষধ খেতে লাগলাম। যতই ঘুমের ঔষধ খাইনা কেন মাঝরাতে সে মধুর শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।

এভাবে প্রায় ছয়মাস কেটে গেলো। একদিন টিভিতে আমেরিকায় মুসলিম সন্ত্রাসীদের নিয়ে একটি পর্ব প্রচার হচ্ছিলো। আমি পাশের রুমে ছিলাম, সেখানে এই গানও দেখাচ্ছিলো। আমি দ্রুত টিভির সামনে দাঁড়ালাম। হ্যাঁ এইতো সে গান যা আমি স্বপ্নে দেখছি গত ছয়টি মাস ধরে। এইতো সেই সন্ত্রাসীদের গান। আমি ভয় পেয়ে গেলাম, হে গড আমি কি তাহলে সন্ত্রাসী হয়ে যাচ্ছি।

ইন্টারনেটে সার্চ দিতাম সন্ত্রাসী সংগীত, সন্ত্রাসীদের গান, মুসলিম সংগীত এসব নামে। খুঁজতে একদিন পেয়ে গেলাম সেই সংগীত। জানলাম এর নাম আজান। মুসলিমদের নামাজে আহবানের ডাক। আমার মত খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মনেয়া একজন মানুষকে কে শোনালো সে আজান। কে আমাকে আহবান করছে? আমি বুঝতে চাইলাম, ইসলাম কি? রব কি, রাসুল কে? কবর-হাশর, মিজান নিয়ে আমার বিস্তর পড়াশোনা শুরু হয়ে গেলো। আমি বুঝলাম আকাশের মালিক আমাকে দ্বীনের জন্য কবুল করেছেন। আমার সহস্র রাতের ঘুম ভেঙ্গে গেলো,আমি জেগে উঠলাম।

বুঝলাম ইসলাম সন্ত্রাসীদের ধর্ম নয়, বরং সন্ত্রাসীরা ইসলামের নাম ব্যবহার করে মাত্র। পরদিন খুব ভোরে আমি জুমা মসজিদে গিয়ে শাহাদা পাঠ করলাম। তুমি কি জানো এ কালেমার বিনিময়ে আমি কি হারিয়েছি?

আমার স্বামী আমাকে ত্যাগ করলেন। যে ছেলেকে আমি পেটে ধরছি বড় করেছি, সে ছেলে আমাকে ত্যাগ করলো। আমিতো আগেই একা ছিলাম, এখন আরো একা হয়ে গেলাম। আজ পনেরো বছর আমি একা।

তুমি কি জানো এতো কিছুর বিনিময়ে আমি কি পেয়েছি? আমি আমার আল্লাহ্‌কে পেয়েছি। তুমি জানো এতো কিছুর বিনিময়ে আমি কি পেয়েছি? ঐ যে ছোটবেলা থেকেই আমার অন্তরে যে হাহাকার ছিলো, যে না পাওয়ার বেদনা ছিলো, আমি বুঝেছি আমার হাহাকার ছিলো কালেমার জন্য, আমার হাহাকার ইসলামের জন্য। আমার মনের শুন্যতা দূর হয়েছে। আমি এখন নিজেকে পরিপূর্ন মনে করছি।

তুমি জানো এই বুড়ো বয়সে কিছু খাবারের জন্য আমাকে উবার চালাতে হয়, কয়েক বছর আগে আমি একজন মিশরীয় মুসলিমকে বিয়ে করেছি শুধু জীবনের একাকীত্ব গোছাতে কিন্তু সে এখন ক্যান্সার আক্রান্ত, তাকেও হয়তো রবের কাছে চলে যেতে হবে। আমি চেষ্টা করছি তার যথেষ্ট সেবা করতে। আমার ছেলেটাকে আমি দেখিনা আজ দুবছর হলো। আমার ছেলের ঘরে নাতি হয়েছে অনেকদিন, কিন্তু জানো আমি তাকেও দেখিনি অনেকদিন হলো।

আমি চাইলেই স্বাভাবিক জীবনে চলতে পারতাম ।স্বামী সন্তান নিয়ে আনন্দে থাকতে পারতাম, কিন্তু আমি দুনিয়া এবং আখিরাতের মাঝে হিসেব করে দেখলাম, আমার জন্য আখিরাতই মংগল। এখন যদি আমি না খেয়ে মরেও যাই আমার দুঃখ থাকবেনা, জানিনা কখন রবের ডাক এসে যায়। আমি দ্রুত আমার রবের সাথে দেখা করতে চাই, তাঁকে বলতে চাই ওগো আরশের মালিক শুধু তোমায় দুচোখ ভরে দেখবো বলে আমি সব ছেড়ে এসেছি।

আমাদের গাড়ি গন্তব্যে এসে পৌছেছে, গাড়ি থেকে নামতে পারছিনা আমি। চোখের পানিতে বুক ভেসে গেছে।

Like
Comment
Share
avatar

Saiful Islam

আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন,সেই হেদায়েত লাভ করতে পারে।
Like
· Reply · 1657127007

Delete Comment

Are you sure that you want to delete this comment ?

Omar Faruk
Omar Faruk
3 yrs

এক ভদ্রলোক ডিম বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলো'
ডিম কত করে বিক্রি করছেন?
বৃদ্ধ বিক্রেতা বললো' স্যার পাঁচ টাকা করে প্রতিটি।
স্যার বললো, আমি ৬টি ২৫ টাকা দেব, না হয় চলে যাবো!
বৃদ্ধ বিক্রেতা উত্তর দিলো, আসেন স্যার নিয়ে যান আপনার দামে। কারণ সারাদিন একটিও বিক্রি করতে পারিনি। আপনার মাধ্যমেই আজকের বিক্রি শুরু।।
স্যারটি ডিম কিনে জিতে গেল।
তারপর স্যারটি তার দামী গাড়ীতে চড়ে তার বন্ধুর সাথে অভিজাত রেস্তোরাতে গেলো। সেখানে, সে আর তার বন্ধুরা তাদের পছন্দসই অনেককিছু অর্ডার করলো। কিন্তু তারা যা অর্ডার দিলো তার স্বল্প খেলো আর বেশিরভাগ রেখে দিলো। তারপর সে বিল দিতে গেল।বিল আসলো ১৪০০টাকা। সে দিলো ১৫০০টাকা এবং রেস্তোরা মালিককে বললো বাকিটা রেখে দিতে।
এ ব্যাপারটা রেস্তোরা মালিকের কাছে খুবই স্বাভাবিক হতে পারে কিন্তু দরিদ্র ডিম বিক্রেতার কাছে খুবই বেদনাময়।
ভদ্রতার চাদরে আসলে আমরা আমাদের মূল্যবোধকে হারিয়ে ফেলেছি ... যখনি কোন অসহায়, বৃদ্ধ, গরীব লোকের কাছ থেকে কিছু ক্রয় করবেন তখন তাকে মূল্যের চেয়ে একটু বেশী দিবেন ...
সৃষ্টির সকল প্রাণীকে ভালবাসতে শিখি,,,,
অসহায় মানুষকে আপন ভাবতে শিখি।

Like
Comment
Share
Omar Faruk
Omar Faruk
3 yrs

হেদায়েত পাওয়ার মাধ্যমের বেশি গুনকীর্তন করতে যাবেন না। জ্ঞান হলো হেদায়েত পাওয়ার একটি মাধ্যম। যদি শুধু জ্ঞান অর্জন নিয়ে পড়ে থাকেন, হেদায়েত পাওয়ার কথা ভুলে যেতে পারেন। এটা ঠিক এমন— খুব গুরুত্ব দিয়ে ওযু করলেন কিন্ত নামাজে কোনো মনোযোগ দিলেন না।

আপনি এ জন্য শিখছেন না যে, যেন আরো শিখতে পারেন, আরো শিখতে পারেন এবং আরো শিখতে পারেন। আপনি শিখছেন এজন্য, যেন আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হতে পারেন। আপনি হেদায়েত পাওয়ার জন্য শিখছেন। যদি এ লক্ষ্যে না শিখে থাকেন তাহলে এ শেখার কোনো অর্থ নেই। এর পুরাটাই অর্থহীন।

জ্ঞানার্জন কেবল তখনি অনিন্দ্য সুন্দর যখন এটি আপনাকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে তোলে। আর যদি এ ব্যাপারটা ভুলে যান তখন এ জ্ঞানার্জনটাই কুৎসিত একটি ব্যাপারে পরিণত হয়। এটি ভীষণ নোংরা একটি ব্যাপারে পরিণত হয়।

এমন অনেক মানুষ আছে যারা খুব জ্ঞানী, অনেক কিছুর উদ্বৃতি দিতে পারে, তাদের কথাগুলো বড়ই হৃদয়গ্রাহী, কিন্তু ভাই তাদের ব্যক্তিগত জীবন সেইরকম কুৎসিত, খুবই বিশ্রী।

জানেন? কিয়ামতের দিন আল্লাহ শুধু কোন ব্যাপারটার প্রতি গুরুত্ব দিবেন? তিনি বলেন— اِلَّا مَنۡ اَتَی اللّٰهَ بِقَلۡبٍ سَلِیۡمٍ - (ইল্লা মান আতাল্লাহা বি ক্বালবিন সালিম)- "কেবল (সাফল্য লাভ করবে) সে ব্যক্তি যে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট আসবে।" (২৬:৮৯)

......

আমি যে আপনাদের নিকট বিশটি তাফসীর গ্রন্থ থেকে উদ্বৃতি দিচ্ছি আপনাদের বুঝা উচিত আমি জ্ঞান অর্জনকে অবজ্ঞা করছি না। জ্ঞানের চেয়ে বড় উপহার একজন মানুষের জন্য আর কি হতে পারে! কিন্তু উদ্দেশ্য ছাড়া জ্ঞানের তো কোনো অর্থ নেই।

Like
Comment
Share
Omar Faruk
Omar Faruk
3 yrs

কোথায় গেল সোনার সময় সোনার মানুষ কই!
কোথায় গেল লাঙ্গল জোয়াল কোথায় গেল মই।
কোথায় গেল গরুর গাড়ি কোথায় গরুর হাল
কোথায় গেল রংবেরঙের ডিঙি নায়ের পাল।
কোথায় গেল মাটির কলস
সেই কলসির জল
ঘরের শোভা রঙিন শিখা কোথায় গেল বল!
শকুনরা সব কোথায় গেল কোথায় গেল কাক
কোথায় গেল শিয়াল মামার হুক্কাহুয়া ডাক।
কোথায় গেল শিল আর পাটা পাটার ভাটা ঝাল
কোথায় গেল কাঠের ঢেকি ঢেকির ছাঁটা চাল।
কোথায় গেল পালকি চলার হুনহুনাহুন সুর
ঠেলার গাড়ি হারিয়ে গেল হায়রে কত দূর।
কোথায় গেল রাত্রি জেগে চিঠি লেখার দিন
কোথায় গেল হারিকেন আর কোথায় কেরোসিন।
কোথায় গেল গরুর টানা আঁখ মারানোর কল
কোথায় গেল গ্রামের বাড়ির বাংলা ঘরের ছল।
বিয়েবাড়ির গীতের আসর কোথায় গেল ভাই
কলাপাতায় আহার করার মেজবানিটাও নাই।
কোথায় গেল কাঁচের চুড়ি রেশমী ফিতার সাজ
কোথায় গেল হায় রুমালের সুতার কারুকাজ।
কোথায় গেল মাটির কূপের মিষ্টি স্বাদের জল
কোথায় গেল ডাল মারানোর শিলার যাঁতাকল।
কোথায় গেল কুলুর বলদ বন্ধ যাহার চোখ
কোথায় গেল হুক্কা তামাক হুক্কা টানার লোক।
হারানো সুর খুঁজতে গিয়ে সবচেয়ে ব্যথা পাই
যখন দেখি কোরআন শিখার মতকব ও আর নাই।

Like
Comment
Share
Omar Faruk
Omar Faruk
3 yrs

এক লোক রাঁতে বাসায় আসলো। এসেই দেখে যে, তার সন্তানরা সবাই ঘুঁমিয়ে পড়েছে। স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলো: ছেলেরা নামায পড়েছে?

স্ত্রী: বাসায় খাঁবার ছিলোনা। ছেলেরা সবাই ক্ষুধায় কান্না করতে করতে ঘুঁমিয়ে পড়েছে। এভাবে ওরা নামাযও পড়েনি।

স্বামী: ওদেরকে জাগিয়ে দাও। ওরা নামায পড়ুক।

স্ত্রী: ও গো শুনছো! ওদেরকে জাগিয়ে উঠালে খাঁবার না পেয়ে ওরা তো ক্ষুধায় আবার কান্না করবে।

স্বামী: শুনো! বলছি: জাগিয়ে দিতে। আমার আদেশ পালন করো।তাদের রিজিকের দায়িত্ব আমার না। তাদের রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ তাআ’লার উপর। আল্লাহ তাআ’লা কুরআনে বলেছেন: وأمر أهلك بالصلاة واصطبر عليها لا نسألك رزقا نحن نرزقك والعاقبة للتقوى} তোমার পরিবারবর্গকে নামাযের আদেশ দাও। এবং তার উপর অবিচল থাকো। আমি তোমার কাছে কোন রিয্ক চাইনা আমিই তোমাদেরকে রিযক দান করি। শুভ পরিণাম তো শুধুমাত্র মুত্তাকীদের জন্য। (132 সুরা ত্বহা)

এর কথা শুনে ‘মা’ আত্ম সমর্পন করলো। ছেলেদেরকে জাগিয়ে নামায়ে দাঁড় করিয়ে দিলো।

নামায শেষ করে যখন তারা উঠলো। দরজায় আওয়াজ শুনলো। দরজা খুলে দেখলো যে, এক ধনী লোক কাঁদে অনেকগুলো দামী দামী খাবার নিজে ভর করে নিয়ে এসেছে। এসেই বললো: এগুলো তোমার পরিবারের জন্য।

বাবা: কেন এমনটা করলেন?

ধনী লোকটি বললো: শহর থেকে একজন নেতা আমার বাসায় এসেছিলো। তার সামনে আমি খাবারগুলো পরিবেশন করলাম। কিন্তু খাবার শুরু করার পূর্বেই আমাদের মাঝে প্রচন্ড কথা কাটাকাটি হয়ে গেলো। তাই মেহমান শপথ করেছে যে, সে কিছুই খাবেনা। এবং চলেই গেলো।

তাই আমিও খাবারগুলো নিয়ে বের হলাম। আল্লাহ যেদিকেই নেয় সেখানেই দিয়ে আসবো। আল্লাহর শপথ করে বলছি: হাঁটতে হাঁটতে তোমার দরজায় এসেই দাড়িয়ে গেলাম। আমি বুঝতেও পারছিনা: কোন জিনিস আমাকে তোমার দরজার সামনে দাঁড় করিয়ে দিলো।

সুবহানআল্লাহ

Like
Comment
Share
avatar

James Boss

 
সুবহানআল্লাহ
Like
· Reply · 1656684536

Delete Comment

Are you sure that you want to delete this comment ?

Load more posts

Unfriend

Are you sure you want to unfriend?

Report this User

Edit Offer

Add tier








Select an image
Delete your tier
Are you sure you want to delete this tier?

Reviews

In order to sell your content and posts, start by creating a few packages. Monetization

Pay By Wallet

Payment Alert

You are about to purchase the items, do you want to proceed?

Request a Refund