News Hub
News Hub

News Hub

@newshub
39 m ·Translate

টানা ২০ দিন বেলুনে বিশ্বভ্রমণ, প্রথম টুইট বার্তা
***********************************************************************
বেলুনে বিশ্বভ্রমণ
প্রথমবারের মতো হট-এয়ার বেলুনে চড়ে বিরতিহীনভাবে বিশ্বভ্রমণ করেন সুইজারল্যান্ডের বেট্রার্ন্ড পিকার্ড ও যুক্তরাজ্যের ব্রায়ান জোনস। ২০ দিনের এই ভ্রমণ শেষে ১৯৯৯ সালের এই দিনে তাঁরা মিসরের কায়রোয় অবতরণ করেন। ‘ব্রেইটিলং অরবিটার ৩’ নামের এই বেলুন তৈরি করে ইংল্যান্ডের বিস্ট্রলভিত্তিক বেলুন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ক্যামেরুন বেলুনস।

দাবায় নয়া নজির
মার্কিন দাবা চ্যাম্পিয়ন ফ্রাঙ্ক জেমস মার্শাল এক অনন্য নজির গড়েছেন এই দিনে। ১৯১৬ সালের এই দিনে তিনি একসঙ্গে ১০৫টি খেলায় অংশ নেন। ওয়াশিংটনে দাবার ওই আসর বসেছিল।

প্রথম টুইট
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যমগুলোর একটি টুইটার। ২০০৬ সালের এই দিনে প্রথম টুইট করা হয়। টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি প্রথম টুইট করেন। টুইটারের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো। বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক।

Source: প্রথম আলো

image
40 m ·Translate

শরীরের উত্তাপ থেকে জ্বালানি উৎপাদন
***********************************************************************
ব্যক্তিগত স্তরে জ্বালানি সাশ্রয়ের ভাবনা অনেকের জন্যই অস্বস্তির বিষয়। স্কটল্যান্ডের এক ক্লাব গ্রাহকদের পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখার অভিনব সুযোগ করে দিচ্ছে। ক্লাবের জ্বালানির ব্যবহারও কমে চলেছে।

গ্লাসগো শহরের ‘এসডব্লিউজিথ্রি’ ক্লাব পার্টির অতিথিদের শরীরের উত্তাপ সংরক্ষণ করে পুনর্ব্যবহার করে। ‘বডিহিট’ নামের প্রণালির আওতায় ডান্স ফ্লোরকে ছোটখাটো জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়। প্রত্যেক মানুষের অবদান দেড় শ থেকে সাড়ে চার শ ওয়াট।

২০২২ সাল থেকে ক্লাবটি সারা দিন ধরে সেই জ্বালানি ব্যবহার করে। জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির মাত্রা শূন্যে নিয়ে আসাই ক্লাবের লক্ষ্যমাত্রা। ক্লাবের অপারেশনস ম্যানেজার বব জাভাহেরি বলেন, ‘আমরা উত্তাপের ফলে সৃষ্টি হওয়া শক্তি ধারণ করে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। সেই শক্তি সংরক্ষণ করে সেটি দিয়ে সরাসরি বা পরে কোনো সময়ে হিটিং বা এয়ারকন্ডিশনিং করার চেষ্টা করছি। এভাবে নিজেদের এনার্জি ফুটপ্রিন্ট এবং বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে চাই। সেই সঙ্গে গ্যাসের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে চাই।’

এই প্রক্রিয়ায় সিলিংয়ে বসানো বিশেষ ফ্যান তিনটি ডান্সফ্লোর থেকে উষ্ণ বাতাস শুষে নেয়। তারপর হিট পাম্প সেই শক্তি একধরনের তরলের মাধ্যমে উঠানে পাঠিয়ে দেয়। দুটি ১০০ মিটার গভীর গর্তে সেই তরল সংরক্ষণ করা হয় এবং পরে সেটির উত্তাপ ব্যবহার করা হয়।

এমন উদ্ভাবন সত্যি অনবদ্য। জ্বালানি ক্ষেত্রের প্রকৌশলী হিসেবে ডেভিড টাউন্সএন্ড তিন বছর ধরে সেটি তৈরি করেছেন। টাউনরক এনার্জি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি এই প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এক মিনিট বা তারও কম সময়ে সিলিংয়ের বাক্স থেকে উত্তাপ সরাসরি গর্তে চলে যায়। সেই উত্তাপ প্রয়োজনমতো সময়ে ধারণ করা যায়। যেমন রাতে উত্তাপ ভরে দিনের বেলায় সেটা বের করতে পারি। অথবা গ্রীষ্মে আমরা অনেক পরিমাণ উত্তাপ সঞ্চয় করে শীতে তা ব্যবহার করতে পারি। অর্থাৎ সংরক্ষণের সময়কাল প্রয়োজন অনুযায়ী মানিয়ে নিতে পারি।’

কিন্তু সেই প্রণালি কত পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড কমাতে পারে এবং আদৌ কতটা টেকসই। এমন প্রশ্নের উত্তরে ডেভিড টাউন্সএন্ড বলেন, ‘হিট পাম্প সত্যি খুব দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে। তা ছাড়া সামান্য পরিমাণ বৈদ্যুতিক শক্তি দিয়ে অনেক হিটিং বা কুলিং করা সম্ভব। অর্থাৎ হিটিং সিস্টেম থেকে গ্যাস বয়লার সরিয়ে আমরা বছরে ৭০ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড সাশ্রয় করছি। বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে আসে। কিন্তু এই ক্লাব ১০০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুতের ট্যারিফ বেছে নিয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ শুধু পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎস থেকেই আসছে। স্কটল্যান্ডে এমন বৃষ্টির দিনে সেই বিদ্যুৎ বায়ুশক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত হয়।’

প্রায় সাড়ে সাত লাখ ডলার মূল্যের ‘বডিহিট’ প্রণালি বসানোর খরচ মোটেই কম নয়। তা সত্ত্বেও অন্যান্য ক্লাবও সেই পথে অগ্রসর হতে চাইছে। বব জাভাহেরি মনে করেন, ‘বর্তমানে সবার কাছে টেকসই প্রক্রিয়া সত্যি গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পক্ষেত্রে সাসটেইনেবিলিটির পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে টিকে থাকার উপায় ভাবতে হবে। আমাদের জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে, সেই দিশায় আরও এগিয়ে যেতে হবে। “বডি হিটের” সুন্দর বিষয় হলো, গ্রাহকদের সেই কাজে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে এবং তাদের নতুন করে কিছুই করতে হচ্ছে না। তারা ক্লাবে এসে নেচে আনন্দ পেলেই চলবে। তাঁরা সক্রিয়ভাবে এমন পরিবেশে জ্বালানির ব্যবহার কমাতে অবদান রাখছেন।’

পরিবেশ সংরক্ষণ যে বেশ আমোদ দিতে পারে, স্কটল্যান্ডের এই ক্লাব পথপ্রদর্শক হিসেবে তা দেখিয়ে দিচ্ছে। যত নৃত্য চলবে, পৃথিবীর ততই উপকার হবে।

Source: প্রথম আলো

image
1 h ·Translate

বার্তাকক্ষে খাম খুলে বোমা পেলেন সাংবাদিক, বিস্ফোরণ
***********************************************************************
ইকুয়েডরে সাংবাদিকদের কাছে খামে ভরে বোমা পাঠানো হচ্ছে। এ ধরনের বোমার শিকার হয়েছেন একজন উপস্থাপক। তাঁর নাম লেলিন আরতিয়েদা। বার্তাকক্ষে তাঁর কাছে একটি খাম ডাকযোগে পাঠানো হয়েছিল। সেটি খুলে একটি ইউএসবি ড্রাইভ পান তিনি। পরে সেটি কম্পিউটারে যুক্ত করলেই বিস্ফোরণ ঘটে।

বোমা পাঠানোর ঘটনায় গতকাল সোমবার সন্ত্রাসবাদের তদন্ত শুরু করেছে ইকুয়েডরের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর। তবে কোন কোন সংবাদমাধ্যমে এই বোমা পাঠানো হয়েছে, তা উল্লেখ করেনি দপ্তরটি। দেশটির অন্তত পাঁচটি সংবাদমাধ্যমে এভাবে বোমা পাঠানো হয়েছে।

বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন উপস্থাপক লেলিন আরতিয়েদা। তবে অন্য সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বোমাগুলো হয় বিস্ফোরিত হয়নি, অথবা সন্দেহ হওয়ায় খাম খোলা হয়নি। ইকুয়েডরের ফরেনসিক সায়েন্স প্রধানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বোমাগুলোয় সামরিক বাহিনী যে ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করে, তেমন বিস্ফোরক ছিল।

ইকুয়েডর সরকার এক বিবৃতিতে বোমা পাঠানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভয়ভীতি দেখানোর যেকোনো প্রচেষ্টা একটি ঘৃণ্য কাজ। কঠোর বিচারের মাধ্যমে একে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

খামে করে ইউএসবি ডিভাইস সদৃশ বোমাগুলো একই শহর থেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুয়ান জাপাতা। তিনি বলেন, তিনটি বোমা গুয়াইয়াকিল শহরের সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। আর দুটি বোমা পাঠানো হয়েছে রাজধানী কিটোর সংবাদমাধ্যমগুলোয়।

লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে দিন দিন সহিংসতা বেড়েই চলেছে। বিগত মাসগুলোতে বেড়েছে খুনোখুনি। দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলেরমো লাসোর ভাষ্যমতে, বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাদক পাচারকারী দলগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে এসব সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।

Source: প্রথম আলো

image
1 h ·Translate

মার্কিন আগ্রাসনের ফল এখনো ভোগ করছে ইরাকবাসী
***********************************************************************
ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের ২০ বছর হয়ে গেল। যে কারণ দেখিয়ে এই আগ্রাসন হয়েছিল, তা ছিল মিথ্যা। তার ফল এখনো ভোগ করতে হচ্ছে। দুই দশক পরও ইরাকে সহিংসতা, হত্যা থামেনি। গত ফেব্রুয়ারিতেও বোমা, গুলি ও অন্য সহিংসতার বলি হয়েছেন ৫২ জন। ২০০৩ সালের মার্চে যে আগ্রাসন শুরু হয়েছিল, এটি তারই প্রভাব।
মার্কিন জোটের আগ্রাসন ও প্রচারের সামনে ইরাক কিছুই করতে পারেনি। সেই জোটে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ছিল অস্ট্রেলিয়া ও পোল্যান্ড। অভিযান চালানোর তিন সপ্তাহের মধ্যে সাদ্দাম হোসেনের শাসনের পতন ঘটে।

রণতরি ইউএসএস আব্রাহাম লিংকনের ডেকে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ঘোষণা করেন, মিশন সফল।

সেই সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও তার জোটসঙ্গীরা ২৯ হাজার ১৬৬টি বোমা ও রকেট ইরাকে ফেলেছিল। এতে ইরাকি পরিকাঠামোর বড় অংশ মাটিতে মিশে গিয়েছিল। যুক্তরাজ্যের বেসরকারি সংস্থা বেবিকাউন্টের হিসাবে, ইরাক যুদ্ধে সাত হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ মারা গিয়েছিল। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২ থেকে ১০ লাখের মধ্যে।

২০১১ সালে মার্কিন সেনা ইরাক ছাড়ে। পরে তারা ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আবার ফিরে আসে।

যুদ্ধজয়ের পরও শান্তি ফিরল না
যুক্তরাষ্ট্রের ধাঁচে ইরাকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ইরাকের পরিস্থিতি ও সামাজিক অবস্থান ছিল আলাদা। সেখানে ধর্মীয় ও জাতিগত জটিলতা ছিল প্রবল। যুক্তরাষ্ট্রের অধিকারে থাকা প্রশাসনের সেই প্রস্তুতিও ছিল না। ২০০৩ সালের ১৯ আগস্ট বাগদাদে জাতিসংঘের অফিস চত্বরে বিস্ফোরণে ২২ জনের মৃত্যু হয়।

সাবেক ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল জাবিয়ার সোলানা বলেছিলেন, যদি এই অভিযানের লক্ষ্য থাকে ইরাককে সন্ত্রাসমুক্ত করা, তার পুনর্গঠন ও সর্বস্তরে সুরক্ষা বাড়ানো, তাহলে এই লক্ষ্যপূরণ হয়নি।

আন্তর্জাতিক আইনভঙ্গ
আইনবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কাই অ্যামবোস জানিয়েছেন, ‘ইরাকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তা জাতিসংঘের চার্টার ও আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে এই আগ্রাসন হয়নি। তাহলে একমাত্র আত্মরক্ষার জন্যই এ ধরনের আগ্রাসন করা যেতে পারে।’

অ্যামবোস আরও বলেন, ‘এখানে আত্মরক্ষার কোনো বিষয় ছিল না।’ তা ছাড়া সেই সময়ে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানও বলেছিলেন, ওই আগ্রাসন ‘বেআইনি।’

জার্মানি এই যুদ্ধে অংশ নেয়নি। তবে জার্মানি গোয়েন্দা তথ্য ও অর্থ দিয়ে এই আগ্রাসন সমর্থন করেছিল। এভাবে তারা বেআইনি আগ্রাসনকে সমর্থন করেছিল বলে অ্যামবোস জানিয়েছেন।

অত্যাচার ও যুদ্ধাপরাধ
২০০৪-এর প্রথম দিকে ইরাকে যুদ্ধাপরাধ ও অত্যাচারের যে খবর সামনে আসে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি আরও ক্ষুণ্ন হয়। সাদ্দামের আমলে কুখ্যাত জেলে মার্কিন আগ্রাসনের সময়কার যে ছবি সামনে আসে, তাতে শিউরে উঠতে হয়।

মার্কিন সেনারা বেসামরিক মানুষের ওপরও অত্যাচার করে। ২০০৫-এ হাদিথাতে মার্কিন নৌসেনা গুলি করে ২৪ জন নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করে। ২০০৭-এ মার্কিন কনট্রাক্টর গুলি করে ১৭ জনকে মারে। উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন হেলিকপ্টার নিরপরাধ মানুষের ওপরও আক্রমণ চালিয়েছিল।

মিথ্যা যুক্তি
যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ইরাকের হাতে এমন অস্ত্র আছে, যা দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালানো সম্ভব। দেখা গেছে, এমন কোনো অস্ত্র ইরাকের হাতে ছিল না। তাদের এই যুক্তি মিথ্যা ছিল।

অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি ছিল, সাদ্দামের সঙ্গে আল-কায়েদা ও ওসামা বিন লাদেনের সম্পর্ক ছিল। এই যুক্তিও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিফেন ওয়াল্ট বলেছেন, ‘আসলে যুক্তরাষ্ট্র আগে ঠিক করে নিয়েছিল তারা কী করবে। তারপর তারা যুক্তি সাজিয়েছিল। এমন নয়, গোয়েন্দারা এসব তথ্য দিয়েছিলেন। এসব যুক্তি তৈরি করা হয়েছিল।’

Source: প্রথম আলো

image
1 h ·Translate

অ্যামাজন আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে
***********************************************************************
ই–কমার্স কোম্পানি অ্যামাজন আবারও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল সোমবার প্রতিষ্ঠানটি এই ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয় অ্যামাজন।

অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সারা বিশ্বের শ্রমবাজার এখন অস্থিতিশীল। প্রায় সময় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করেছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে গুগল, মেটা, টুইটারসহ বড় বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাইয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বে প্রথম একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঢল শুরু হয়। সেই ঢল এখনো অব্যাহত। প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও অর্থ, গণমাধ্যম, অটোমোটিভসহ আরও নানা সেক্টর থেকে কর্মী ছাঁটাই চলছে।

সারা বিশ্বে অ্যামাজনে প্রায় ৩ লাখ করপোরেট কর্মী আছেন। এর মধ্যে গত কয়েক মাসে প্রতিষ্ঠানটি ২৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে, যা মোট কর্মীর ৯ শতাংশ। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমে গেছে।

এবার প্রতিষ্ঠানটির অত্যন্ত লাভজনক ক্লাউড ও বিজ্ঞাপন বিভাগ থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হবে। অ্যামাজনের স্ট্রিমিং ইউনিট টুইচ থেকেও কিছু কর্মী ছাঁটাই করা হবে।

গত সপ্তাহে টুইচের প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে ড্যান ক্ল্যান্সির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে চার শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করা হবে।

এই ৯ হাজার কর্মীর মধ্যে কাদের ছাঁটাই করা হবে, তা আগামী এপ্রিলের মধ্যে চূড়ান্ত করবে অ্যামাজন।

ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজ বিশ্লেষক মাইকেল প্যাচার বলেন, ভবিষ্যতে কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর আগে অবশ্যই আরও সতর্ক হতে হবে।

অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি কর্মীদের উদ্দেশ করে একটি নোটে বলেছেন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে গুরুত্ব বিবেচনা করে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, কয়েক মাস আগে যখন ছাঁটাই করা হয়েছিল, তখন কেন একসঙ্গে কাজটি করা হয়নি। এর সংক্ষিপ্ত উত্তর হলো, সব কটি বিভাগ তাদের কর্মী বিশ্লেষণ শেষ করতে পারেনি। আমরা এখন অনিশ্চিত অর্থনীতির ভেতর আছি, অদূর ভবিষ্যতেও তা বিদ্যমান থাকবে। এ কারণে আমরা ব্যয় কমাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

গত সপ্তাহে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা আরও ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে যে পাঁচ হাজার পদ শূন্য রয়েছে, সেসব পদেও এখন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে মেটা তাঁদের ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে। সে সময় ছাঁটাই হয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ১৩ শতাংশ কর্মী। গত ৫ মাসের মধ্যে মেটা ২১ হাজার অর্থাৎ প্রায় ২৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করল। গত বছরের শেষ তিন মাসে কোম্পানির আয় আগের বছরের চেয়ে কমে যাওয়ায় কর্মী ছাঁটাই শুরু করে মেটা।

Source: প্রথম আলো

image