#প্রেক্ষাপট_১ 
উচ্চ বেতনে চাকুরি করা এক যুবক আরেক গরীব যুবককে প্রশ্ন করলো, 
- তুমি কোথায় চাকুরি করো? 
- একটা কোম্পানিতে । 
- স্যালারি কতো? 
- ১০০০০ টাকা। 
- মোটে দশ হাজার? চলো কিভাবে? তোমার মালিক তোমার প্রতি অবিচার করছে। তুমি যেই ছেলে তোমার যা যোগ্যতা,তাতে হেসেখেলেই তুমি অনেক টাকা বেতন পেতে পারো। 
যুবকের মেজাজ খাট্টা হয়ে গেলো। নিজের কাজের প্রতি ও বসের প্রতি  
বেজায় রুষ্ট হয়ে উঠলো। পরদিন গিয়ে সরাসরি বসকে জুলুমের কথা জানালো। কথা কাটাকাটি হওয়ার একপর্যায়ে বস তাকে চাকরিচ্যুত করলো। 
এখন যুবকটি বেকার।  
#প্রেক্ষাপট_২ 
- তোমার প্রথম সন্তান হলো বুঝি? 
- জ্বি। 
- তোমার স্বামী এ উপলক্ষ্যে তোমাকে কিছু দেয় নি? উপহার, টাকা বা এ জাতীয় কিছু? 
- না। কেন দিবে? এ তো আমাদেরই সন্তান! উপহার বা টাকা দিতে হবে কেন? 
- কেন তোমাকে হাত খরচার জন্যেও তো দু’চার পয়সা দিতে পারে। তার কাছে কি তোমার কোনও মূল্য নেই? তুমি চাকরানি? 
স্ত্রীর মনে ধরলো কথাটা।  
সারাদিন কথাটা ভাবতে ভাবতে মনটা বিষিয়ে উঠলো। সত্যিই তো! আমাকে একটা টাকাও কখনো ছোঁয়ায় না! রাতে কর্মক্লান্ত স্বামী ঘরে ফিরলো।  
স্ত্রীর মুখ দিয়ে বোমা বিস্ফোরিত হলো।  
লেগে গেলো দু’জনে। কথা কাটাকাটি। ঝগড়া। ঝগড়া। পরে হাতাহাতি। শেষ পর্যন্ত তালাকে গিয়ে গড়ালো। 
#প্রেক্ষাপট_৩ 
- এই বৃদ্ধ বয়েসে কষ্ট করছেন? ছেলে ঢাকায় থাকে,বড় চাকুরি করে শুনেছি। মস্ত বড় ফ্ল্যাটে বউ-বাচ্চা নিয়ে থাকে। আপনাদের দু’জনকে সাথে নিয়ে যেতে পারে না? আপনাদের দেখতেও তো আসে না! 
- না না, ছেলে আমার খুবই ব্যস্ত। টাকা পাঠায় তো। ফোনে ও খোঁজ-খবর নেয় নিয়মিত। 
- কী এমন ব্যস্ততা তার শুনি? নিজের জন্মদাতা-জন্মদাত্রীকে দেখতে আসার সময় হয় না? 
- সারাদিন অফিস-বাসা করতে করতেই তো তার সবটা সময় চলে যায়! 
- আপনি খোঁজ নিয়েছেন? সে ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছে।  
আর আপনারা অজপাড়াগাঁয়ে ধুঁকছেন? 
বৃদ্ধ বাবা বাসায় এসে স্ত্রীকে খুলে বললো।  
স্ত্রীও বাধা দিল, 
- আপনি ভুল শুনেছেন। সে আসলেই ব্যস্ত। 
- নাহ,সেকি কি মিথ্যা বলতে পারেন?  
আহা রে! কাকে বুকের রক্ত পানি করে বড় করলাম?এটা ভেবেই করে বসলেন ব্রেইন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক!  
# এবার_আসি_মূলকথায় 
-কিছু নিরীহ-অযাচিত প্রশ্ন আমাদের সুখী জীবনকে ক্ষণিকের মধ্যেই দুঃখী করে দিতে সক্ষম। 
-আমাদের সমাজে ছদ্মবেশী দরদীরা নিরন্তর শান্ত জীবনে অশান্তির দাবানল জ্বালিয়ে দেয়। 
-ছদ্মবেশী ডাইন/ডাইনীগুলো নিজের থেকে কিন্তু আপনাকে কিছুই দিবেনা। কিন্তু অন্যের থেকে অবৈধভাবে আদায় করার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়ে আপনাকে জিতিয়ে দেয়ার নামে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে। 
#গল্পের_হিতোপদেশঃ 
---জীবনে ৩য় ব্যাক্তি কে প্রবেশ করার সুযোগ দেবেন না। আর যদিও কোন ভাবে ঢুকে যায় তাহলে যথা সম্ভব তার কথা কানে তুলবেন না। ৩য় ব্যাক্তি হতে সাবধান। 
 
read more: anuperona.com