রানী ভবানীর বাপের বাড়ি
বগুড়া জেলার সান্তাহারের ছাতিয়ানগ্রামে রানী ভবানীর জন্মগ্রহণ করেন। সংস্কার এবং সংরক্ষণের অভাবে রানী ভবানীর বাপের বাড়ি (Rani Bhabani’s Father House) আজ ধ্বংসের পথে। প্রচলিত আছে সপ্তদশ শতাব্দীতে ছাতিয়ানগ্রামের জমিদার আতারাম চৌধুরী ছিলেন নিঃসন্তান। আতারাম চৌধুরী সন্তান লাভের আশায় বাড়ীর কাছে নির্জন পুকুর পাড়ে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পূজা-অর্চনা করেন। পরবর্তীতে তার স্ত্রীর গর্ভে ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হলে তার নাম রাখা হয় ভবানী। জমিদার যেস্থানে সাধনা করে সিদ্ধি লাভ করেন সে জায়গাটি সিদ্ধেশ্বরী নামে পরিচিত হয়ে উঠে।
ভবানীর ১০ বছর বয়সে নাটোরের রাজকুমার রামকান্তের সাথে ভবানীর বিয়ের প্রস্তাব আসে। ভবানীর ৩টি শর্তে বিয়েতে রাজী হন। ভবানীর শর্ত ছিল বিয়ের পর আরও এক বছর পর্যন্ত তিনি তার বাবার বাড়ীতেই থাকবেন। আর সেই এক বছরে ছাতিয়ানগ্রামে প্রতিদিন একটি করে পুকুর খনন করে দিতে হবে। ছাতিয়ানগ্রাম থেকে নাটোর পযর্ন্ত লাল সালুর কাপড় দিয়ে ছাউনীযুক্ত নতুন রাস্তা তৈরী করতে হবে। আর এলাকার প্রজাদের ভূমিদান করে তাদের স্বাবলম্বী করতে হবে। ভবানীর শর্তগুলো পালনের চিহ্ন ছাতিয়ানগ্রামে আজও রয়েছে।
রাজা রামকান্তের মৃত্যুর পর ১৭৪৮ সালে রানী ভবানী নাটোরের জমিদারি গ্রহন করে ১৮০২ সালে পযর্ন্ত পরিচালনা করেন। প্রচলিত আছে নবাব সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সভায় রানী ভবানীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু রানী ইংরেজদের বিরোধিতা করেছিলেন।

James Boss
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟
Saiful Islam
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟
Salim Khan
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟