গোবিন্দ ভিটা বাংলাদেশের বৃহত্তর বগুড়াতে অবস্থিত একটি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি করতোয়া নদীর বাঁকে মহাস্থান দুর্গনগরীর সন্নিকটে উত্তর দিকে অবস্থিত। ১৯২৮-২৯ সালে খনন করা গোবিন্দ ভিটায় দুর্গ প্রাসাদ এলাকার বাইরে উত্তর দিকে অবস্থিত।
গোবিন্দ ভিটা শব্দের অর্থ গোবিন্দ (হিন্দু দেবতা) তথা বিষ্ণুর আবাস। কিন্তু বৈষ্ণব ধর্মের কোনো নিদর্শন এ স্থানে পাওয়া যায়নি। তবুও প্রত্নস্থলটি স্থানীয়ভাবে গোবিন্দ ভিটা নামে পরিচিত।
মহাস্থানগড় দুর্গ নগরীর প্রাচীরের অদূরে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত গোবিন্দ ভিটা নামক একটি অসমতল ঢিবিতে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন চালিয়ে ২০০/১২৫’ পরিমাপের একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে। এখানে প্রাপ্ত বিভিন্ন হস্তান্তরযোগ্য প্রত্ননিদর্শণ, ইটের মাপ ব্যবহৃত মসল্লা, স্থাপত্যিক বির্নাস ইত্যাদির ভিত্তিতে অনুমিত হয় যে, মন্দিরটি খ্রীষ্ঠীয় আনুমানিক সাত শতকে নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটিতে একাধিকবার পুনঃনির্মানের নিদর্শণ লক্ষ্য করা যায়। খ্রিস্টীয় ১২শ-১৩শ শতকে রচিত সংস্কৃতি গ্রন্থ ‘‘করতোয়া মহাত্ন্য’’ এ মন্দিরটির কথা উল্লেখ রয়েছে। এটি গোবিন্দ বা বিষ্ণু মন্দির নামে পরিচিত হলেও এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যাইনি যার ওপর ভিত্তি করে এটিকে বৈষ্ণব মন্দির বলা যেতে পারে।
এ প্রত্নস্থলে আবিস্কৃত অন্যান্য প্রত্নবস্ত্তর মধ্যে ছাঁচে ঢালা তাম্র মুদ্রা, রৌপ্য মুদ্রা, উত্তর ভারতীয় কালো চকচকে মৃৎপাত্রের টুকরা, শুঙ্গযুগীয় শিল্প বৈশিষ্ট্যমন্ডিত পোড়ামাটির ফলক, ব্রাক্ষী হরফ সংবলিত পোড়ামাটির সীল, স্বল্প মূল্যবান পাথর গুটিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হওয়ায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।





Reet Dey
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?
James Boss
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?