সান্তাহারে ‘সান্তাহার সাইলো’ নামের এই খাদ্যগুদাম অবস্থিত। উত্তরবঙ্গের যারা অধিবাসী কিংবা যাদের ওদিকে ট্রেনে যাতায়াত রয়েছে তারা অনেকেই সান্তাহার জংশনের সাথে পরিচিত, এই সান্তাহার শহর থেকে অল্প কিছু দূরত্বে পৌর এলাকার আমঝুপিতে ১৯৬৯-৭০ সালে এই সাইলো স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। বাংলাদেশের মোট ৪টি সাইলোর একটি এই সান্তাহারে অবস্থিত। প্রায় ১৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে এর নির্মাণকাজ করা হয়। সেসময় জমি কেনাসহ ২৩ তলার সমান উচ্চতার দুটি ও ২৫ তলার সমান একটি ভবনসহ সব অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৪০ লাখ ৪০ হাজার ৬৫ মার্কিন ডলার।
তখন এখানে উন্নতমানের গম সংরক্ষণ করার জন্য বীণ পদ্ধতি ব্যবহৃত হতো। সেসময়ে গম সংরক্ষণের ব্যবস্থা ব্যতীত এখানে অন্য কোনো খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। বর্তমানে স্থানীয় কৃষকদের দাবির মুখে এবং খাদ্যশস্য সংরক্ষণের তাগিদে আধুনিক খাদ্য গুদামটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর নির্মাণশৈলি যেকোনো মানুষের নজর কেড়ে নিতে সক্ষম, গোলাকার ভীমের এই স্থাপনাটি তাই পর্যটকদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে এই আধুনিক খাদ্য গুদামটির উদ্ভোধন করেন। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই খাদ্য গুদামে প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। সান্তাহার খাদ্যশস্য সাইলো ক্যাম্পাসে নির্মিত এই মাল্টিস্টোরিড ওয়্যারহাউজ গ্রেইন সাইলো নির্মানে অর্থায়ন করে দাতা সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। আধুনিক এই গুদামটি কৃষকদের ব্যাপক লোকসানের হাত থেকে যেমন রক্ষা করে তেমনই বিদেশে রপ্তাতিতেও গুনগতমান রক্ষায় সহযোগিতা করে থাকে। তাছাড়া সৌর শক্তির মাধ্যমে এই খাদ্য শস্যটি ব্যবস্থাপনার জন্য সৌর প্যানেল বসানো হয়। গুদামের ছাদ জুড়ে শতাধিক সোলার প্যানেল স্থাপন থেকে মোট ৩৬০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।

Ashikur Rahman
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?
Md Mohin Uddin
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?