মেয়েকে পরীক্ষাকেন্দ্রে দিয়ে স্বামীর লাশ দাফনের জন্য রওনা দিলেন স্ত্রী
***********************************************************************
বাড়ি ফেনীতে হলেও স্বামীর চাকরির সূত্র ধরে সপরিবার থাকেন কক্সবাজার। মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার আগমুহূর্তে সকালে হঠাৎ মৃত্যু হয় স্বামীর। একদিকে স্বামীর লাশ গ্রামে নিয়ে গিয়ে দাফন করা, অন্যদিকে মেয়েকে পরীক্ষার কেন্দ্রে পাঠানোর তাড়া। শোকাহত স্ত্রী মৃত স্বামীকে হাসপাতালের লাশঘরে রেখেই মেয়েকে পাঠালেন পরীক্ষার কেন্দ্রে। এরপর দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে লাশ দাফনের জন্য রওনা হলেন শ্বশুরবাড়িতে।

আজ রোববার এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিনে ঘটেছে এ ঘটনা। নিহত ব্যক্তির নাম আবুল কাশেম। দুপুরে তাঁর স্ত্রী রোকসানা আক্তার স্বামীর লাশ নিয়ে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছান।

আবুল কাশেম একটি টোব্যাকো কোম্পানিতে চাকরি করতেন। দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজার সদর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। আজ ভোরে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আবুল কাশেম ও রোকসানা আক্তার দম্পতির মেয়ে ফাহমিদা আক্তার এবার কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। রোকসানা আক্তার দুপুরে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছেই স্বামী ও মেয়ের কথা বলে আহাজারি করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। এ সময় বাড়ির লোকজন নানাভাবে তাঁকে সান্ত্বনা দেন।

ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, মেয়েকে পরীক্ষাকেন্দ্রে রেখে স্বামীর লাশ নিয়ে রোকসানা আক্তারের বাড়িতে ফেরার ঘটনা এলাকার মানুষের মনে বিষাদের ছায়া ফেলেছে। বিকেলে আসরের নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে আবুল কাশেমের লাশ দাফন করা হয়।বাড়ি ফেনীতে হলেও স্বামীর চাকরির সূত্র ধরে সপরিবার থাকেন কক্সবাজার। মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার আগমুহূর্তে সকালে হঠাৎ মৃত্যু হয় স্বামীর। একদিকে স্বামীর লাশ গ্রামে নিয়ে গিয়ে দাফন করা, অন্যদিকে মেয়েকে পরীক্ষার কেন্দ্রে পাঠানোর তাড়া। শোকাহত স্ত্রী মৃত স্বামীকে হাসপাতালের লাশঘরে রেখেই মেয়েকে পাঠালেন পরীক্ষার কেন্দ্রে। এরপর দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে লাশ দাফনের জন্য রওনা হলেন শ্বশুরবাড়িতে।

আজ রোববার এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিনে ঘটেছে এ ঘটনা। নিহত ব্যক্তির নাম আবুল কাশেম। দুপুরে তাঁর স্ত্রী রোকসানা আক্তার স্বামীর লাশ নিয়ে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছান।

আবুল কাশেম একটি টোব্যাকো কোম্পানিতে চাকরি করতেন। দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজার সদর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। আজ ভোরে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আবুল কাশেম ও রোকসানা আক্তার দম্পতির মেয়ে ফাহমিদা আক্তার এবার কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। রোকসানা আক্তার দুপুরে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছেই স্বামী ও মেয়ের কথা বলে আহাজারি করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। এ সময় বাড়ির লোকজন নানাভাবে তাঁকে সান্ত্বনা দেন।

ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, মেয়েকে পরীক্ষাকেন্দ্রে রেখে স্বামীর লাশ নিয়ে রোকসানা আক্তারের বাড়িতে ফেরার ঘটনা এলাকার মানুষের মনে বিষাদের ছায়া ফেলেছে। বিকেলে আসরের নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে আবুল কাশেমের লাশ দাফন করা হয়।

source : প্রথম আলো

image