এদেশের মানুষ একবার রাস্তায় নামলে বিজয় ছাড়া ঘরে ফেরে না
অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি। বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন থেকে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে কখনো চূড়ান্ত মনোনয়ন পাননি।
২০২৩ সালের শেষ দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ওই নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনি। সেজন্য নির্বাচনী এলাকায় সাংগঠনিক প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আসনটি নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জাগো নিউজকে জানিয়েছেন রফিক শিকদার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক খালিদ হোসেন।
জাগো নিউজ: রাজনীতিতে কেন এলেন? শুরুটা কেমন ছিল?
রফিক শিকদার: সামাজিক প্রয়োজনে ও পারিপার্শ্বিক কারণে মানুষ সংগঠিত হয়। সমাজ ও জীবনের সঙ্গে অধিকার নিবিড়ভাবে জড়িত। সেই দাবি থেকেই মানুষ বিভিন্ন সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। একার পক্ষে সম্ভব নয় বলেই গোষ্ঠী বা দলভিত্তিক হয়ে মানুষ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে শক্তি ও সংগঠনের তাগিদ অনুভব করে। দেশ ও জনগণের মৌলিক অধিকার এবং চাহিদা আদায় করতেই রাজনীতিতে আসা।
১৯৮৫ সালের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে দেখলাম সাধারণ ছাত্রদের অধিকারের মিছিলে গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। জানতে পারলাম ১৯৮৩ সালে মজিদ খান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে স্বৈরাচারের ট্রাকের চাকায় পিষ্ট করা হয় সেলিম দেলোয়ারকে। এমনিভাবে জয়নাল, জাফর, দিপালী সাহা, রাউফুন বসুনিয়ার তাজা রক্তে রঞ্জিত হয় পিচঢালা রাজপথ। স্বৈরাচারের নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে সেদিন আমিও রাজপথে নেমে আসি, ‘শহীদ’ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পতাকা হাতে।
১৯৮৭ সালের নভেম্বর মাসে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে টিএসসি থেকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পল্টনে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় স্বৈরাচারের পেটোয়া বাহিনীর টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জের শিকার হই। ম্যাডাম এবং অনেক জাতীয় ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী আক্রান্ত হই সেখানে। আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নেওয়া হয়।