আজ থেকে বহুকাল পূর্বের কথা। তখনকার যুগে যােগাযােগ ব্যবস্থা এত উন্নত ছিল না। ছিল না বাস, ট্রেন, লঞ্চ, প্রাইভেট কার ও উড়ােজাহাজের ন্যায় অত্যাধুনিক যােগাযােগ ব্যবস্থা। লােকজন সাধারণতঃ ঘােড়া কিংবা উটের উপর আরােহণ করেই একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করত।
হযরত সুলাইমান (আ.) ছিলেন আল্লাহর নবী।-আল্লাহ পাক তাকে দান করেছিলেন এক অসাধারণ ক্ষমতা। তিনি বিশাল তখতের উপর বসে অল্প সময়ের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারতেন। তাঁর সফর হতাে আকাশ পথে, সঙ্গে থাকতাে অসংখ্য অনুসারী ও ভক্তবৃন্দের দল। সমস্ত সৃষ্টি জগত তার কথা শুনতে ও মানতাে।
একদিন হযরত সুলাইমান (আ.) সাথী সঙ্গীদের নিয়ে সফর করছিলেন। পথিমধ্যে ছিল একটি বিশাল সমুদ্র। সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার সময় হঠাৎ হযরত সুলাইমান (আ.) এর দৃষ্টি পানির উপর পড়ল। তিনি লক্ষ্য করে দেখলেন, এক জায়গার পানি খুব দ্রুত ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু আশে পাশের পানি একেবারেই স্থির। এ দৃশ্য অবলােকন করে তিনি ভাবলেন, নিশ্চয়ই এখানে কোন রহস্য আছে। রহস্য উৎঘাটনের জন্য প্রথমে তিনি বাতাসকে থামতে হুকুম করলেন। বাতাস থেমে গেল। তারপর ইফরিত নামক জীনকে বললেন, সমুদ্রের যে স্থানে পানি ঘূর্ণিপাক খাচ্ছে তুমি সেখানে ডুব দিয়ে রহস্য তালাশ কর।
Read more https://www.anuperona.com/kubba/?swcfpc=1