একবার এক ইসলামিক স্কলার আমাকে বলেছিলেন - জীবনে দুইটা ফিলোসোফী মেনে চলার চেষ্টা করবেন ।
প্রথমত -
কারো রিজিক নষ্ট করা যাবেনা - এটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ । এই কাজটা আমরা প্রতিনিয়তই করি । ঘুষ , সুদ , কাওকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যূত করা , বিচারে অপরাধীর পক্ষ নেয়া , ওজনে কম দিয়ে দেয়া ইত্যাদি ।
ধরুণ - এক কলিগ হিংসা বশবর্তী হয়ে আরেক কলিগের নামে বসের কাছে কিলিগ লাগিয়ে দিলো , বছর শেষে তার ইনক্রিমেন্ট/ বেতন কমে গেলো , ইনডিরেক্টলি তার শিশু সন্তানের রিজিকে আঘাত পড়লো । সেই কলিগ হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক নষ্ট করলেন - যতোই টক্কাটক্কি করেন না কেনো , নামাজ পড়ে কপালে দাগ ফালায়া দেন না কেনো - মজলুম মাফ করা না পর্যন্ত তিনি লটকে থাকবেন , ক্ষমা পাবেন না ।
দ্বিতীয়ত -
হাক্কুলাহ বা আল্লাহর হক - নামাজ, রোজা এসবের গাফিলতির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করার সর্বময় ক্ষমতা রাখেন। কারণ - এই হক আল্লাহর নিজের হক।
হাক্কুল ইবাদ নষ্ট কইরা হাক্কুল্লাহ নিয়া টানাটানি করা মানে পরীক্ষায় ০০ পাওয়া । লাভ নাই কোনো ।
ইমাম গাজ্জালীর একটা উক্তি মনে পরলো - " ময়লা কাপড়কে প্রশ্রাব দিয়া ধৌত করা আর হারাম রিজিক নিয়া আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার প্রচেষ্টা - দুটোই একই । "
সময় খুব খারাপ , সিম্পল ফিলোসফীতে থাকি , আমি বাবা এই দুইটাই মাইনা চলার চেষ্টা করি ।
হাক্কুল্লাহর চেয়েও আমার ভয় বেশি হাক্কুল ইবাদে ।
হাক্কুল্লাহ তওবা করে ম্যানেজেবল , হাক্কুল ইবাদ ম্যানেজেবল না যতোক্ষণ না মজলুম নিজে আমাকে ক্ষমা না করে ।
Collected