মানুষকে জিজ্ঞেস করবেন না, চাকরি বাকরির কি খবর! তার চাকরি নিয়ে আপনার চেয়ে তার চিন্তা-ভাবনা অনেক বেশি। এইসব প্রশ্ন একটা বেকার মানুষকে কত কিছুর মধ্য দিয়ে নিয়ে যায় সেটা আপনারা জানেন না অবশ্যই। তাই এই প্রশ্ন করবেন না।
.
মানুষকে জিজ্ঞেস করবে না, বিয়ে কবে করবে! তার বিয়ে নিয়ে তার এবং তার পরিবার অলরেডি অনেককিছু ভাবে। বিয়েটা বললেই হয়ে যায় না। জীবনের অর্ধেকটা যার তার সাথে কাটান যায় না বলেই বিয়েটা বললেই হয়ে যায় না। যার যার জীবন নিয়ে তাকে ভাবতে দিন।
.
মানুষকে এটাও জিজ্ঞেস করবেন না, বাচ্চা কবে নিবা! এটা খুব ব্যাক্তিগত প্রশ্ন! আপনার চেয়ে তাদের মধ্যে একটা বাচ্চাকে পৃথিবীতে আনার যে ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা সেটা বোঝার জ্ঞান আপনাদের মত মানুষদের থাকে না।
.
কারো কাছে কখনো এটা জানতে চাইবেন না, কেন সংসারটা টিকলো না! সংসার যার সে যদি টিকিয়ে না রাখে সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আপনি মতামত দেয়ার কেউ না। সে এম্নিতেই হয়তো বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় জর্জরিত! আপনার করা প্রশ্ন তাকে আরো একটু ভেঙ্গে দিতে সক্ষম এটা জানার পরেও এমন প্রশ্ন করবেন না।
.
আপনারা বিয়ে বাড়িতে যান, খাবার কেমন সেটা নিয়ে কথা বলেন। জানেন কত বছরের জমানো টাকা দিয়ে একজন মেয়ের বাবা কিংবা ছেলের বাবা আপনাদের জন্য এই আয়োজন করেছেন? কোন কোন ক্ষেত্রে তো ছেলের নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে বিয়ে করতে করতে ছেলের বয়স হয় ৩৫।
.
আপনারা যেটা জানেন না সেটা নিয়ে প্রশ্ন করবেন না।
ভালো খাবার খাওয়ার ক্ষমতা থাকলে পাঁচ তারা হোটেলে গিয়ে খান। খাবার নিয়ে কোন মন্তব্য করবে না।
.
এমন অনেক কিছুই আমাদের করা উচিত না। কিন্তু আমরা সবসময় অনুচিত করি আর উচিতটা বর্জন করি। সমাজ আমাদের কিছু অসুস্থ আর অসভ্য নিয়ম থেকে বের করে এখনো পুরোপুরি সভ্য করতেই পারে নাই অথচ আমরা সমাজের ভয়ে কত কি করি!
খুবই আশ্চর্য!
#collected
#opekkha : অপেক্ষা