Sirazum Munir Toaha
Sirazum Munir Toaha

Sirazum Munir Toaha

@smtbdofficialpage

২০১১ সালে নিখোঁজ হওয়া কলোরাডোর এক যুগলকে আট বছর পর পাওয়া গেল পরিত্যক্ত উটাহ খনিতে বসা অবস্থায়।

এক দশক ধরে পরিবার এবং কর্তৃপক্ষকে উদ্বিগ্ন করে রাখা এক রহস্যময় ঘটনার অবসান ঘটে ২০১৯ সালে, যখন কলোরাডোর দুই পর্যটক — ২৬ বছর বয়সী সারাহ বেনেট ও ২৮ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু মিলার — এর কঙ্কালাবশেষ পাওয়া যায় দক্ষিণ উটাহর একটি সিল করে দেওয়া ইউরেনিয়ামের খনির গভীরে। ২০১১ সালে নিখোঁজ হওয়ার পর তাদের আর খোঁজ মেলেনি।

২০১১ সালের মে মাসে একটি শান্ত সাপ্তাহিক ক্যাম্পিং ট্রিপে গিয়েছিলেন তারা। প্রকৃতি ও ফটোগ্রাফির প্রতি ভালোবাসার জন্য পরিচিত এই যুগল তিন দিনের একটি ভ্রমণ পরিকল্পনা করেছিলেন, যেখানে তারা ঘুরে দেখতে চেয়েছিলেন নির্জন ও অতীত ইতিহাসে ঘেরা সান রাফায়েল সোয়েলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এই অঞ্চলটি পুরনো ইউরেনিয়াম খনি ও পাথুরে ক্যানিয়ন দিয়ে ভরা এক রুক্ষ মরুভূমি।

"তারা কোনো অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী ছিল না," ২০২০ সালে দ্য ডেনভার পোস্ট-কে বলেছিলেন সারাহর বোন এমিলি বেনেট। "তারা শুধু একটু নির্জনতা খুঁজছিল, কাজ আর জীবনের কোলাহল থেকে দূরে থাকার জন্য।"

কিন্তু সারাহ ও অ্যান্ড্রু আর ফিরে আসেননি।

তাদের শেষ অবস্থান ছিল গ্রিন রিভার, উটাহর একটি গ্যাস স্টেশন, যেখানে তারা তাদের সুবারু আউটব্যাক গাড়িতে তেল ভরেন এবং এমেরি কাউন্টির একটি মানচিত্র কেনেন। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ। হেলিকপ্টার, স্বেচ্ছাসেবক, কুকুর এবং ড্রোন ব্যবহার করে বিস্তৃত অনুসন্ধান চালানো হলেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। মরুভূমি যেন তাদের গিলে ফেলেছিল।

বছর পার হতে থাকে। ছড়িয়ে পড়ে নানা গুজব— খুন, মাদক চক্র, এমনকি এলিয়েনদের সম্পৃক্ততার মতো তত্ত্ব— কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট সূত্র পাওয়া যায়নি।

এরপর ২০১৯ সালের আগস্টে, ইউনিভার্সিটি অব উটাহর কয়েকজন ভূতত্ত্বের ছাত্র টেম্পল মাউন্টেনের কাছে একটি পুরনো ইউরেনিয়ামের খনি ঘাঁটতে গিয়ে এক ভয়ানক আবিষ্কার করেন।

খনির ভেতরে প্রায় ৩০০ ফুট ঢুকে তারা দেখতে পান দুটি পূর্ণ পোশাক পরিহিত কঙ্কাল পাশাপাশি দুটি মরিচা ধরা ভাঁজ করা চেয়ারে বসে আছে। পাশে পড়ে ছিল একটি ভাঙা ল্যান্টার্ন, একটি মরিচা ধরা থার্মোস, ও একটি পুরনো নিকন ক্যামেরা।

খনিটির ভেতরের অংশ ভেঙে পড়ে প্রাকৃতিকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যেটাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এক ধরনের "প্রাকৃতিক সমাধি", যা পুরো দৃশ্যটি সংরক্ষণ করেছিল।

দাঁতের রেকর্ড দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়— এরা সারাহ ও অ্যান্ড্রু।

তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে "অনির্ধারিত" হিসেবে চিহ্নিত!

image

এই ছবির নাম কেউ দিতে পারেনি।

না পাঠক, কেউই পারেনি। এমনকি ছবির চিত্রগ্রাহকও—যিনি ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো’র একজন খ্যাতিমান ফটোগ্রাফার—আজীবন নিরব থেকেছেন এই ছবির নাম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে। কারণ, এ ছবির নাম দেয়া যেন শব্দকে অপমান করা।

ছবিতে দুইজন মানুষ। একজন মা—সোমায়েহ্ মেহরি, মাত্র ২৯ বছর বয়সী এক তরুণী। আরেকজন তাঁর মেয়ে—মাত্র ৩ বছর বয়সী রানা আফগানিপোর। তাঁরা থাকেন দক্ষিণ ইরানের ব্যাম শহরে।

কিন্তু এক ভয়াল রাতে, তাঁদের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি—সোমায়েহ্'র স্বামী, রানা'র পিতা—অ্যাসিড ছুঁড়ে দিল স্ত্রীর ও সন্তানের শরীরে। ভয়াবহ সেই হামলায় হারিয়ে গেল দুজনের চিরচেনা চেহারা। চিরতরে।

বহু অস্ত্রোপচার, অসংখ্য যন্ত্রণার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে ও তাঁর শিশুকে ফিরিয়ে আনলেন মৃত্যুর মুখ থেকে। এরপরই, হাসপাতালের এক নিস্তব্ধ ঘরে, ঘটে এই দৃশ্য—মা ও মেয়ের প্রথম সাক্ষাৎ।

কী অনুভব করেছিলেন সোমায়েহ্, মেয়ের চোখে নিজের নতুন রূপ দেখে? ফেটে গিয়েছিল কি ছোট্ট রানা’র হৃদয়, নিজের মায়ের এমন এক রূপ দেখে, যাকে সে চিনতে পারছে না? ফটোগ্রাফার তাঁর ঝাপসা চোখে তুলে নিলেন মুহূর্তটি ক্যামেরায়। চারপাশ তখন নিশ্চুপ কান্নায় ভেসে যাচ্ছিল।

সেই সময়, কোনো ভয় কিংবা দ্বিধা ছাড়াই ছোট্ট রানা ছুটে গেল তাঁর মায়ের দিকে। সোমায়েহ্ তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন বুকের সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই, জন্ম নিল এক চুমু—যা হয়তো মানব ইতিহাসে আর কখনও কেউ দিতে পারেনি। এ ছিল মমতার চুমু। দুঃখের চুমু। অস্তিত্বকে ছুঁয়ে যাওয়ার চুমু। এই দৃশ্যের কী নাম দেবেন আপনি?

তবুও, মানুষ বেঁচে থাকবে। আরও বিলিয়ন বছর। তবুও, কোনো একদিন একজন পিতা তাঁর মেয়েকে বুকে জড়িয়ে বলবেন "আছি তো মা! আছি তো!" একজন স্ত্রী আর কখনো ভয়ে কুঁকড়ে দাঁড়াবেন না তাঁর স্বামীর সামনে। মানবজাতিকে কত বিলিয়ন বছর লাগবে এমন দিন দেখতে? এই ছবিতে একটি মা—অ্যাসিডে দগ্ধ মুখে—তাঁর মেয়েকে ঘুমের ভেতরে জড়িয়ে ধরে রেখেছেন।

"ভয় লাগে মা?"
পৃথিবী, তুই কী করে উত্তর দিবি? আর না হোক এমন দৃশ্য। আর না আসুক এমন সকাল যেখানে ভালোবাসার বদলে এসিড ছুঁড়ে দেয় প্রিয়জন। মানুষ মানুষকে ভালোবাসুক। রানা, তুমি ভালো থেকো তোমার মায়ের বুকে। রূপে কী আসে যায়?

এই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর চুমু।

image

পুরুষ জলহস্তী কেন নিজ ছেলেকে হ*ত্যা করে?
একবার ভাবুন প্রায় ২৪৩ দিন গর্ভধারণ শেষে একটি জলহস্তী মা জন্ম দেয় তার সন্তানকে। কিন্তু যদি সন্তানটি ছেলে হয়, তবে শুরু হয় এক নিষ্ঠুর বাস্তবতা। বাবা জলহস্তীই হয়ে ওঠে তার প্রাণনাশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি!

🔒 মায়ের অশান্তি ও পরিবারের সতর্ক পাহারা:
ছেলে সন্তান জন্মের পর পরিবারজুড়ে তৈরি হয় এক অজানা আতঙ্ক। পিতার আক্রমণ থেকে তাকে রক্ষার জন্য পরিবার তাকে সর্বক্ষণ পাহারা দিয়ে রাখে। কারণ, পিতা সারাক্ষণ খুঁজে ফেরে সুযোগ—নিজ সন্তানকে প্রাণে মেরে ফেলার।

🦛 জলহস্তীর সমাজব্যবস্থা:
ডাঙায় বসবাসকারী প্রাণীদের মধ্যে জলহস্তী আকারে তৃতীয় বৃহত্তম। সাধারণত এক একটি দলে ৬-১০টি সদস্য থাকে, যার মধ্যে মাত্র একজনই পুরুষ, বাকিরা নারী। পুরুষটি পুরো দলের একক শাসক—তার 'রাজত্ব' অক্ষুণ্ণ রাখাই তার প্রধান লক্ষ্য। তাই দল বা হেরেমে আর কোনো পুরুষকে সে সহ্য করতে পারে না।

👦 তাই যদি সন্তান ছেলে হয়...
পুরুষ জলহস্তী ভাবে—এই ছোট ছেলেটিই ভবিষ্যতে তার জন্য রাজনৈতিক হুমকি। একদিন বড় হয়ে সে-ই হয়তো ক্ষমতা কেড়ে নেবে। তাই জন্মের পরপরই সুযোগ পেলেই ছেলেকে হত্যা করে ফেলে। বিশেষ করে, যদি সন্তান বাবার সামনে আত্মসমর্পণ না করে বা বশ্যতা না মানে।

😔 যদি বেঁচে যায়...
যদি মা ও পরিবার সন্তানের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়, তবে অনেক কষ্টে লুকিয়ে তাকে বড় করতে হয়। তবে এক সময় সেই সন্তান বড় হয়ে বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তখন শুরু হয় পিতা-পুত্রের রক্তক্ষয়ী লড়াই, যার শেষ হয় হয় কারও মৃত্যুতে, নয়তো দল ত্যাগে।

📚 এমন প্রবণতা শুধু জলহস্তীতেই নয়...
প্রকৃতির আরো কিছু প্রাণীর মধ্যেও এমন আচরণ দেখা যায়। তবে জলহস্তীদের মধ্যে এই ছেলেশিশু হত্যার প্রবণতা সবচেয়ে প্রকট।

image

ইন্না-লিল্লাহ ! আল্লাহ এটা কি দেখলাম ⚠️⚠️

প্রাণীজাতীয় খেলনা কেউ ঘরে রাখবেন না। জ্বীনেরা সহজে আক্রমণ করতে পারে 😔
কিছুদিন আগে অনলাইন থেকে ২টা পুতুল আমি নেই, পুতুলগুলো দেখতে অনেক সুন্দর-তাই ভাবলাম ২ মেয়ের জন্য ২টা নেই।

যাই হোক এবার বলি আসল কথা-যেহেতু বাচ্চারা নতুন খেলনা পেলে সেটা কিছুদিন অনেক যত্নে রাখে, আমার ফাইজা-ও এই পুতুলটা নিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতো। কিন্তু যেদিন সে পুতুলটা নিয়ে ঘুমাল, সেদিন রাতেই ও ঘুমের মধ্যে হঠাৎ কান্না শুরু করে দিয়ে পুতুলটাকে ফেলে দেয়।

আর প্রচণ্ড কান্না করে আমাকে বলে-“আম্মু, পুতুলটা ফেলে দাও, পুতুল আমাকে মা-রে…”
আমি তো ভেবেছি, ছোট মানুষ-হয়তো মনের ভুল বা স্বপ্নে কিছু দেখে ভয় পেয়েছে।
কিন্তু কাল রাতের ঘটনা আর আজকে যা দেখেছি- তাতে আমি রীতিমতো অবাক! 😭😭😭
কাল রাতেও ও ঘুম ভেঙে কাঁদছিল আর বলছিল- “মা, তুমি আর পুতুল আনিও না, আমি আর পুতুল নিবো না, পুতুলটা আমাকে খামছি দেয়…” 🥲🥲

আজ গোসল করানোর সময় আমি ফাইজার পিঠে সেই রকম খামছির দাগ দেখি! 😭😭
অরে জিজ্ঞেস করলে ও বলে-“মা, আমি তো তোমাকে বলছিলাম-পুতুল আমাকে খামছি দেয়…”
তাহলে কি আমার মেয়ে সত্যিই বলেছিল এতদিন! 😭😭😭

⚠️ সতর্ক হোন সবাই!
যারা বাচ্চাদের পুতুলওয়ালা গেঞ্জি পরান, বা বিভিন্ন ধরনের ডল/পুতুল কিনে দেন-বারবার আপনাদের সতর্ক করছি-দয়া করে সাবধান হোন। এই লেখাটি পোস্ট শেয়ার করে অন্যদেরও সতর্ক থাকতে বলুন।

আল্লাহ আমাদের সন্তানদের হেফাজত করুন। আমিন।
সংগৃহীত

image

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাযিউন
সেফাত উল্লা সেফু দা আজ ভোর ৩ টা আস্ট্রিয়া টাইমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করছে। আল্লাহ তার ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে জান্নত দান করুন আমিন।

image