“ধূমপানে হারিয়ে যায় জীবনের ছোঁয়া – বারগার্স ডিজিজের ভয়াবহতা”
ভাবুন.......
আজ সকালে আপনি দাঁড়িয়েছেন আপনার ঘরের বারান্দায়। আপনি এক কাপ চায়ের সাথে জ্বলিয়ে ফেলেছেন আরেকটা বিড়ি। ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়ে গিয়ে মিলিয়ে গেল বাতাসে।
কিন্তু জানেন কি? ঠিক সেই মুহূর্তে আপনার শরীরের ভিতর ধীরে ধীরে মৃত্যু শুরু হয়ে গেছে।
⭕ বারগার্স ডিজিজ – অঙ্গ হারানোর এক নির্মম যাত্রা
বারগার্স ডিজিজ কোনো সাধারণ অসুস্থতা নয়। এটি এমন এক নীরব ঘাতক, যা প্রথমে আঙুলে আক্রমণ করে… তারপর পায়ে… তারপর একে একে কেড়ে নেয় আপনার চলাফেরা, স্পর্শের অনুভূতি, এমনকি জীবন।
▶️ আপনার আঙুল কালো হয়ে যায়
▶️ আপনার পায়ের তলা পচে যায়
▶️ আপনার ঘা শুকায় না, বরং বাড়তেই থাকে এবং শেষে ডাক্তার বলে দেয়: "এই পা আর রাখতে পারছি না, কেটে ফেলতে হবে।"
⚠️ কে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে?
> আপনি যদি ধূমপায়ী হন – আপনি ঝুঁকিতে আছেন।
> আপনি যদি ভাবেন "আরও কিছুদিন খাবো, পরে ছেড়ে দিবো" – > আপনি খেলছেন আগুন নিয়ে।
> আপনি যদি তামাক চিবিয়ে খান, বা নস্যি ব্যবহার করেন – আপনিও নিরাপদ নন।
আরোও একটু ভাবুন:
🚸আপনার সন্তানটি যখন বলে, "আব্বু, চলো খেলতে যাই" – আপনি বলবেন, "বাবা, পা নেই তো!"
🚸আপনার স্ত্রী আপনাকে খাওয়াতে বসায়, আর আপনি নিজের হাতটা তুলতেই পারেন না
🚸আপনি হুইলচেয়ারে বসে দেখছেন – এই জীবনটা আপনি নিজেই ধ্বংস করেছেন
⁉️একটি কঠিন প্রশ্ন:
>>>>> একটা সিগারেটের দাম হয়তো ১৫ টাকা। কিন্তু আপনি কি জানেন, একটা কাটা পায়ের দাম কত?
✅ সমাধান একটাই – আজই বন্ধ করুন তামাক
▶️আজই সিদ্ধান্ত নিন – “আর নয় ধূমপান, বাঁচব নিজের জন্য, পরিবারের জন্য”
▶️চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, যদি কোনো লক্ষণ দেখা দেয়।
নিজে সচেতন হোন, অন্যকেও সচেতন করুন।
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে, প্রত্নতাত্ত্বিকরা দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের শাহর-ই-সোক্তা নামক প্রাচীন স্থানে বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো কৃত্রিম চোখ আবিষ্কার করেন। এই অসাধারণ নিদর্শনটি প্রায় ৪,৮০০ বছর পুরোনো।
এই ছোট প্রস্থেটিকটি, যা মাত্র ১ ইঞ্চির (২.৫ সেমি) সামান্য বেশি ব্যাসযুক্ত, একটি নারী কঙ্কালের চোখের কোটরে পাওয়া গিয়েছিল। এটি সম্ভবত বিটুমেন-ভিত্তিক পেস্টের মতো একটি হালকা উপাদান থেকে সূক্ষ্মভাবে তৈরি করা হয়েছিল এবং এর ওপর সোনার একটি পাতলা স্তর রয়েছে। এর পৃষ্ঠে একটি খোদাই করা আইরিশ এবং তার থেকে বাইরের দিকে বিকিরণকারী জটিল সোনার রশ্মি রয়েছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি সেই যুগের উন্নত চিকিৎসা ও শৈল্পিক ক্ষমতা সম্পর্কে মূল্যবান ধারণা দেয় এবং এটি ইঙ্গিত করে যে ওই ব্যক্তি উচ্চবংশীয় বা পুরোহিত শ্রেণির হতে পারেন।
ভিয়েতনামের গোল্ডেন ব্রিজ (Golden Bridge) একটি বিশ্ববিখ্যাত স্থাপত্য, যা তার অনন্য ডিজাইনের জন্য পরিচিত।
এটি ভিয়েতনামের দা নাং শহরের কাছে অবস্থিত বা না হিলস (Bà Nà Hills) রিসর্টে রয়েছে।
এই সেতুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো দুটি বিশাল আকারের হাতের মতো দেখতে কাঠামো, যা দেখে মনে হয় যেন দুটো হাত সেতুটিকে ধরে রেখেছে।
এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো:👇👇
* অবস্থান: ভিয়েতনামের দা নাং শহরের বা না হিলস পর্যটন কমপ্লেক্সে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১,৪১৪ মিটার (প্রায় ৪,৬০০ ফুট) উঁচুতে অবস্থিত।
* ডিজাইন: সেতুটি একটি সোনালী রঙের পথ, যা দুটি বিশাল পাথরের হাতের দ্বারা সমর্থিত। হাতগুলো ফাইবারগ্লাস এবং তারের জাল দিয়ে তৈরি এবং পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই ডিজাইনটি পর্যটকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়।
* দৈর্ঘ্য: সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০ মিটার (৪৯০ ফুট)।
* উদ্দেশ্য: এটি মূলত বা না হিলস রিসর্টের কেবল কার স্টেশন এবং বাগানগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার জন্য নির্মিত হয়েছে। এর ফলে পর্যটকরা কেবল কার থেকে নেমে সহজেই অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে যেতে পারেন।
* উদ্বোধন: এটি ২০১৮ সালের জুন মাসে জনসাধারণের জন্য খোলা হয় এবং দ্রুতই একটি আন্তর্জাতিক আকর্ষণে পরিণত হয়।
গোল্ডেন ব্রিজটি শুধুমাত্র একটি সেতু নয়, বরং এটি ভিয়েতনামের পর্যটন শিল্পের একটি বড় প্রতীক হয়ে উঠেছে। এটি এর সুন্দর স্থাপত্য এবং চারপাশের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছে।
এক ভারতীয় মহিলা একটা অজগর সাপ পুষতেন। সাপটাও ওই মহিলাকে অসম্ভব ভালবাসতো। অজগরটা লম্বায় ৪ মিটার এবং বেশ স্বাস্থ্যবান ছিল। হঠাৎ করেই একদিন আদরের অজগরটি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিলো।
এভাবে কয়েক সপ্তাহ চলে গেল, সাপ কিছুই খায় না। আদরের সাপের এমন অবস্থায় মহিলা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। উপায়-বুদ্ধি না পেয়ে শেষমেশ সাপটাকে তিনি ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন।
ডাক্তার মনযোগ দিয়ে সব শুনে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সাপটা কি রাতে আপনার সাথে ঘুমায়?’
মহিলা উত্তর দিলেন, হ্যাঁ।
ডাক্তার, ‘ঘুমানোর সময় এটা কি আস্তে আস্তে আপনার কাছে ঘেঁষে?’
‘হ্যাঁ’–মহিলার উত্তর।
ডাক্তার, ‘তারপর আস্তে আস্তে আপনাকে চারপাশে পেঁচিয়ে ধরে?’
মহিলা বিস্মিত হলেন এবং জবাব দিলেন।
তখন চিকিৎসক বললেন, ‘ম্যাডাম, সাপটি আপনাকে জড়িয়ে এবং চারপাশ থেকে পেঁচিয়ে ধরে। কারণ এটা আপনার মাপ নিচ্ছে। নিজেকে প্রস্তুত করছে, আপনাকে আক্রমণ করার জন্য। আর হ্যাঁ, সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করেছে যথেষ্ট জায়গা খালি করতে, যাতে সহজেই আপনাকে হজম করতে পারে।
এই গল্পের একটা মোরাল আছে–আপনার চারপাশে হয়ত এমন অনেকেই আছেন, যাদের আপনি কাছের মানুষ ভাবেন, যাদের দেখে মনে হয় আপনাকে তারা অসম্ভব ভালবাসেন। কিন্তু আপনি জানেন না, আপনার ক্ষতিই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। 💔