Sirazum Munir Toaha
Sirazum Munir Toaha

Sirazum Munir Toaha

@smtbdofficialpage

আপনি যখন চোখ বন্ধ করে স্বপ্ন দেখেন, তখনও আপনার মস্তিষ্ক বাস্তব অনুভূতির মতোই সক্রিয় থাকে!

স্বপ্ন দেখা কি শুধুই ঘুমের সময়কার কল্পনা? না, বিষয়টা তার চেয়েও গভীর ও রহস্যময়!

গবেষণায় দেখা গেছে, যখন আমরা REM (Rapid Eye Movement) ঘুমে থাকি, তখন আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক একইভাবে কাজ করে, যেভাবে জেগে থাকা অবস্থায় করে। এমনকি, আপনি যদি স্বপ্নে দৌড়াচ্ছেন — আপনার মস্তিষ্কের সেই অংশ একটিভ থাকে, যেটা আপনি সত্যিই দৌড়ানোর সময় ব্যবহার করেন!

স্বপ্ন: বাস্তবের মতো অনুভূতি কেন হয়?
• মস্তিষ্ক আমাদের পাঁচটি ইন্দ্রিয় (দৃষ্টি, শ্রবণ, ঘ্রাণ, স্পর্শ, স্বাদ) থেকে পাওয়া ডেটার মতোই তথ্য তৈরি করে।
• তাই অনেক সময় মনে হয় স্বপ্নটা ছিল একেবারে বাস্তবের মতো — আপনি শুনছেন, দেখছেন, অনুভব করছেন।

স্বপ্ন হলো এক ধরণের ‘লাইভ ব্রডকাস্ট’

আমাদের মস্তিষ্ক কোনো রেকর্ডিং চালায় না — বরং ঘুমের সময় বাস্তব সময়েই নতুন ‘সিন’ তৈরি করে চলে। এজন্য এটাকে বলা হয়: “Dreaming is a real-time brain process.”

আরও চমকপ্রদ তথ্য:
• স্বপ্নে সময়ের বোধ অনেকটা বাস্তবের মতোই হয়। আপনি যদি স্বপ্নে ৫ মিনিট হাঁটেন, বাস্তবেও সেই সময় ৫ মিনিটের কাছাকাছি হতে পারে।
• কিছু মানুষ lucid dreaming করতে পারে — মানে তারা স্বপ্ন দেখার সময় বুঝতে পারে যে তারা স্বপ্ন দেখছে, এমনকি স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণও করতে পারে!

মস্তিষ্কের রহস্য ও স্বপ্নের জগৎ এতটাই বিস্ময়কর, যে বিজ্ঞান এখনও সবকিছু ব্যাখ্যা করতে পারেনি!
তাই, আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকেন, আপনার মস্তিষ্ক তখনও এক বিশাল জগতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে।

আপনি কি কখনও এমন স্বপ্ন দেখেছেন, যেটা একদম বাস্তব মনে হয়েছিল?

image

যখন তিমিরা ঘুমাতে চায়, তখন তারা গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে প্রায় ১৫ মিটার পানির নিচে ডুব দেয় এবং একদম সোজা অবস্থানে দাঁড়িয়ে ঘুমায়।

তারা একসাথে ৫ বা ৬টি তিমি দলবদ্ধভাবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট শান্তভাবে ঘুমায়—সম্ভবত নিরাপত্তার জন্যই একসাথে থাকে। আগে কেউ জানত না যে তিমিরা এমনভাবে সোজা হয়ে ঘুমায়, ২০২০ সালের একটি গবেষণায় প্রথম এই আচরণ দেখা যায়। আর ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো প্রকৃতিতে এমন দৃশ্যের দুর্দান্ত ছবি তোলা হয়।

ফ্রান্সের ফটোগ্রাফার Stephane Granzotto যখন ভূমধ্যসাগরে তিমি নিয়ে তার বইয়ের জন্য কাজ করছিলেন, তখন তিনি হঠাৎ করেই এই ঘুমন্ত তিমিগুলোর দৃশ্য দেখতে পান।

image

দিয়েগো নামের ১০০ বছর বয়সী কচ্ছপটি ৮০০ এর অধিক সন্তান জন্ম দিয়ে নিজের প্রজাতিকে বিলুপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছে!

১৯৭০ সালের দিকে দিয়েগোর প্রজাতি ছেলনইদিস হুদেন্সিস এর মাত্র ১৪টি কচ্ছপই জীবিত ছিল। যার মধ্যে ২ জন ছেলে এবং ১২ জন মেয়ে ছিল৷ তাদের রক্ষায় একটি ব্রিডিং বা প্রজনন প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়৷ সময়টা ছিল ১৯৬০ দশকের এর মধ্যভাগ৷ সেই ১৪টা কচ্ছপ থেকেই আজ এই প্রজাটির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০০০ এ।

যেখানে ২০২০ সাল পর্যন্ত অবসর নেওয়ার আগে ১০০ বছর বয়সী দিয়াগো একাই ৮০০ এর অধিক সন্তান এর পিতা হয়েছে৷ অর্থাৎ তাদের প্রজাতির ৪০% ই দিয়াগোর সন্তান! দিয়াগো না থাকলে হয়তো তাদের প্রজাতিকে কখনই বিলুপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যেত না।

image

প্রাণীটির নাম অকাপি। দেখতে অদ্ভুত প্রাণীটি।বিভিন্ন গড়ন তার মাঝে;পা জেব্রার মতো ডোরাকাটা,শরীরের আকৃতি হরিণের মতো,আবার জিরাফের নিকট-প্রজাতির বলে মনে হয়!

১৯০১সালের আগে সবাই এটাকে 'জঙ্গলের ভূত' বলে জানতে। বিজ্ঞানীরা প্রথম এ প্রাণীটিকে আবিষ্কার করেন ১৯০১ সালে। প্রাণীটি খুব নিরীহ এবং সচরাচর দেখা যায় না।এর বসবাস মধ্য আফ্রিকার বন-জঙ্গলে। এরা একাকী থাকে এবং গাছের পাতা খেয়ে বেঁচে থাকে।

বিজ্ঞানীরা এটাকে জিরাফের আত্মীয় বলে অভিহিত করেছেন,যেহেতু জিরাফের-ও গড়ন কিছুটা রয়েছে।

image

কাল জাদু কি সত্যি আছে বলে জান?

সৌদি আরবের এক শহরে এক কালো জাদুকরের বাসায় পুলিশ রেইড করে। বাসাটি দেখতে সাধারণ হলেও ভেতরে ছিল ভয়ানক দৃশ্য — তাবিজ-কবজ, মরা প্রাণীর অংশ, রক্ত, নোংরা জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে! সেই মহিলা বহু মানুষের ক্ষতি করেছে কালো জাদুর মাধ্যমে।

তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো — একজন নির্দিষ্ট নারীর ওপর বারবার কালো জাদু করার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কোনোভাবেই কাজ করছিল না! জিনেরা পর্যন্ত বলেছে, “আমরা ঐ বাড়িতে কাউকে দেখতে পাই না!”

পুলিশ ওই নারীর সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারে, তিনি কিছুই টের পাননি — শুধু মাঝে মাঝে অদ্ভুত কিছু ঘটনা ঘটেছে।

image