আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের রায় শুনানি হয়েছে আজ।
রায় কি সবাই জানেন।
তবে যেটা অনেকেই জানেন না-সেটা বলি।
নেক্সট টাইম আপনার ভাই,বোন, আত্মীয়, কাছের কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পাইলে নিচের জিনিস চেক দেবেন।
শিক্ষার্থী টা ঢাকায় গিয়ে কোথায় থাকবে- ওর আবাসন আর খাদ্য নিশ্চিত করবেন যেকোন মূল্যে।
যে শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পাওয়ার যোগ্যতা রাখে, সে সঠিক আবাসন আর খাদ্য পাইলে চোখ বন্ধ করে পাশ করবে- এ নিয়ে দ্বিমতের কিছু নাই।
গার্ডিয়ান হিসেবে এটা হবে ছাত্রের পিছে বেসিক ইনভেস্টমেন্ট, সন্তান ভালোয় ভালোয় গ্রাজুয়েশন করে এক বছর চাকরি-বাকরি করলে এই টাকা ব্যাক পাবেন।
যাতে ক্ষমতাধর কোন শক্তি যেন তাকে হলের একটা সীট কিংবা হালকা পাতলা ক্যাম্পাসে পাওয়ার এক্সারসাইজ এর লোভে না ফেলতে পারে।
একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী যত ডায়নামিক হোক না কেন, যত ই অলরাউন্ডার হোক না কেন- তার বিশ্ববিদ্যালয় এ ঢুকেই লেজুরবৃত্তির রাজনীতি র দরকার নাই।
'ভাই ভাই- রাজপথ ছাড়ি না' স্লোগান এর দরকার নাই তার।
সে পড়ালেখা করবে, গবেষণা করবে,নিজেকে-নিজের মেধা কে এক্সপ্লোর করবে।
এরপর গ্রাজুয়েশন শেষে তার যেই মুল্লুকের রাজনীতি করতে মন চায় করবে, এর আগে না।
বাংলাদেশ এ গড়ে একজন শিক্ষার্থী 25-26 বছর বয়সে গ্রাজুয়েশন শেষ করে।
এরপর পুরা জীবন পড়ে আছে রাজনীতি র জন্যে, সমাজ সেবার জন্যে।
এই এতো টুকু বেসিক চেক দিয়েন।
আর কিছু লাগবে না।
একজন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট এর ক্ষমতা অসীম,তার পক্ষে বিশাল সম্ভাবনাময় জিনিস করা সম্ভব।
একজন 17-18 বছর বয়সী ইন্টার পাশ ছাত্র কে ম্যানিপুলেট করা যত সহজ, একজন 25-26 বছর বয়সী গ্রাজুয়েট কে ম্যানিপুলেট করা ততো টা সহজ না।
এখানেই শিক্ষা,বয়স আর সময়ের পার্থক্য।
ভালো রাজনীতি র জন্যে ভালো মানুষ দরকার।Copied

This page has been loaded 5878 times.