মেইঞ্জকে হারিয়ে বুন্দেসলিগায় আরো এগিয়ে গেল বায়ার্ন
স্পোর্টস রিপোর্ট : জার্মানি টিনএজ মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালার গোলে মেইঞ্জকে ২-১ গোলে পরাজিত করে বুন্দেসলিগা টেবিলে ৬ পয়েন্টের সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে গেছে শীর্ষে থাকা বায়ার্ন মিউনিখ। মিউনিখের আলিয়াঁজ এরিনাওে দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে ২২ মিনিটে কারিম ওনিসিওর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারী মেইঞ্জ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কিংসলে কোম্যান ও ১৮ বছর বয়সী মুসিয়ালার গোলে বায়ার্নের জয় নিশ্চিত হয়। দিনের আরেক ম্যাচে বোখামের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। আর এতেই টানা দশমবারের মত লিগ শিরোপা জয়ের পথে আরো এগিয়ে গেছে বেভারিয়ান্সরা। এর মাধ্যমে বায়ার্ন বস জুলিয়ান নাগলসম্যান ক্যারিয়ারের শততম বুন্দেসলিগায় জয় অর্জন করেছেন। ম্যাচ শেষে নাগলসম্যান নিশ্চিত করেছেন পূর্বে অস্বীকৃতি জানানো মুসিয়ালা শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এ সম্পর্কে নাগলসম্যান বলেন, ‘মুসিয়ালা ভ্যাকসিন নেয়াতে আমি খুশী। আশা করছি মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের তেমন কোন বড় সমস্যা হবে না। গত মাসে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংষ্পর্শে আসায় বায়ার্নের যে ৫ খেলোয়াড় কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তাদের মধ্যে মুসিয়ালা অন্যতম। গত শনিবার ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয়ের পর বুধবার বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ গ্রুপ ম্যাচে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ষষ্ঠ ম্যাচে টানা ষষ্ঠ জয় নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন। পরপর দুটি বড় ম্যাচের পর কাল বায়ার্নের শুরুটা বেশ ধীরগতির। এই সুযোগ মেইঞ্জ বায়ার্নের উপর চেপে বসে। ২২ মিনিটে ওনিসিও ম্যানুয়েল নয়্যারের মাথার উপর দিয়ে বল জালে প্রবেশ করিয়ে সফরকারীদের এগিয়ে দেন। ক্রোয়েনটিন টোলিসোর লম্বা পাসে কোম্যান ৫৩ মিনিটে সমতা ফেরান। ম্যাচ শেষের ১৬ মিনিট আগে দারুন ফিনিশিংয়ে মেইঞ্জ গোলরক্ষক রবিন জেনটারকে পরাস্ত করে বায়ার্নের জয় নিশ্চিত করেন মুসিয়ালা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেয়া ডর্টমুন্ড এখনো সেই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। কালকের ম্যাচেও ছিল তারই ছাপ। টেবিলের নবম স্থানে থাকা বোখামের বিপক্ষে তাই ১-১ গোলের ড্র নিয়েই ডর্টমুন্ডকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ম্যাচ শেষে উইঙ্গার জুলিয়ান ব্রান্ডেট বলেছেন, ‘এটা শুধুমাত্র দূর্ভাগ্য নয়, আজকের ম্যাচে আমরা জয়ের অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।’ দলের দুই তারকা স্ট্রাইকার জুড বেলিংহ্যাম ও আর্লিং ব্রট হালান্ড উভয় প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ কাজে হাতছাড়া করেছেন। আগের চারটি লিগ ম্যাচের তিনটিতেই জয়ী হওয়া বোখার যোগ্য দল হিসেবেই ৪০ মিনিটে এগিয়ে যায়। উইঙ্গার ক্রিস্টোফার এন্টি-আদেইর আদায় করা পেনাল্টি থেকে সেবাস্তিয়ান পোল্টার কোন ভুল করেননি। বেলিংহ্যামের অফসাইডে মারিয়ান উল্ফের একটি ভিএআর বাতিল করে দিলে সমতায় ফেরা হয়নি ডর্টমুন্ডের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে ব্রান্ডেটের গোলে স্বস্তির ড্র নিয়ে বাড়ি ফিরে ডর্টমুন্ড। বরুসিয়া মনচেনগ্ল্যাবাখকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে জয়ের মাধ্যমে আরবি লিপজিগের নতুন কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন ডোমেনিকো টেডেসকো। এর মাধ্যমে লিগে টানা তিন ম্যাচে পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এলো লিপজিগ। ২১ মিনিটে জোসতো গাভারডিওলের ফি-ক্রিকে এগিয়ে যায় লিপজিগ। ৩২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আন্দ্রে সিলভা। এরপর সিলভার একটি শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। ৮৮ মিনিটে রামি বেনসেবাইনি লিপজিগের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন। কিন্তু ম্যাচের নাটকীয়তা তখনো বাকি। স্টপেজ টাইমে ক্রিস্টোফার এনকুনকু ও বেঞ্জামিন হেনরিখসের দুই গোলে লিপজিগের জয় নিশ্চিত হয়।