রোনাল্ডোর গোলে ইউনাইটেডের জয়
স্পোর্টস রিপোর্ট : ধুকতে থাকা নরউইচ সিটি বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শনিবার প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর পেনাল্টিতে ৭৫ মিনিটে ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত হয়। এই ম্যাচের পর ইউনাইটেড বস রাল্ফ রাংনিক খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বরখাস্তকৃত কোচ ওলে গানার সুলশারের স্থলাভিষিক্ত রাংনিকের অধীনে এ নিয়ে টানা দুই লিগ ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে রেড ডেভিলসরা। যদিও ম্যাচের লম্বা সময় ধরে গোলের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ইউনাইটেডকে। এর মাঝে গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া বেশ কয়েকবার দুর্দান্ত কিছু সেভ করে সফরকারীদের রক্ষা করেছেন। আগস্টে জুভেন্টাস থেকে যোগ দেবার পর এনিয়ে ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে ১৩ গোল করলেন রোনাল্ডো। ম্যাচ শেষে রাংনিক বলেছেন, ‘এটা সত্যিই অনেক গভীর একটি ম্যাচ ছিল, ম্যাচে শারিরীক দক্ষতা বেশী প্রয়োগ করতে দেখা গেছে। এই ধরেনর ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মত যোগ্যতা আমাদের গড়ে তুলতে হবে। এখনো বেশ কিছু জায়গায় উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে সবাই অপেক্ষাকৃত ভাল খেলেছে। কিন্তু দিনের শেষে কোন গোল হজম করতে হয়নি, এটা আমাদের সৌভাগ্য। আরো একবার ডি গিয়া ম্যাচে কোন গোল হজম করেননি। আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে শারিরীক ভাষারও সমস্যা রয়েছে। এই একটি জায়গায় আমি বেশ গুরুত্ব দিচ্ছি।’ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে বর্তমানে পঞ্চম স্থানে আছে রাংনিকের দল। চতুর্থ স্থানে থাকা ওয়েস্ট হ্যামের সাথে তারা সমান ২৭ পয়েন্ট অর্জন করেছে। সুলশারের অধীনে শেষ ম্যাচে ওয়াটফোর্ডের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হবার পর রাংনিকের অধীনে টানা দুই ম্যাচে কোন গোল হজম না করাটাও অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও তলানির দল নরউইচের সাথে আরো বেশী গোলে জেতা উচিত ছিল বলে অনেকেই মত দিয়েছেন। গত সপ্তাহে ক্রিস্টাল প্যালেসকে রাংনিকের প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে পরাজিত করেছিল ইউনাইটেড। ইয়ং বয়েজের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্রয়ের ম্যাচটি থেকে কাল ১১টি পরিবর্তন করে মূল একাদশ সাজিয়েছিলেন রাংনিক। করোনা ভাইরাসের আশঙ্কায় নরউইচের বেশ কিছু খেলোয়াড় অনুপস্থিত ছিলেন। ম্যাচের শুরুতেই অল্পের জন্য এগিয়ে যাওয়া হয়নি ইউনাইটেডের। এ্যালেক্স টেলেসের ফ্রি-কিক অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ৩৭ মিনিটে দারুনভাবে দু'জনকে কাটিয়ে শট নেন রোনাল্ডো। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই শট আটকে দেন নরউইচ গোলরক্ষক টিম ক্রুল। বিরতির ঠিক আগে আরেকবার দলকে বাঁচান তিনি। বিরতি থেকে ফিরে এসে ৫৬ মিনিটে ভাল একটি সুযোগ নষ্ট হয় স্বাগতিকদের। ডি-বক্সের মুখ থেকে টিমু পুক্কির জোরালো শট এক হাত দিয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠান ডেভিড ডি গিয়া। শেষ পর্যন্ত ৭৫ মিনিটে ডেডলক ভাঙ্গেন রোনাল্ডো। বক্সের মধ্যে নরউইচ ডিফেন্ডার তাকে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে কোন ভুল করেননি পর্তুগীজ সুপারস্টার। দুই মিনিট পরই সমতায় ফিরতে পারত নরউইচ। তবে ডি গিয়ার অসাধারণ সেভে এগিয়ে থাকে ইউনাইটেড। ওজান কাবাকের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন ডি গিয়া।