প্রতিটা আত্মহত্যার পিছনে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থাকে। শয়তান আত্মহত্যাকারীকে প্ররোচনা দেয়, দেখো, এই পৃথিবীতে তোমার চেয়ে খারাপ পরিস্থিতে আর কেউ নেই , সুতরাং এ পৃথিবীতে না থাকাই ভালো।
বাস্তবতা হলো, আমরা কেউই সবচেয়ে ভালো অথবা খারাপ অবস্থায় নেই। আমি ভাবছি আমি বোধ হয় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি অথচ খোঁজ নিলে দেখা যাবে সারা পৃথিবী দূরে থাক, একটু আশেপাশে তাকালেই আমার থেকেও কষ্টকর জীবনযাপন করছে এমন মানুষের অভাব হবে না। একইভাবে সামাজিক স্ট্যাটাসে আমার চেয়েও ভালো অবস্থায় আছে এমন মানুষ আশেপাশেই রয়েছে।
.
শয়তান মানুষের নাফসের নিয়ন্ত্রণ নেয় দুই অবস্থায়। যখন পরমানন্দে থাকে তখন শয়তান এই বলে গর্ব সৃষ্টি করে দেখো তোমার চেয়ে ভালো অবস্থায় আর কেউ নেই। শয়তান এভাবে ভালো সময়ে আল্লাহ তায়ালার শুকুর থেকে আমাদের দূরে রাখে। খারাপ সময়েও একইভাবে সবর থেকে সরিয়ে দেয়।
প্রিয় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'মুমিনের অবস্থা কতই না চমৎকার! তার সব অবস্থায়তেই কল্যাণ থাকে । এটি শুধু মুমিনেরই বৈশিষ্ট্য যে, যখন সে আনন্দের উপলক্ষ পায়, আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। ফলে তা হয় তার জন্য কল্যাণবাহী। আর যখন সে কষ্টের সম্মুখীন হয়, তখন সবর করে এবং ধৈর্যে অটল থাকে । ফলে এটিও তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে'।
কেউ যদি উপরোক্ত হাদিসের উপর আমল করে, সে কিভাবে হতাশ হতে পারে? কিভাবে আত্মহত্যার মতো মহাপাপ করতে পারে?
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে শুকুর ও সবরের জীবন দান করুন, শয়তানের চক্রান্ত থেকে হেফাজত করুন, আমিন।
© সাইফুর রহমান