অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষায় ফেল ৬০ হাজার, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ
টিডিসি রিপোর্ট

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৯ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর থেকে নানা অসঙ্গগতির অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার বিকাল ৪টায় সমন্বিত ফলাফল (সিজিপিএ) প্রকাশিত হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে পরীক্ষায় উপস্থিত থাকার পরও অনুপস্থিত দেখিয়ে ফেল করানো এবং একই বিষয়ে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে ফেল দেখানো হয়েছে। ওই পরীক্ষা মোট ফেলের সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। ঈদের আগে গত ২০ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার ফল প্রকাশে পাসের হার ছিল ৭২ শতাংশ।

এখন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত এসব ভুল সংশোধন করা। না হলে তারা আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন। একইসাথে এক বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীরা মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ চেয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, ফেল করা ৬০ হাজার ১৫৭ জনের মধ্যে ১ বিষয়ে ফেল প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী। আমাদের পরীক্ষা ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি, করোনা পরিস্থিতির কারণে ২ ভাগে পরীক্ষা নিয়ে অনার্স চতুর্থ বর্ষের রেজাল্ট পাই ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে। যেখানে করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল কলেজ বন্ধ, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ‘অটোপাস’ দেয়া হয়েছে , প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ শতাংশ পাস করাচ্ছে সেখানে আমাদের এই পরিস্থিতিতে ১ বিষয়ে ফেল দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এই এক বিষয়ে ফেল দেয়ায় সবকিছু আরো কঠিন হয়ে গেছে আমাদের জন্য। আবার কবে করোনা পরিস্থিতি ঠিক হবে তখন পরীক্ষা হবে। সেই পর্যন্ত আমাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাবে।

এখন ভুক্তভোগী অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দাবি, এক বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের অন্তত মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ করে দেয়া হোক। ৭ কলেজে এই নিয়ম থাকলে আমরা কেন বঞ্চিত হবো।

তেজগাঁও কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থী ইকবাল হাসান জানান, অনার্স চূড়ান্ত বর্ষের ফলে তাকে ‘অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়ার’ বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। তার কলেজে অনেক শিক্ষার্থীকে এ বিষয়ে গণহারে এফ গ্রেড দেয়া হয়েছে। খাতা দেখায় অসঙ্গতির কারণেই এমন ফল বলে তিনি দাবি করেন।

চট্টগ্রামের ওমরগণি এমইএস কলেজের মো. ফরহাদ জানান, ‘ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে তাকে ফেল দেয়া হয়েছে। এই পরীক্ষার্থীর দাবি কোনোভাবেই তার ফেল করার কথা ছিল না।

চাঁদপুরের পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েও নুসরাত জাহানকে ‘ওয়েস্টার্ন লিটারেরি থিওরি’ বিষয়ের পরীক্ষায় অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে।

এখন অধিকাংশ শিক্ষার্থী হুঁশিয়ারি জানিয়েছে ফলাফলের এই অসঙ্গতি দূর করা না হয়ে তারা আন্দোলনে নামবেন।