আজ ভাষার মাস ৭ম দিন:
আজ খুব বেশি বেশি মনে পড়ছে প্রাইমারিতে পড়া কবি রজনীকান্ত সেনের সেই “স্বাধীনতার সুখ” কবিতাটি-
বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই-
“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই;
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা ‘পরে,
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।”
বাবুই হাসিয়া কহে- “সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়;
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।”
প্রতি বছর ফিরে আসে আমাদের মাঝে ভাষার মাস। কিন্তু সবচেয়ে দুঃখে কথা হলো, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎযাপন হয়ে গেলো ২০২১ সালে। ভাষা আন্দোলনে জীবন উৎসর্গীকৃত যে দেশে, সে দেশেই অন্যান্য জাতির মানুষের মাতৃভাষা সাংঘাতিক উপেক্ষিত এবং বিপন্ন। কতো স্বপ্ন, আশা নিয়ে যুদ্ধ করেছি। যুদ্ধে সফলতা অর্জিত হলেও স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আসেনি স্বার্থকতা।
দোষতা যততা সরকারের তার চেয়ে বেশী আমাদের। আমরা শিক্ষায় শিক্ষিত যততা দাবী করি না কেন কিন্তু তততা নয়। আমরা জানি, ভাষা নেই তো সংস্কৃতি নেই, জীবন নেই, কোনো অনুভূতি নেই। এত কিছু জানার স্বত্তেও আমরা, আমার প্রিয়, মধুর ভাষা বলার, লেখার, শেখার গুরুত্ব বুঝিনা। সেই রজনি কান্ত সেনে চড়াই পাখির মতো গর্ব করি বলি- আমি জানি ইংলিশ, আমি পারি বাংলা। তাই কথা বলি চাঙলিশ ও চাঙলায়। প্রিয় ভাই-বোনেরা আমার, শাসকগোষ্ঠী চাইবে, কিভাবে তোমাকে তার নৌকায় ভিড়াবে। যত আয়োজন করা দরকার তার চেয়ে বেশী বেশী আয়োজন করে তোমাকে তার নৌকায় ভিড়িয়ে নিবে।
কিন্তু আমাকে জানতে হবে আমি কোথায় যাচ্ছি, আমাদের শিকড় ছেড়ে। আমাদের জানতে হবে, আমরা একটি জাতি, চাকমা জাতি, মারমা জাতি, ত্রিপুরা জাতি .....................................। আমাদের নিজস্ব বর্ণমালা, ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি আছে। নিজের কৃষ্টি সংস্কৃতি উপেক্ষা করে অন্য সংস্কৃতি লালন পালন করে একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষের শোভা নয়।
ছবি: ছদক

Md Nazrul Islam
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?
Saiful Islam
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?