আমার বয়স বাড়ার সাথে সাথে দুষ্কর হয়ে ওঠার একটা কারণ হল আরামের একটা আশ্রয় খুজে পেয়েছি। নানা ঘেরাটোপ তৈরি করেছি যা আরামের পান থেকে চুন খসলেই বিরক্তি আসে। যখন ছোট ছিলাম তখন আরামের খোঁজ করতাম না, খুঁজতাম জীবন। এখন জীবনের খোঁজ করি না। করি আরাম, জীবনের নিরাপত্তা। আমার বয়স যখন ১৬/১৭ ছিল তখন অনেক স্বপ্ন ছিল জীবনে কি করতে চাই তা নিয়ে। ২৫ বছর পর চিন্তা আসলো এটা বাস্তবিক নয় যেটা আমি চিন্তা করছি। এরপর বাস্তবিক হতে হবে তার ফলে যা হলো তা হলো কাপুরুষ। ২৫ বছরের জীবনে নানা জিনিস ছেঁটে ফেলে একটা চাকরি পেলেই হল। তবে ৩৫ বছরে পা দিয়ে ভাবছি কোন ঝুটঝামেলায় না জড়ালেই বাঁচি। উৎস হিসেবে জীবনকে দেখছি না দেখছি নিরাপত্তা হিসেবে। নিরাপত্তা নিয়ে জীবনের খোঁজ করলেই বিপদ আসে। জীবনের প্রতিটা পরিবর্তনে পৃথিবীতে সব কিছু পাল্টাচ্ছে, এমনকি স্থিতিও গতি শীল। কাজেই পরিবর্তনে বাধা দেওয়া মানেই জীবনকে বাধা দেওয়া, একটা সুন্দর জায়গা আছে যেখানে কিছুই পাল্টায় না। সেটা হল সমাধি । এই মুহূর্তে শ্বাস নেওয়া আর ছাড়া, একটা পরিবর্তন। না চাইলেও থামানো যেতে পারে..

James Boss
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?