আমরা বাঙালিরা, তথাকথিত পয়লা বৈশাখের কাছাকাছি কোনও একটা হপ্তান্তে মিলিত হই। সে এক নরক গুলজার। চৈত্রসেলের সেই আপন আপন ব্যাপারটা আর নেই, সব যেন কেমন সাজানোগোছানো বুটিক! যেন অনুষ্ঠানটাই সব, যেন পয়লা বৈশাখের কোনও আত্মা নেই। পয়লা বৈশাখ একটা ছুটির দিন মাত্র, যে দিন হরেক রকম শাড়ি, পাঞ্জাবি আর কুর্তির প্রদর্শনী হবে! দেখা হলেই মুষ্টিমেয়রা বলবে, ‘শুভ নববর্ষ’, আর বেশির ভাগ সাহেবসুবো বাঙালি বলবে, ‘হ্যাপি পয়লা বৈশাখ’! পেট-পুরে খাওয়াদাওয়া, সঙ্গে চাট্টি গানবাজনা আর নাচ। গান-টান, নাচ-টাচ অবশ্য বাংলায় না হলেও চলবে, হিন্দি-ইংরেজি সব চলবে। হোয়াট স্পেশাল ইন ‘বং’ গাইজ! আমাদের না-ঘরের না-ঘাটের উদ্বাস্তু প্রজন্মের কাছে আমরা একটা জগাখিচুড়ি কালচার তুলে দিয়েছি। মুখটুক বেঁকিয়ে কোনওমতে তারা বলবে, ‘হোয়াটস দ্যাট, সে ইট এগেন, ফয়লা বাইশাক’!
বিত্ত বিলাস বিদ্যা বৈভবে বিভ্রান্ত ‘বড় হয়ে যাওয়া’ বাঙালি, আমরা বাংলা তারিখ ভুলে গেছি, ভুলে গেছি বাংলা মাস! বাট, উসমে কেয়া হ্যায়! গুগল হ্যায় ইয়ার! স্মার্টফোনে সার্চ দিলেই হাতের মুঠোয় ‘বাংলা’!
টেলিগ্রামের টরে টক্কা আর নেই।প্রথমে এসএমএস আর এখন হোয়াটসঅ্যাপের মতো বার্তা পাঠানোর মাধ্যমের ঠেলায় সেই পোস্টকার্ডের বিক্রি ঠেকেছে তলানিতে।
অনেকেই বলছেন, শুধু ব্যবসা নয়, হারিয়ে যাচ্ছে চিঠিতে বাঙালির নববর্ষে শুভেচ্ছা ও প্রণাম জানানোর চেনা সেই সব ভাষা আর অনুভূতিও।

James Boss
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?