বিয়ে ফ্যাক্ট নয়, ফ্যাক্ট হলো- নুপুর শর্মাদের ইসলামবিদ্বেষ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিয়ে করেছিলেন ১৪ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ৮ বছর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ২২ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১১ বছর।
বঙ্কিমচন্দ্র বিয়ে করেছিলেন ১১ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৪ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রী সারদা দেবীর বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর।
শিবনাথ শাস্ত্রী বিয়ে করেছিলেন ১৩ বছর বয়সে, তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১০ বছর।
রাজনারায়ণ বসু বিয়ে করেছিলেন ১৭ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১১ বছর।
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৯ বছর বয়সে, তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর।
সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৭ বছর বসে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর।
লিনা মেদিনা! ৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন বয়সে সন্তানের জন্ম দেয়ায় বিশ্বরেকর্ড করা সর্বকনিষ্ঠা মা উল্লেখ করে তার বন্ধনা করা হয়।
দ্বিতীয় কিং রিচার্ড ত্রিশ বছর বয়সে ফরাসি রাজকুমারী ৭বছর বয়সী ইসাবেলাকে বিয়ে করেন।
পর্তুগালে রাজা ডেনিস ১২ বছর বয়সী সেন্ট এলিজাবেথকে বিবাহ করেছিলেন। নরওয়ের ষষ্ঠ রাজা হাকোন ১০ বছরের রাণী মার্গারেটকে বিবাহ করেছিলেন।
এসেক্সের কাউন্ট আগ্নেসের বিয়ের পাকা কথা হয় মাত্র তিন বছর বয়সে। বারো বছর বয়সে তার বিয়ে হয় পঞ্চাশ বছর বয়সী সঙ্গীর সাথে।
রোমানোস ইতালির রাজকন্যা চার বছর বয়সী বার্থা ইউডোকিয়াকে বিবাহ করেন।
ইতিহাসের পাতায় এরকম অসংখ্য নজির আছে। এগুলো আমাদের ইতিহাসের অংশ। এসব আমাদের ভুলে যাওয়া সমীচিন নয়।
একসময় সতীদাহ প্রথা ছিল। জীবন্ত নারীকে সহমরণে তার মৃত স্বামীর সঙ্গে চিতায় আত্মহুতি দিতে হতো। কিন্তু সতীদাহ বা সহমরণই হিন্দু ধর্মের বৈশিষ্ট্য বলার অর্থ হিন্দুর প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ চর্চা করা। হিন্দু শাস্ত্রের ধূয়া তুলে হিন্দুর প্রতি ঘৃণা ও সহিংসতা একালে কেউ প্রদর্শন করে না। কারণ, সমাজ-আইন, সংস্কৃতি ও ইতিহাস ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের চেতনা উপলব্ধি ও বিচার ক্ষমতা অনেক বিকশিত হয়েছে। আগের মতো নাই। ইতিহাস ও সমাজ স্থির কিছু নয়, বদলায়। ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু দেশ ও কাল বিবেচনায় না নিয়ে রবীন্দ্রনাথকে দোষী করলে সেটা কাণ্ডজ্ঞানের অভাব হবে, তাই না?
তাহলে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে এত বিতর্ক কেন হবে?
বঙ্গবন্ধু ১৩ বছর বয়সে তিন বছর বয়সি রেণুর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ৯ বছর পর বঙ্গবন্ধুর ২২ বছর বয়সে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার ১২ বছর বয়সে ফুলশয্যা হয়।
আয়শা (রা.) ৯ বছর বয়সে মুহাম্মাদ (সা.)-এর সাথে সংসার শুরু করায় মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে এতো বিতর্ক কেন?
মূলত আল্লাহর ( সা.)-কে নিয়ে অহেতুক সমালোচনার প্রধান কারণ হলো- তার অতুলনীয় উত্তম চরিত্র মাধুরী। যে চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে দেড় হাজার বছর ধরে মানুষ অনবরত ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। রাসূল (সা.)-কে বিতর্কিত করে তারা বিশ্বব্যাপী ইসলাম গ্রহণর অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চায়।
নূপুর শর্মারা যা-ই বলুক না কেনো? স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তার হাবীবের চরিত্রের শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন।
اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ
কিয়ামত পর্যন্ত এই চরিত্র মাধুরী পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে প্রধান আকর্ষণ হয়ে থাকবে। দলে দলে মানুষ মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মত হবেই এবং হতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তোমাকে ভালোবাসি হে নবী! তোমার জন্য আমার বাবা-মা কোরবান।
(সংগৃহীত ও ঈষৎ পরিবর্তিত)
Saiful Islam
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?