গোপালের আব্বু বর্ডার দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আসছিলো, পিছনে এক বিশাল বস্তা বাঁধা!
-বিজিবির চৌকষ অফিসার তাকে থামালো
- বস্তায় কি?
স্যার কিচ্ছু না, বালু!
-খোল
এইযে দ্যাখেন স্যার, বালু।
-আচ্ছা যা।
দুইদিন পর আবারও গোপালের আব্বু বস্তা নিয়ে বর্ডার দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আসছে। বিজিবির অফিসার আবারও থামালো!
-বস্তায় কি ?
স্যার, বালু
কিন্তু অফিসারের খটকা লাগলো। সেদিন দেখলাম বালু, আজও বালু? পুরা বস্তা খুলে চেক করলো, কিন্তু বালু ছাড়া কিছুই পেলোনা।
- আচ্ছা যা ।
আবারও কয়েকদিন পর বর্ডারের কাছে বস্তা নিয়ে সাইকেল চালিয়ে, বিজিবির অফিসারের মুখোমুখি গোপালের আব্বু!
-বালু ?
-জ্বে স্যার
-তুই শুধু বালু নিয়া যাস। সন্দেহ হয়!
অফিসার সব বালু ঘেঁটেও কিছু পেলো না। কিন্তু অফিসারের মনটা খচখচ করেই যাচ্ছে! ঘটনাটা কি? সে কিছু বালু রেখে দিয়ে সেগুলো ল্যাবে পাঠালো। রেজাল্ট কিছুই আসলো না। সব বালু, বালু আর বালু। কিন্তু অফিসারের মনে খটকা রয়েই গেলো।
এভাবে সাইকেলে করে বস্তা নিয়ে গোপালের আব্বু নিত্যই যায়, কিন্তু বিজিবি অফিসার কিছু কুল কিনারা করতে পারেনা।
হঠাৎ গোপালের আব্বু আর আসে না! বহুদিন কেটে গেলেও কোনো খবর নাই। সে আর সাইকেল চালিয়ে বালুর বস্তা নিয়ে যায় না। কাহিনী কি? অফিসার নিজেই তাকে খুঁজে বের করলো।
গোপালের আব্বুর বাড়িতে গিয়ে বললো -
"দেখ, আমি জানি তুই কিছু না কিছু পাচার করছিস, কিন্তু আমি ধরতে পারছিনা। আমার মনে শান্তি নাই। তোর দুইটা পায়ে ধরি, সত্যি কইরা বল তুই কি পাচার করিস!
গোপালের আব্বু হাসি দিয়া বললো -
"স্যার এতদিন আসলে সাইকেল পাচার করছি" 😊
শুনে অফিসার বেহুশ!!
পরীমনি,হেলেনা,সাব্রিনা, শাহেদ, সম্রাট, পাপিয়া এগুলি ত বালুর বস্তা! সাইকেলগুলি কই।