যখন আবু লাহাব নবীকে অভিশাপ দিচ্ছিল তখন নবী চুপ ছিলেন। স্বয়ং আল্লাহ বলেন,
" তাব্বাত ইয়াদা আবি লাহাবিউ ওয়া তাব্ব"
" ধ্বংস হোক আবু লাহাব ও তার দুই হাত"

যখন তারা বলল, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তো নির্বংশ (আবতার) তখন আল্লাহ জবাব পাঠালেন,
"ইন্না শা-নি আকা হুয়াল আবতার"
"নিশ্চয় তারাই নির্বংশ"
আল্লাহ কখনোই তার রাসূলকে নাম ধরে ডাকেন নি। ইয়া আয়্যুহান নাবী, ইয়া আয়্যুহার রসূল, ইয়াসীন, মুজাম্মিল সহ আরো অনেক পরোক্ষ নামে সম্বোধন করেছেন।

কোন মানুষের পক্ষে প্রিয় রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রকৃত মান-মর্যাদা অনুধাবন করা সম্ভব নয়। রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে নিয়ে যখনি কেউ কটুক্তি করেছেন স্বয়ং সৃষ্টি জগতের সকল ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ তা-আলা তার জবাব নিজে দিয়েছেন। ভাবতে পারেন? মহান আল্লাহ তা-আলা স্বয়ং তাকে হুমকি দিয়েছেন।
শুধু সেই সময় নয়, শুধু এবার নয়, শুধু আপনার জীবনকালেই নয়, বরং আপনার মরে যাওয়ার পরও কেয়ামত পর্যন্ত যত হাজার কোটি বার কেউ রাসূল কে কটুক্তি করবে তত হাজার কোটি বার আমার রব স্বয়ং নিজে তাকে অভিশপ্ত করে দিবেন। কারন আল্লাহু ঘোষণা দিয়েছেন,
" হে রাসূল। নিঃশ্চই উপহাসকারীদের জন্য আপনার পক্ষ হতে আমি(আল্লাহ) যথেষ্ট।"
আল্লাহর রাসূলের মর্যাদা আল্লাহ হেফাযত করবেন। আপনি বা আমি তেমন কিছুই করার ক্ষমতা রাখি না। তবুও, যদি আমাকে প্রশ্ন করা হয় আমার অবদান কি ছিল সেদিন যেদিন আমার জীবদ্দশায় আল্লাহর রাসূলকে কটুক্তি করা হয়েছিল? তেমন বড় অবদান না হোক, বান্দা হিসাবে ছোট একটা অবদানের কথাও যদি সেদিন উপস্থাপন না করি তবে কি নিজেকে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উম্মত বলে পরিচয় দিতে পারব?