এক লোক রাঁতে বাসায় আসলো। এসেই দেখে যে, তার সন্তানরা সবাই ঘুঁমিয়ে পড়েছে। স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলো: ছেলেরা নামায পড়েছে?

স্ত্রী: বাসায় খাঁবার ছিলোনা। ছেলেরা সবাই ক্ষুধায় কান্না করতে করতে ঘুঁমিয়ে পড়েছে। এভাবে ওরা নামাযও পড়েনি।

স্বামী: ওদেরকে জাগিয়ে দাও। ওরা নামায পড়ুক।

স্ত্রী: ও গো শুনছো! ওদেরকে জাগিয়ে উঠালে খাঁবার না পেয়ে ওরা তো ক্ষুধায় আবার কান্না করবে।

স্বামী: শুনো! বলছি: জাগিয়ে দিতে। আমার আদেশ পালন করো।তাদের রিজিকের দায়িত্ব আমার না। তাদের রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ তাআ’লার উপর। আল্লাহ তাআ’লা কুরআনে বলেছেন: وأمر أهلك بالصلاة واصطبر عليها لا نسألك رزقا نحن نرزقك والعاقبة للتقوى} তোমার পরিবারবর্গকে নামাযের আদেশ দাও। এবং তার উপর অবিচল থাকো। আমি তোমার কাছে কোন রিয্ক চাইনা আমিই তোমাদেরকে রিযক দান করি। শুভ পরিণাম তো শুধুমাত্র মুত্তাকীদের জন্য। (132 সুরা ত্বহা)

এর কথা শুনে ‘মা’ আত্ম সমর্পন করলো। ছেলেদেরকে জাগিয়ে নামায়ে দাঁড় করিয়ে দিলো।

নামায শেষ করে যখন তারা উঠলো। দরজায় আওয়াজ শুনলো। দরজা খুলে দেখলো যে, এক ধনী লোক কাঁদে অনেকগুলো দামী দামী খাবার নিজে ভর করে নিয়ে এসেছে। এসেই বললো: এগুলো তোমার পরিবারের জন্য।

বাবা: কেন এমনটা করলেন?

ধনী লোকটি বললো: শহর থেকে একজন নেতা আমার বাসায় এসেছিলো। তার সামনে আমি খাবারগুলো পরিবেশন করলাম। কিন্তু খাবার শুরু করার পূর্বেই আমাদের মাঝে প্রচন্ড কথা কাটাকাটি হয়ে গেলো। তাই মেহমান শপথ করেছে যে, সে কিছুই খাবেনা। এবং চলেই গেলো।

তাই আমিও খাবারগুলো নিয়ে বের হলাম। আল্লাহ যেদিকেই নেয় সেখানেই দিয়ে আসবো। আল্লাহর শপথ করে বলছি: হাঁটতে হাঁটতে তোমার দরজায় এসেই দাড়িয়ে গেলাম। আমি বুঝতেও পারছিনা: কোন জিনিস আমাকে তোমার দরজার সামনে দাঁড় করিয়ে দিলো।

সুবহানআল্লাহ