অজু ছাড়া কী কুরআন স্পর্শ করা যায়?-অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ প্রসঙ্গ
জিজ্ঞাসা: আমরা জানি, অযু ব্যতীত কুরআনুল কারীম স্পর্শ করা যায় না ।এমনিভাবে হায়েয, নিফাসগ্রস্থ মহিলা এবং জুনুবী ব্যক্তি কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করতে পারে না । কিছুদিন হলাে এক বক্তা, যিনি নিজেকে আহলে হাদীস পরিচয় দেন, বিভিন্ন স্থানে বয়ান করছেন যে, অযু ছাড়াও কুরআন স্পর্শ করা যায় । হায়েয ও জুনুবী ব্যক্তিও করআন পড়তে পারবে । কুরআন হাদীসে এ ব্যাপারে কোনাে বিধি-নিষেধ নেই । তার এ ধরনের বয়ানে এলাকার মাঝে বেশ হাঙ্গামার সৃষ্টি হয় । মসজিদে পর্যন্ত শুরু হয় নানা তর্ক-বিতর্ক । এখন আমার জানার বিষয় হলাে, ঐ আহলে হাদীস বক্তার বক্তব্য কতটুকু কুরআন-সুন্নাহসম্মত? কুরআন-হাদীস থেকে সবিস্তর বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাধিত করবেন ।
সমাধান: ইসলামের শুরু যুগ থেকে মুসলিম উম্মাহর ঐকমত্য এবং সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলাে, অযু ব্যতীত কুরআনুল কারীম স্পর্শ করা যাবে না । এমনিভাবে অধিকাংশ সালাফ ও ইমামগণের সিদ্ধান্ত হলাে, হায়েয, নিফাসে আক্রান্ত ও জুনুবী ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে না ।
কেননা কুরআন-হাদীসে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । তাই প্রশ্নোক্ত বক্তার দাবি সঠিক নয় । তিনি নিজেকে আহলে হাদীস দাবি করলেও এ বিষয়ে প্রকৃত আহলে হাদীসের চিন্তা ও সিদ্ধান্তকে লঙ্ঘন করেছেন । বিস্তারিত আলােচনা নিম্নে তুলে ধরা হলাে ।
অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ প্রসঙ্গ
মুসলিম উম্মাহর সকল ফকীহ ইমামগণ এ বিষয়ে কুরআন-হাদীস মন্থন করে এবং যথাযথ ও পর্যাপ্ত গবেষণা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে না । এটি একজন বা দুজন ব্যক্তির সিদ্ধান্ত নয়; বরং সকল ইমামদের মত । এদিকে ইঙ্গিত করেই পঞ্চম শতকের বিশিষ্ট হাফিযুল হাদীস ও ইমাম, ইবনে আবদুল বার রহ. (৪৬৩হি.)। বলেন,
أجمع فقهاء الأمصار الذين تدور عليهم الفتوى وعلى أصحابهم بأن المصحف لا يمسه إلا طاهر .
“ইসলামী ভূখন্ডের ফাতওয়া ও শরয়ী সমস্যা সমাধানের কেন্দ্রীয় সকল ফকীহগণ ঐকমত্য হয়েছেন যে, একমাত্র পবিত্র ব্যক্তিই কুরআনে কারীম স্পর্শ করতে পারবে ।” (আল ইসত্যিকার১০/৮)।
সালাফী ও কথিত আহলে হাদীসদের মান্যবর ইমাম,আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রহ. (৭২৮হি.)ও একই কথা বলেছেন । তিনি বলেন, ।
Read more info within visit our site ; http://www.theislamiccommunica....tion.xyz/2022/08/azu