প্রায় ৬ মাস আগে আমার সামনের ফ্ল্যাটের নতুন প্রতিবেশী ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড চাইলো। দিয়েও দিলাম, কারণ আমার তো আর অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে না; এছাড়া নতুন প্রতিবেশীর সাথে একটু খাতিরও হলো।
গতকাল বাসায় ফিরছিলাম। উনাকে দরজার সামনে দেখে কুশল বিনিময় ও হাল্কা আলাপের মাঝে জানালেন যে সম্প্রতি উনি নেটফ্লিক্স এ সাবস্ক্রাইব করেছেন এবং নতুন নতুন ম্যুভি দেখে সময়টা ভালোই কাটছে।
মজা করে বললাম -" ভাই সারাদিন এতো ব্যস্ত থাকি যে টিভি দেখার সময়ই পাই না। আপনার নেটফ্লিক্সের পাসওয়ার্ডটা দিলে আমিও মাঝে মাঝে দুই-একটা সিরিয়াল দেখতাম।"
উনার ঘরের দরজা খোলা ছিল। ভিতর থেকে উনার গিন্নি প্রায় বেশ জোরে বলে উঠলেন-"পাসওয়ার্ড দিতে পারবো না। আমরা পয়সা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করেছি, পাসওয়ার্ড কেনো দিবো?"
কয়েক মুহূর্তের নিরবতা ভদ্রলোক ভাংলেন অপ্রস্তুত হাসি আর টুকটাক আলাপ শুরু করে। আমিও পালটা হাসি দিয়ে- "আরে কোন সমস্যা না" বলে নিজের বাসায় ঢুকে গেলাম।
কিছুক্ষন পর ভদ্রলোক আর তার গিন্নি হন্তদন্ত হয়ে বেল বাজালেন- দরজা খুলতেই জানালেন যে ওয়াইফাই কাজ করছে না, পাসওয়ার্ডও নিচ্ছে না, আর নেটফ্লিক্সও চালাতে পারছেন না।
এবার মুচকি হাসি দিয়ে বললাম- জি, পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে দিয়েছি। ইন্টারনেট বিলটা যেহেতু আমিই দিচ্ছি তাই পাসওয়ার্ড শেয়ার করবোনা ঠিক করেছি। মুখ শুকনা করে তারা ফিরে গেলেন। এর পর আর তাদের সাথে আন্তরিকতার দেখানোর প্রয়োজন অনুভব করিনি।"
লেখাটি একটা ইংরেজি লেখার অনুবাদ। তবে এর থেকে কিছু শিক্ষা অবশ্যই নেওয়া যায়-
বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা, আন্তরিকতা, সন্মান এই সব কিছুই হওয়া উচিৎ পারস্পরিক।
নিরবতার বদলে নিরবতা, শুন্যতার বদলে শুন্যতা, মায়ার বদলে মায়া, অনুভূতির বদলে অনুভূতি, আনুগত্যর বদলে আনুগত্য, সন্মানের বদলে সন্মান- এভাবে চলতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান খুব সহজেই সম্ভব। জীবনটা অনেক অনেক শান্তিময় হবে এতে।
ফেসবুক থেকে অনুলিপি করা
Saiful Islam
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟