নো মেকআপ, নো ফিল্টার
***********************************************************************
ছুটির আমেজে ঘুরছেন মালদ্বীপের সমুদ্রসৈকতে। রুনা খানের ছবিগুলো তুলেছেন কণ্ঠশিল্পী সায়ন্তনী ত্বিষা।
রুনা খানের ওজন এখন ৬৬ কেজি। এক বছর আগেও যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা এখনকার রুনা খানকে দেখে চমকে যান। ১ বছরে ৩৯ কেজি ওজন কমিয়ে পুরোপুরি বদলে নিয়েছেন নিজেকে।
রুনা খানের ওজন কমানোর গল্প শুনতে চাইলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০০৯ সালে বিয়ে হয়। পরের বছরই সন্তান রাজেশ্বরীর জন্ম। একসময় ওজন ৯৫ কেজিতে গিয়ে ঠেকে। সন্তান জন্মের এক বছর পর, মানে ২০১১ সাল থেকে ওজন কমানোর মিশন শুরু করি। কিন্তু কোনোভাবেই পারছিলাম না, বরং একপর্যায়ে ওজন আরও বেড়ে হয় ১০৫ কেজি। এমনও হয়েছে, অস্ত্রোপচার ছাড়া সব চেষ্টাই করেছি।’
রুনা খান বলেন, ‘ধানমন্ডির প্রতিটি জিমে অন্তত ১০ বারও ভর্তি হয়েছি। ভারতীয় কালচারাল সেন্টারে ভর্তি হয়েছি পাঁচ থেকে সাতবার। উইমেন্স কমপ্লেক্স সুইমিংয়ে কয়েকবার ভর্তি হয়েছি। অ্যারোবিকসে ভর্তি হয়েছি। বাসায় ট্রেডমিল, সাইকেলসহ ওজন কমানোর যন্ত্রপাতি কিনেছি। ১০ বছরে ওজন কমানোর অনেক চেষ্টা করেছি। ডায়েটের খাবার দিয়ে আমার একটা ফ্রিজ ভরা থাকত—ডার্ক চকলেট, মাশরুম, ক্যাপসিকামসহ আরও কত–কী! কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না।’
তাহলে কীভাবে কী হলো, এমন প্রশ্নে রুনা খান বলেন, ‘২০১৯ সালে এসে আবিষ্কার করলাম, আমি যাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু মনে করি; দিনের পর দিন, বছরের পর বছর আমি তাদের দ্বারা মানসিকভাবে নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়েছি। ডিপ্রেশন পেয়ে বসত, এ জন্য আমি আমার মূল কাজে ফোকাস রাখতে পারতাম না। তারা এটা ভালোভাবে জানত যে কীভাবে আমার ফোকাস নষ্ট করা যায়। তত দিনে দেখলাম, আমার ওজন হয়ে গেছে ১০৫ কেজি। এমন হচ্ছিল, কোনো মাসে পাঁচ কেজি ওজন কমালাম, পরের মাসে ছয় কেজি ওজন বাড়িয়ে ফেললাম। বিগত বছরগুলোয় কখনো ওজন কমে ১০০ কেজি, আবার কখনো বেড়ে ১১০ কেজি হয়েছে। ফলাফল সেই, যা তা–ই। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাকে টক্সিক মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। যাদের আমি তথাকথিত বন্ধু ভাবছি, তাদের কাছ থেকে বের হতে হবে।’
এক বছরে ৩৯ কেজি ওজন কমাতে যা যা খেতেন, তার একটা তালিকা দিলেন রুনা খান। প্রতিদিনের সেই তালিকায় সকালে থাকত দুটি ডিম। এরপর যেকোনো ফল খেতেন। তারপর ব্ল্যাক কফি খেয়ে এক ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি।
ওজন কমাতে রুনা খান প্রতিদিন দুপুরে এক কাপ ভাত, সঙ্গে এক বাটি সবজি, বড় এক টুকরা মাংস অথবা মাছ। প্রতিদিন বিকেলে মুঠো পরিমাণ বাদাম ও ব্ল্যাক কফি খেতেন এবং এক ঘণ্টা ইয়োগা করতেন। এ ছাড়া প্রতিদিন রাতে বড় এক বাটি সবজি, এক টুকরা মাছ বা মুরগির মাংস ও এক গ্লাস দুধ খেতেন।
Source: প্রথম আলো