ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, সহকারী প্রক্টরসহ আহত ৯
***********************************************************************
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই উপপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনের সড়কে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে রাত ১টা পর্যন্ত। এতে উভয়পক্ষের আট নেতা–কর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম আহত হয়েছেন।
বিবদমান এ দুই উপপক্ষ হচ্ছে সিক্সটি নাইন ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস। সংঘর্ষের ঘটনায় এ দুই উপপক্ষের নেতাকর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে শাটল ট্রেনের আসনে বসা নিয়ে তর্কের জেরে সংঘর্ষে জড়ায় এ দুই উপপক্ষের নেতা–কর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত তিনজন আহত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে দুই উপপক্ষের নেতা–কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল থেকে শাহজালাল হলের আশেপাশের কয়েকটি সড়কবাতি ভাঙচুর করেন। দফায় দফায় ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া হয় দুই উপপক্ষের।রাত ১টার দিকে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি আনে। সংঘর্ষে আহত নেতা–কর্মীদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন।
চট্গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক খোন্দকার মো. আতাউল গণি প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত কয়েকজন চিকিৎসা দিয়েছেন। তাঁদের সবাই ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। আহত একজনের মাথায় আঘাত বেশি থাকায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম। এ বিষয়ে চিকিৎসক খোন্দকার মো. আতাউল গণি বলেন, তাঁর (শহীদুল ইসলাম) চোখের পাশে ইটের আঘাত লেগেছে। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতা–কর্মীরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর ও আরেকটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়। এ দুই পক্ষের মধ্যে আবার ১১টি উপপক্ষ রয়েছে। বিবদমান সিক্সটি নাইন ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস উভয় উপপক্ষই নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
Source: প্রথম আলো